alt

কসমেটিক সংস্কৃতি : সুন্দর হওয়ার চাপ নারীর মানসিক স্বাস্থ্যে কী করছে

: মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে শেষ কবে নিরেট ভালোবাসার দৃষ্টিতে দেখেছেন? নাকি আয়নায় তাকালেই সবার আগে চোখে পড়ে ত্বকের রংটা একটু ফ্যাকাশে, চোখের নিচে সামান্য কালি, কিংবা নাকের গড়নটা ঠিক যেমনটা হওয়া উচিত ছিল তেমন নয়?আমাদের বুঝতে হবে, কসমেটিক সংস্কৃতি কেবল সৌন্দর্যের বিষয় নয়, এটি একটি বিশাল অর্থনীতি। বিউটি ইন্ডাস্ট্রি বা প্রসাধনী বাণিজ্যের মূল পুঁজি হলো ‘নারীর নিরাপত্তাহীনতা’। যদি কেউ নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে, তবে সে পণ্য কিনবে না। তাই সাধারন মানুষকে অসন্তুষ্ট রাখাটাই এই বাণিজ্যের মূলমন্ত্র। অ্যান্টি-এজিং ক্রিম থেকে শুরু করে স্কিন হোয়াইটনিং প্রতিটি পণ্যের বিজ্ঞাপন নারীকে মনে করিয়ে দেয় যে, তার বয়স হওয়াটা পাপ, গায়ের রং চাপা হওয়াটা অপরাধ। এই নেতিবাচক বার্তাগুলো অবচেতন মনে গেঁথে যায়, যা নারীকে সারাজীবন এক অতৃপ্তির চক্রে বন্দি করে রাখে।

সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হলো, এই সংস্কৃতির প্রভাব এখন আর প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। টিনেজার বা তার চেয়েও কম বয়সী শিশুরা এখন ‘স্কিনকেয়ার রুটিন’ নিয়ে ব্যস্ত। খেলার বয়সে তারা চিন্তিত তাদের ত্বক কতটা গ্লো করছে তা নিয়ে। এটি তাদের স্বাভাবিক মানসিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করছে এবং খুব ছোট থেকেই তাদের আত্মপরিচয়কে কেবল বাহ্যিক রূপের ওপর নির্ভরশীল করে তুলছে।

আমাদের মনে রাখতে হবে, একজন নারীর পরিচয় তার প্রসাধনীর স্তরে বা ফিল্টার করা ছবিতে নয়, বরং তার ব্যক্তিত্বে, মেধা ও মননে। কসমেটিক সংস্কৃতির এই জৌলুসের নিচে চাপা পড়া আত্মবিশ্বাসকে আবার জাগিয়ে তোলাই হোক আজকের অঙ্গীকার।

হেনা শিকদার

ছবি

নিরাপদ ভোজ্য তেল ও ভিটামিন সমৃদ্ধকরণ

হাওর অঞ্চলের শিক্ষার উন্নয়নে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের প্রয়োজন

মামলার রায় ও আইনের ভাষা হোক বাংলা

বেকারত্বের অভিশাপ বাংলাদেশের মাথায়

ছবি

ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য : মানুষের আচরণ নাকি সিস্টেমের ব্যর্থতা?

ছবি

মশার কয়েলের ধোঁয়া : ঘরের বাতাসের নীরব বিপদ

রাবির হলের খাবারে স্বাস্থবিধির সংকট

কুষ্টিয়া স্টেশনে যাত্রী দুর্ভোগ

চট্টগ্রাম বিমানবন্দর প্রবেশমুখ : টিনঘরে বন্দী সৌন্দর্য, সংস্কারের দাবি

ভূমিকম্পের ঝুঁকি নিরসনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শিক্ষা

ছবি

ভূমিকম্প : ঝুঁকি ও অরক্ষিত বাস্তবতা

ছবি

দখলমুক্ত ফুটপাত চাই

ভূমিদস্যুদের প্রকোপে অতিষ্ঠ কেরানিগঞ্জবাসী

বাকৃতিতে নেই পর্যাপ্ত ডাস্টবিন

যৌতুক প্রথা: এক সামাজিক অভিশাপের নীরব বিস্তার

দেশের রাজনীতির তিন দিগন্ত

ছবি

দেশীয় মাছের বিলুপ্তি ও পুনরুদ্ধার উদ্যোগ

ছবি

নয়া জাগরণের পথে দেশের ফুটবল

শিশুদের খেলার জায়গায় স্থায়ী মঞ্চ নয়

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য

অগ্নিনির্বাপণে প্রস্তুতির ঘাটতি আমাদের বড় বিপদ

সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতনবৈষম্য দূর হবে কবে?

ছবি

নারী কৃষকের অবদান ও স্বীকৃতি

ছবি

অনিয়ন্ত্রিত বালু উত্তোলনে বাড়ছে নদীভাঙন

খেলার মাঠ নেই, হারিয়ে যাচ্ছে শৈশব ও শহরের প্রাণ

নদীমাতৃক দেশ এখন নদীহীন হওয়ার পথে

বাল্যবিবাহ রোধে দরকার সচেতনতা ও সহায়তা

বৈষম্যের স্বীকার প্রাথমিক শিক্ষক

ছবি

নরোত্তমপুর কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ, ভোগান্তিতে গ্রামীণ জনগণ

ছবি

একের পর এক কারখানা বন্ধ, টালমাটাল অর্থনীতি

রেলওয়ের টিকেট বুকিং একাউন্টে নম্বর পরিবর্তন

বাইক থেকে ইজিবাইক : নগর জীবনে গতি, ঝুঁকি ও বাস্তবতা

বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করা সময়ের দাবি

নদী বাঁচাতে হবে, জীবন বাঁচাতে হবে

ছবি

পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করুন

পারিবারিক বন্ধনের ভাঙন

tab

কসমেটিক সংস্কৃতি : সুন্দর হওয়ার চাপ নারীর মানসিক স্বাস্থ্যে কী করছে

মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে শেষ কবে নিরেট ভালোবাসার দৃষ্টিতে দেখেছেন? নাকি আয়নায় তাকালেই সবার আগে চোখে পড়ে ত্বকের রংটা একটু ফ্যাকাশে, চোখের নিচে সামান্য কালি, কিংবা নাকের গড়নটা ঠিক যেমনটা হওয়া উচিত ছিল তেমন নয়?আমাদের বুঝতে হবে, কসমেটিক সংস্কৃতি কেবল সৌন্দর্যের বিষয় নয়, এটি একটি বিশাল অর্থনীতি। বিউটি ইন্ডাস্ট্রি বা প্রসাধনী বাণিজ্যের মূল পুঁজি হলো ‘নারীর নিরাপত্তাহীনতা’। যদি কেউ নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে, তবে সে পণ্য কিনবে না। তাই সাধারন মানুষকে অসন্তুষ্ট রাখাটাই এই বাণিজ্যের মূলমন্ত্র। অ্যান্টি-এজিং ক্রিম থেকে শুরু করে স্কিন হোয়াইটনিং প্রতিটি পণ্যের বিজ্ঞাপন নারীকে মনে করিয়ে দেয় যে, তার বয়স হওয়াটা পাপ, গায়ের রং চাপা হওয়াটা অপরাধ। এই নেতিবাচক বার্তাগুলো অবচেতন মনে গেঁথে যায়, যা নারীকে সারাজীবন এক অতৃপ্তির চক্রে বন্দি করে রাখে।

সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হলো, এই সংস্কৃতির প্রভাব এখন আর প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। টিনেজার বা তার চেয়েও কম বয়সী শিশুরা এখন ‘স্কিনকেয়ার রুটিন’ নিয়ে ব্যস্ত। খেলার বয়সে তারা চিন্তিত তাদের ত্বক কতটা গ্লো করছে তা নিয়ে। এটি তাদের স্বাভাবিক মানসিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করছে এবং খুব ছোট থেকেই তাদের আত্মপরিচয়কে কেবল বাহ্যিক রূপের ওপর নির্ভরশীল করে তুলছে।

আমাদের মনে রাখতে হবে, একজন নারীর পরিচয় তার প্রসাধনীর স্তরে বা ফিল্টার করা ছবিতে নয়, বরং তার ব্যক্তিত্বে, মেধা ও মননে। কসমেটিক সংস্কৃতির এই জৌলুসের নিচে চাপা পড়া আত্মবিশ্বাসকে আবার জাগিয়ে তোলাই হোক আজকের অঙ্গীকার।

হেনা শিকদার

back to top