আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে শেষ কবে নিরেট ভালোবাসার দৃষ্টিতে দেখেছেন? নাকি আয়নায় তাকালেই সবার আগে চোখে পড়ে ত্বকের রংটা একটু ফ্যাকাশে, চোখের নিচে সামান্য কালি, কিংবা নাকের গড়নটা ঠিক যেমনটা হওয়া উচিত ছিল তেমন নয়?আমাদের বুঝতে হবে, কসমেটিক সংস্কৃতি কেবল সৌন্দর্যের বিষয় নয়, এটি একটি বিশাল অর্থনীতি। বিউটি ইন্ডাস্ট্রি বা প্রসাধনী বাণিজ্যের মূল পুঁজি হলো ‘নারীর নিরাপত্তাহীনতা’। যদি কেউ নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে, তবে সে পণ্য কিনবে না। তাই সাধারন মানুষকে অসন্তুষ্ট রাখাটাই এই বাণিজ্যের মূলমন্ত্র। অ্যান্টি-এজিং ক্রিম থেকে শুরু করে স্কিন হোয়াইটনিং প্রতিটি পণ্যের বিজ্ঞাপন নারীকে মনে করিয়ে দেয় যে, তার বয়স হওয়াটা পাপ, গায়ের রং চাপা হওয়াটা অপরাধ। এই নেতিবাচক বার্তাগুলো অবচেতন মনে গেঁথে যায়, যা নারীকে সারাজীবন এক অতৃপ্তির চক্রে বন্দি করে রাখে।
সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হলো, এই সংস্কৃতির প্রভাব এখন আর প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। টিনেজার বা তার চেয়েও কম বয়সী শিশুরা এখন ‘স্কিনকেয়ার রুটিন’ নিয়ে ব্যস্ত। খেলার বয়সে তারা চিন্তিত তাদের ত্বক কতটা গ্লো করছে তা নিয়ে। এটি তাদের স্বাভাবিক মানসিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করছে এবং খুব ছোট থেকেই তাদের আত্মপরিচয়কে কেবল বাহ্যিক রূপের ওপর নির্ভরশীল করে তুলছে।
আমাদের মনে রাখতে হবে, একজন নারীর পরিচয় তার প্রসাধনীর স্তরে বা ফিল্টার করা ছবিতে নয়, বরং তার ব্যক্তিত্বে, মেধা ও মননে। কসমেটিক সংস্কৃতির এই জৌলুসের নিচে চাপা পড়া আত্মবিশ্বাসকে আবার জাগিয়ে তোলাই হোক আজকের অঙ্গীকার।
হেনা শিকদার
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে শেষ কবে নিরেট ভালোবাসার দৃষ্টিতে দেখেছেন? নাকি আয়নায় তাকালেই সবার আগে চোখে পড়ে ত্বকের রংটা একটু ফ্যাকাশে, চোখের নিচে সামান্য কালি, কিংবা নাকের গড়নটা ঠিক যেমনটা হওয়া উচিত ছিল তেমন নয়?আমাদের বুঝতে হবে, কসমেটিক সংস্কৃতি কেবল সৌন্দর্যের বিষয় নয়, এটি একটি বিশাল অর্থনীতি। বিউটি ইন্ডাস্ট্রি বা প্রসাধনী বাণিজ্যের মূল পুঁজি হলো ‘নারীর নিরাপত্তাহীনতা’। যদি কেউ নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে, তবে সে পণ্য কিনবে না। তাই সাধারন মানুষকে অসন্তুষ্ট রাখাটাই এই বাণিজ্যের মূলমন্ত্র। অ্যান্টি-এজিং ক্রিম থেকে শুরু করে স্কিন হোয়াইটনিং প্রতিটি পণ্যের বিজ্ঞাপন নারীকে মনে করিয়ে দেয় যে, তার বয়স হওয়াটা পাপ, গায়ের রং চাপা হওয়াটা অপরাধ। এই নেতিবাচক বার্তাগুলো অবচেতন মনে গেঁথে যায়, যা নারীকে সারাজীবন এক অতৃপ্তির চক্রে বন্দি করে রাখে।
সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হলো, এই সংস্কৃতির প্রভাব এখন আর প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। টিনেজার বা তার চেয়েও কম বয়সী শিশুরা এখন ‘স্কিনকেয়ার রুটিন’ নিয়ে ব্যস্ত। খেলার বয়সে তারা চিন্তিত তাদের ত্বক কতটা গ্লো করছে তা নিয়ে। এটি তাদের স্বাভাবিক মানসিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করছে এবং খুব ছোট থেকেই তাদের আত্মপরিচয়কে কেবল বাহ্যিক রূপের ওপর নির্ভরশীল করে তুলছে।
আমাদের মনে রাখতে হবে, একজন নারীর পরিচয় তার প্রসাধনীর স্তরে বা ফিল্টার করা ছবিতে নয়, বরং তার ব্যক্তিত্বে, মেধা ও মননে। কসমেটিক সংস্কৃতির এই জৌলুসের নিচে চাপা পড়া আত্মবিশ্বাসকে আবার জাগিয়ে তোলাই হোক আজকের অঙ্গীকার।
হেনা শিকদার