সুনামগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট বিভাগের একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর জেলা। টাঙ্গুয়ার হাওরসহ অসংখ্য হাওর প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো পর্যটককে আকর্ষণ করে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি এই জেলা মরমী কবি হাসন রাজা, বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম এবং মুক্তিযোদ্ধা কাঁকন বিবির মতো কৃতি ব্যক্তিত্বের জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত। দেশের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে ছড়িয়ে আছে সুনামগঞ্জের অনেক কৃতি সন্তান। তবে অবকাঠামোগত সমস্যা, দারিদ্র্য এবং সচেতনতার অভাবের কারণে এ জেলার শিক্ষার্থীরা শিক্ষায় পিছিয়ে পড়ছে।
যে স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী পড়াশোনা চালিয়ে যায়, তাদেরও নানা অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা যখন পাঠ্যক্রম ও পরীক্ষায় মনোযোগ দিচ্ছে, তখন সুনামগঞ্জ জেলার ১২টি উপজেলার প্রায় ২৮৮৭টি গ্রামের শিক্ষার্থীরা অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে ব্যস্ত থাকে। হাওর অঞ্চলের বার্ষিক বন্যা পরিস্থিতি শিক্ষাকে আরও জটিল করে তোলে।
প্রশাসনের উদাসীনতাও সমস্যার গভীরতা বাড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের এগিয়ে আসা জরুরি। গরিব কিন্তু মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য মেধাবৃত্তির ব্যবস্থা করা, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ এবং শিক্ষার মান বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। এছাড়া সুনামগঞ্জের সচেতন শিক্ষার্থীদেরও দায়িত্ব নিতে হবে। তাদের গ্রামে-গ্রামে ক্যাম্পেইন চালিয়ে অল্পশিক্ষিত বা নিরক্ষর মানুষদের শিক্ষার গুরুত্ব বোঝাতে হবে। শিশু-কিশোরদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে, যাতে তারা পড়াশোনার মাধ্যমে নিজেদের এবং জেলার ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সুনামগঞ্জের শিক্ষার চিত্র বদলে যেতে পারে।
জান্নাতুন নূর সারা
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
সুনামগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট বিভাগের একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর জেলা। টাঙ্গুয়ার হাওরসহ অসংখ্য হাওর প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো পর্যটককে আকর্ষণ করে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি এই জেলা মরমী কবি হাসন রাজা, বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম এবং মুক্তিযোদ্ধা কাঁকন বিবির মতো কৃতি ব্যক্তিত্বের জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত। দেশের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে ছড়িয়ে আছে সুনামগঞ্জের অনেক কৃতি সন্তান। তবে অবকাঠামোগত সমস্যা, দারিদ্র্য এবং সচেতনতার অভাবের কারণে এ জেলার শিক্ষার্থীরা শিক্ষায় পিছিয়ে পড়ছে।
যে স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী পড়াশোনা চালিয়ে যায়, তাদেরও নানা অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা যখন পাঠ্যক্রম ও পরীক্ষায় মনোযোগ দিচ্ছে, তখন সুনামগঞ্জ জেলার ১২টি উপজেলার প্রায় ২৮৮৭টি গ্রামের শিক্ষার্থীরা অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে ব্যস্ত থাকে। হাওর অঞ্চলের বার্ষিক বন্যা পরিস্থিতি শিক্ষাকে আরও জটিল করে তোলে।
প্রশাসনের উদাসীনতাও সমস্যার গভীরতা বাড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের এগিয়ে আসা জরুরি। গরিব কিন্তু মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য মেধাবৃত্তির ব্যবস্থা করা, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ এবং শিক্ষার মান বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। এছাড়া সুনামগঞ্জের সচেতন শিক্ষার্থীদেরও দায়িত্ব নিতে হবে। তাদের গ্রামে-গ্রামে ক্যাম্পেইন চালিয়ে অল্পশিক্ষিত বা নিরক্ষর মানুষদের শিক্ষার গুরুত্ব বোঝাতে হবে। শিশু-কিশোরদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে, যাতে তারা পড়াশোনার মাধ্যমে নিজেদের এবং জেলার ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সুনামগঞ্জের শিক্ষার চিত্র বদলে যেতে পারে।
জান্নাতুন নূর সারা