ভোজ্য তেলে ভিটামিন “এ” ও “ডি” না থাকার কারণে গর্ভবতী নারীদের মৃত্যুর ঝুঁকি এবং শিশুদের অন্ধত্বের হার বাড়ছে। আইন থাকা সত্ত্বেও অধিকাংশ তেলে পর্যাপ্ত ভিটামিন নেই। ভিটামিন “এ” এর ঘাটতির ফলে শিশুদের অন্ধত্ব এবং গর্ভবতী নারীদের মৃত্যুর ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে, আর ভিটামিন “ডি” এর অভাবে হাড়ক্ষয়, রিকেটস ও হৃদরোগসহ নানা অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে।
নিরাপদ ও ভিটামিন সমৃদ্ধ তেল নিশ্চিত করতে খোলাড্রামে তেল বিক্রি বন্ধ করা এবং মানসম্মত প্যাকেজিং বাধ্যতামূলক করা অত্যন্ত জরুরি। খোলাড্রামগুলো প্রায়ই পূর্বে রাসায়নিক বা অন্যান্য শিল্পপণ্য সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হয়, যা তেল দূষিত করে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করে। এছাড়া, এসব ড্রামে লেবেল বা উৎসের তথ্য না থাকায় উৎস সনাক্ত ও মান যাচাই করা সম্ভব হয় না। যদিও খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি ২০২২ সালের জুলাই থেকে এবং খোলা পাম তেল বিক্রি ডিসেম্বর ২০২২ থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, মাঠ পর্যায়ে তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়নি।
এই অবস্থায় শিল্প মন্ত্রণালয়, বিএসটিআই, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে বাজারে নিরাপদ, ভিটামিন সমৃদ্ধ তেল নিশ্চিত করার জন্য সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া প্রত্যাশিত।
আব্বাসউদ্দিন আহমদ
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
ভোজ্য তেলে ভিটামিন “এ” ও “ডি” না থাকার কারণে গর্ভবতী নারীদের মৃত্যুর ঝুঁকি এবং শিশুদের অন্ধত্বের হার বাড়ছে। আইন থাকা সত্ত্বেও অধিকাংশ তেলে পর্যাপ্ত ভিটামিন নেই। ভিটামিন “এ” এর ঘাটতির ফলে শিশুদের অন্ধত্ব এবং গর্ভবতী নারীদের মৃত্যুর ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে, আর ভিটামিন “ডি” এর অভাবে হাড়ক্ষয়, রিকেটস ও হৃদরোগসহ নানা অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে।
নিরাপদ ও ভিটামিন সমৃদ্ধ তেল নিশ্চিত করতে খোলাড্রামে তেল বিক্রি বন্ধ করা এবং মানসম্মত প্যাকেজিং বাধ্যতামূলক করা অত্যন্ত জরুরি। খোলাড্রামগুলো প্রায়ই পূর্বে রাসায়নিক বা অন্যান্য শিল্পপণ্য সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হয়, যা তেল দূষিত করে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করে। এছাড়া, এসব ড্রামে লেবেল বা উৎসের তথ্য না থাকায় উৎস সনাক্ত ও মান যাচাই করা সম্ভব হয় না। যদিও খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি ২০২২ সালের জুলাই থেকে এবং খোলা পাম তেল বিক্রি ডিসেম্বর ২০২২ থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, মাঠ পর্যায়ে তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়নি।
এই অবস্থায় শিল্প মন্ত্রণালয়, বিএসটিআই, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে বাজারে নিরাপদ, ভিটামিন সমৃদ্ধ তেল নিশ্চিত করার জন্য সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া প্রত্যাশিত।
আব্বাসউদ্দিন আহমদ