মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণা কেন এতো বাড়ছে?সময় যত এগিয়ে যাচ্ছে প্রযুক্তিও তার সাথে উন্নত হচ্ছে এবং তাল মিলিয়ে বাড়ছে প্রতারণা যার মাঝে মোবাইল ব্যাংকে অন্যতম। দৈনন্দিন জীবনের দুর্ভোগকে কমানোর জন্য যখন মোবাইল ব্যাংকিংকে বেছে নেওয়া হলো তখন এই প্রচারণা যেন বেড়েই চলছে।.ডিজিটাল লেনদেন যত সহজ হচ্ছে, প্রতারকদের কৌশলও তত উন্নত হচ্ছে। ভুয়া কাস্টমার কেয়ার, বিকাশ–নগদ–রকেট প্রতিনিধির ছদ্মবেশ, ফেসবুক-এসএমএস বা ফোনকলের মাধ্যমে ওটিবি বা পিন সংগ্রহ-এসব এখন অত্যন্ত সাধারণ ঘটনা। অপরাধীরা প্রযুক্তিতে দক্ষ, সংগঠিত ও দলবদ্ধভাবে কাজ করে; ফলে সাধারণ ব্যবহারকারীরা সহজেই ফাঁদে পা দেন।
এমন পরিস্থিতিতে থেকে রক্ষা পেতে হলে জনসচেতনতা সবার আগে প্রয়োজন। সচেতন অনুযায়ী মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা গুলো করা উচিত এবং বিভিন্ন জায়গা বা সংস্থাকে বিশ্বাস করা উচিত। জনসচেতনতা বৃদ্ধি পিন বা ওটিপি কারো সঙ্গে শেয়ার না, ব্যাংক ও এমএফএস কোম্পানি নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা এবং এজেন্ট পয়েন্ট কঠোর কেওয়াইসি যাচাই। বিভিন্ন ধরনের লিফলেট অথবা টেলিভিশনে দেখানো ছোটখাটো বিজ্ঞাপনে সচেতনতা বাড়াতে পারে। অশিক্ষিত বা অজ্ঞ ব্যক্তিদের কে এ যথাযথ কারণ বোঝাতে পারে।
মোবাইল ব্যাংকিং যেমন আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে করেছে সহজ তেমনি দেশের অর্থনীতির ব্যবস্থাকেও করেছে গতিশীল। কিন্তু নিরাপত্তাহীনতার সমাধান ছাড়া এই অগ্রযাত্রা ঝুঁকির মুখে পড়বে। প্রযুক্তিগত উন্নয়ন কঠোর আইন প্রয়োগ এবং সর্বোপরি ব্যবহারকারীর সচেতনতা এই তিনটি শক্তভাবে প্রতিষ্ঠা হলে মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণা কমবে নইলে অপরাধীরা প্রতিনিয়ত নতুন কৌশলে আমাদের আর্থিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলতেই থাকবে। এখন বর্তমান সময় আমাদের জীবনের অনেকটুকুই নির্ভর করে এই মোবাইল ব্যাংকিং এর ওপরে। এই ব্যবস্থা আমাদের জীবনকে করেছে গতিশীল এবং সহজময় তাই প্রতারণাকে করতে হবে নির্মূল। সর্বোপরি জনগণের সচেতনতাই পারে প্রতারণা ঠেকাতে।
আয়শা চিশতি ফুল
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণা কেন এতো বাড়ছে?সময় যত এগিয়ে যাচ্ছে প্রযুক্তিও তার সাথে উন্নত হচ্ছে এবং তাল মিলিয়ে বাড়ছে প্রতারণা যার মাঝে মোবাইল ব্যাংকে অন্যতম। দৈনন্দিন জীবনের দুর্ভোগকে কমানোর জন্য যখন মোবাইল ব্যাংকিংকে বেছে নেওয়া হলো তখন এই প্রচারণা যেন বেড়েই চলছে।.ডিজিটাল লেনদেন যত সহজ হচ্ছে, প্রতারকদের কৌশলও তত উন্নত হচ্ছে। ভুয়া কাস্টমার কেয়ার, বিকাশ–নগদ–রকেট প্রতিনিধির ছদ্মবেশ, ফেসবুক-এসএমএস বা ফোনকলের মাধ্যমে ওটিবি বা পিন সংগ্রহ-এসব এখন অত্যন্ত সাধারণ ঘটনা। অপরাধীরা প্রযুক্তিতে দক্ষ, সংগঠিত ও দলবদ্ধভাবে কাজ করে; ফলে সাধারণ ব্যবহারকারীরা সহজেই ফাঁদে পা দেন।
এমন পরিস্থিতিতে থেকে রক্ষা পেতে হলে জনসচেতনতা সবার আগে প্রয়োজন। সচেতন অনুযায়ী মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা গুলো করা উচিত এবং বিভিন্ন জায়গা বা সংস্থাকে বিশ্বাস করা উচিত। জনসচেতনতা বৃদ্ধি পিন বা ওটিপি কারো সঙ্গে শেয়ার না, ব্যাংক ও এমএফএস কোম্পানি নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা এবং এজেন্ট পয়েন্ট কঠোর কেওয়াইসি যাচাই। বিভিন্ন ধরনের লিফলেট অথবা টেলিভিশনে দেখানো ছোটখাটো বিজ্ঞাপনে সচেতনতা বাড়াতে পারে। অশিক্ষিত বা অজ্ঞ ব্যক্তিদের কে এ যথাযথ কারণ বোঝাতে পারে।
মোবাইল ব্যাংকিং যেমন আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে করেছে সহজ তেমনি দেশের অর্থনীতির ব্যবস্থাকেও করেছে গতিশীল। কিন্তু নিরাপত্তাহীনতার সমাধান ছাড়া এই অগ্রযাত্রা ঝুঁকির মুখে পড়বে। প্রযুক্তিগত উন্নয়ন কঠোর আইন প্রয়োগ এবং সর্বোপরি ব্যবহারকারীর সচেতনতা এই তিনটি শক্তভাবে প্রতিষ্ঠা হলে মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণা কমবে নইলে অপরাধীরা প্রতিনিয়ত নতুন কৌশলে আমাদের আর্থিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলতেই থাকবে। এখন বর্তমান সময় আমাদের জীবনের অনেকটুকুই নির্ভর করে এই মোবাইল ব্যাংকিং এর ওপরে। এই ব্যবস্থা আমাদের জীবনকে করেছে গতিশীল এবং সহজময় তাই প্রতারণাকে করতে হবে নির্মূল। সর্বোপরি জনগণের সচেতনতাই পারে প্রতারণা ঠেকাতে।
আয়শা চিশতি ফুল