কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার ৪ নম্বর জাওয়ার ইউনিয়নের পশ্চিম জাওয়ার রায়পাড়ায় একটি পুকুরপাড়ের রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে ভেঙে পড়েছে। পুকুরের চারদিকে ঘনবসতি হওয়ায় এই চারপাশ ঘিরে থাকা সরু রাস্তা গ্রামবাসীর একমাত্র চলাচলের পথ। একসময় পুকুরের পাড় ছিল প্রশস্ত, মানুষ স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারত। এখন সেই জায়গা প্রায় বিলুপ্ত-পুকুরের পাড় ভেঙে ভেঙে বসতবাড়ির অংশ পর্যন্ত ধসে পড়েছে। ২০২০ সালে এলাকায় একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। নামাজের সময় মুসুল্লিরা মসজিদে যেতে পারেন না, জানাজার মরদেহ নেওয়ার পথও অচল-যা এলাকাবাসীর জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। বহুদিন ধরে সমস্যাটি দৃশ্যমান হলেও দেখার যেন কেউ নেই।
গ্রামের মানুষের প্রতিদিনের জীবনে যোগাযোগব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দেশের অনেক গ্রামের মতো এখানেও রাস্তার বেহাল দশা মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। সামান্য বৃষ্টিতেই কাঁচা রাস্তা কাদায় পরিণত হয়, সৃষ্টি হয় গর্ত-যা চলাচলকে প্রায় অসম্ভব করে তোলে। বছরের পর বছর সংস্কারের প্রতিশ্রুতি মিললেও বাস্তবে তেমন উন্নতি দেখা যায় না। পর্যাপ্ত নজরদারি ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এসব গুরুত্বপূর্ণ পথ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।
গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে টেকসই রাস্তা নির্মাণ ও পুরোনো রাস্তার সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। স্থানীয় জনগণও বলছেন, দীর্ঘ ২০ থেকে ৩০ বছর ধরে পুকুরের পাড় ভরাট করা হয়নি, বরং পাড়ের মাটি কাটতে কাটতে রাস্তা এতটাই সরু হয়ে গেছে যে এখন আর চলাচল করা সম্ভব নয়।
এই অবস্থায় দ্রুত পুকুরপাড় ভরাট, রাস্তা সংস্কার ও নতুন নিরাপদ পথ নির্মাণই একমাত্র সমাধান। তাই তাড়াইল উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ ও সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
শরীফুল ইসলাম
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার ৪ নম্বর জাওয়ার ইউনিয়নের পশ্চিম জাওয়ার রায়পাড়ায় একটি পুকুরপাড়ের রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে ভেঙে পড়েছে। পুকুরের চারদিকে ঘনবসতি হওয়ায় এই চারপাশ ঘিরে থাকা সরু রাস্তা গ্রামবাসীর একমাত্র চলাচলের পথ। একসময় পুকুরের পাড় ছিল প্রশস্ত, মানুষ স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারত। এখন সেই জায়গা প্রায় বিলুপ্ত-পুকুরের পাড় ভেঙে ভেঙে বসতবাড়ির অংশ পর্যন্ত ধসে পড়েছে। ২০২০ সালে এলাকায় একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। নামাজের সময় মুসুল্লিরা মসজিদে যেতে পারেন না, জানাজার মরদেহ নেওয়ার পথও অচল-যা এলাকাবাসীর জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। বহুদিন ধরে সমস্যাটি দৃশ্যমান হলেও দেখার যেন কেউ নেই।
গ্রামের মানুষের প্রতিদিনের জীবনে যোগাযোগব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দেশের অনেক গ্রামের মতো এখানেও রাস্তার বেহাল দশা মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। সামান্য বৃষ্টিতেই কাঁচা রাস্তা কাদায় পরিণত হয়, সৃষ্টি হয় গর্ত-যা চলাচলকে প্রায় অসম্ভব করে তোলে। বছরের পর বছর সংস্কারের প্রতিশ্রুতি মিললেও বাস্তবে তেমন উন্নতি দেখা যায় না। পর্যাপ্ত নজরদারি ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এসব গুরুত্বপূর্ণ পথ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।
গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে টেকসই রাস্তা নির্মাণ ও পুরোনো রাস্তার সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। স্থানীয় জনগণও বলছেন, দীর্ঘ ২০ থেকে ৩০ বছর ধরে পুকুরের পাড় ভরাট করা হয়নি, বরং পাড়ের মাটি কাটতে কাটতে রাস্তা এতটাই সরু হয়ে গেছে যে এখন আর চলাচল করা সম্ভব নয়।
এই অবস্থায় দ্রুত পুকুরপাড় ভরাট, রাস্তা সংস্কার ও নতুন নিরাপদ পথ নির্মাণই একমাত্র সমাধান। তাই তাড়াইল উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ ও সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
শরীফুল ইসলাম