১৯৯২ সালে সংসদীয় আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। যার মূল ছিল সারাদেশের বিভিন্ন কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা প্রদান করা। কিন্তু মাঝেমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের জন্য দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
সম্প্রতি অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে তেমনই একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ফরম ফিলাপের মাত্র ১৩ দিনের মধ্যে তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা গ্রহণের ঘোষণা এসেছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব গঠনতন্ত্রের সঙ্গে স্পষ্টভাবে সাংঘর্ষিক।
নিয়ম অনুযায়ী ফরম ফিলাপের চার সপ্তাহ পরে পরীক্ষা গ্রহণের কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। এর চেয়েও বিস্ময়কর বিষয় হলো- ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ যাদের ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষা রয়েছে, তাদেরকে আবার ৮ ডিসেম্বর তৃতীয় বর্ষের মূল পরীক্ষায় অংশ নিতে বলা হয়েছে। এটি শিক্ষার্থীদের ওপর চরম মানসিক চাপ সৃষ্টি করবে এবং পরীক্ষার প্রস্তুতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এ অসামঞ্জস্যপূর্ণ রুটিন ও সময়সূচি প্রকাশের ফলে শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। শিক্ষা একটি সুসংগঠিত ও পরিকল্পিত প্রক্রিয়া। সেখানে এমন অগোছালো সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের একাডেমিক জীবনকে অস্থির করে তোলে।
অতএব, বিষয়টির প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। শিক্ষার্থীদের স্বার্থ ও মানসিক চাপ বিবেচনায় রুটিন পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন।
হাসনাইন রিজেন
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
১৯৯২ সালে সংসদীয় আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। যার মূল ছিল সারাদেশের বিভিন্ন কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা প্রদান করা। কিন্তু মাঝেমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের জন্য দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
সম্প্রতি অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে তেমনই একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ফরম ফিলাপের মাত্র ১৩ দিনের মধ্যে তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা গ্রহণের ঘোষণা এসেছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব গঠনতন্ত্রের সঙ্গে স্পষ্টভাবে সাংঘর্ষিক।
নিয়ম অনুযায়ী ফরম ফিলাপের চার সপ্তাহ পরে পরীক্ষা গ্রহণের কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। এর চেয়েও বিস্ময়কর বিষয় হলো- ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ যাদের ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষা রয়েছে, তাদেরকে আবার ৮ ডিসেম্বর তৃতীয় বর্ষের মূল পরীক্ষায় অংশ নিতে বলা হয়েছে। এটি শিক্ষার্থীদের ওপর চরম মানসিক চাপ সৃষ্টি করবে এবং পরীক্ষার প্রস্তুতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এ অসামঞ্জস্যপূর্ণ রুটিন ও সময়সূচি প্রকাশের ফলে শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। শিক্ষা একটি সুসংগঠিত ও পরিকল্পিত প্রক্রিয়া। সেখানে এমন অগোছালো সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের একাডেমিক জীবনকে অস্থির করে তোলে।
অতএব, বিষয়টির প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। শিক্ষার্থীদের স্বার্থ ও মানসিক চাপ বিবেচনায় রুটিন পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন।
হাসনাইন রিজেন