বাংলাদেশ পাখির দেশ-রঙে, সুরে, বৈচিত্র্য সমৃদ্ধ। কিন্তু দ্রুত শহরায়ণ, আবাসস্থল ধ্বংস ও পরিবেশগত পরিবর্তনের কারণে পাখির সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে কমছে। জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পাখি অপরিহার্য; বীজ ছড়িয়ে উদ্ভিদ বিস্তারে তাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অথচ আমাদের অসচেতন উন্নয়নপ্রক্রিয়ার কারণে বহু পাখি আজ বিলুপ্তপ্রায়। বাবুই পাখির মতো পরিচিত প্রজাতিও এখন প্রায় বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ, কারণ তাদের বাসা বানানোর মতো তালগাছ প্রকৃতিতে আর তেমন নেই।
তবুও দেশের কিছু অঞ্চলে এখনও ভোরের ঘুম ভাঙে পাখির ডাকে; কোথাও আবার সেই শূন্যতা পূরণ করছে মোবাইলের রিংটোন। শীত এলেই বিদেশি অতিথি পাখির আগমন আমাদের প্রকৃতিকে নতুন প্রাণ জোগায়। সাইবেরিয়া ও উত্তরাঞ্চলের কঠোর শীতসহ্য করতে না পেরে তারা হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এদের বিচিত্র আকার-রং, মনোমুগ্ধকর কণ্ঠ ও উড়াউড়ি আমাদের প্রকৃতিকে সমৃদ্ধ করে। শীতের অতিথি হলেও বছরের পর বছর এদের আগমন যেন আমাদের পরিবেশের এক স্বাভাবিক অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে দুঃখজনক হলো-পাখি শিকার এখনো নানা জায়গায় ঘটে। কেউ ভোজনরসিকতা, কেউ জীবিকা, আবার কেউ কেবল শখ থেকে পাখি শিকার করে; এবং এদের মধ্যে অনেকেই তথাকথিত শিক্ষিত সমাজের মানুষ। অতিথি পাখি হোক বা দেশি পাখি-প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় শিকার বন্ধ করাই জরুরি। আইন প্রয়োগের পাশাপাশি প্রয়োজন সচেতনতা। মানুষকে বুঝতে হবে, পাখির নিরাপত্তা মানে প্রকৃতির নিরাপত্তা, আর প্রকৃতি রক্ষা মানে আমাদের নিজের অস্তিত্ব রক্ষা। সেই বোধ শিশুকাল থেকেই গড়ে তুলতে হবে।
অলোক আচায
আন্তর্জাতিক: পাকিস্তানকে আরও ১২০ কোটি ডলার ঋণ দিল আইএমএফ
আন্তর্জাতিক: মদ বিক্রি শুরু করলো সৌদি আরব
আন্তর্জাতিক: ভারতের বৃহত্তম এয়ারলাইনে যেভাবে ধস নামলো