বাংলাদেশে প্রতি বছর পলিশিং বা ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে প্রায় ৭,২৬০ কোটি টাকার চাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পলিশের মাধ্যমে সাধারণ চালকে উন্নতমানের হিসেবে বাজারজাত করে ব্যবসায়ীরা লাভবান হলেও তা বন্ধে কার্যকর কোনো সরকারী পদক্ষেপ নেই। চালের ওপরের লাল আস্তরণ পলিশিংয়ের ফলে চালের পুষ্টিমান অর্ধেক কমে যায়। অত্যন্ত সাদা ধবধবে চাল জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি। প্রতি ১০০ টন চাল পলিশ করলে কমপক্ষে ৫ মেট্রিকটন চাল নষ্ট হয়, যা বছরে ১৫ থেকে ১৮ লাখ মেট্রিকটন পর্যন্ত পৌঁছে।
চাল পলিশের ফলে তৈরি আবরণ থেকে রাইসব্রান তেল উৎপাদন সম্ভব, যা দেশের তেলের চাহিদার প্রায় ৩০ শতাংশ পূরণ করতে পারে। এছাড়া পলিশের ফলে ফাইবার এবং ভিটামিন নষ্ট হয়, ফলে বিপাক প্রক্রিয়া দুর্বল হয়ে মুটিয়ে যাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। অতি সাদা চাল দেরিতে হজম হওয়ায় রক্তে চিনি বেড়ে যায়, যা ডায়াবেটিসসহ নানা রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, বর্তমান প্রজন্মের হঠাৎ রেগে যাওয়া বা কথায় কথায় রাগ করার প্রবণতার পিছনে খাদ্যজনিত সমস্যা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। খাদ্যমন্ত্রণালয় বিষয়টি খতিয়ে দেখে ভোক্তাগণের স্বার্থে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে, যাতে পুষ্টিকর খাদ্য সহজলভ্য হয় এবং অতি পলিশ করা চালের ক্ষতিকর প্রভাব বন্ধ হয়।
আব্বাসউদ্দিন আহমদ
আন্তর্জাতিক: পাকিস্তানকে আরও ১২০ কোটি ডলার ঋণ দিল আইএমএফ
আন্তর্জাতিক: মদ বিক্রি শুরু করলো সৌদি আরব
আন্তর্জাতিক: ভারতের বৃহত্তম এয়ারলাইনে যেভাবে ধস নামলো