দেশে চাষযোগ্য জমির পরিমাণ দিনদিন কমে যাচ্ছে, যা ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুতর হুমকি। প্রতিদিনই বাড়ছে জনসংখ্যা, নগরায়ণ এবং শিল্পায়নের চাপ। নতুন আবাসন প্রকল্প, সড়ক নির্মাণ, ব্রিকফিল্ড, বাজার–ঘাট এবং নানা স্থাপনা তৈরির কারণে উর্বর কৃষিজমি দখল ও ভরাট হয়ে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে সঠিক পরিকল্পনা না থাকায় জমির প্রকৃতি বদলে যাচ্ছে, যার ফলে কৃষি উৎপাদন কমে আসছে।
চাষযোগ্য জমি কমে গেলে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উৎপাদন কমে গেলে খাদ্যের দাম বাড়ে, আমদানি নির্ভরতা বেড়ে যায় এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ে। কৃষকদের জীবন–জীবিকাও কঠিন হয়ে পড়ছে। তারা জমির অভাবে উৎপাদন বাড়াতে পারছে না, আবার জমির দাম বাড়ায় অনেকেই কৃষি থেকে সরে যেতে বাধ্য হচ্ছে। এতে গ্রামীণ অর্থনীতি দুর্বল হয়ে সমাজে বৈষম্য বাড়ছে। পরিবেশও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কৃষিজমি কমে যাওয়ায় জলাধার ও সবুজ এলাকা হ্রাস পাচ্ছে, বৃষ্টির পানি জমা ও পুনঃভরাটের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদে এটি জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি আরও বাড়ায়।
এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় কঠোরভাবে কৃষিজমি রক্ষা আইন বাস্তবায়ন, এলোমেলো দখল–ভরাট বন্ধ, পরিকল্পিত নগরায়ণ নিশ্চিত করা এবং উর্বর জমির বদলে অনুর্বর জমিতে শিল্প স্থাপনের উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি, পানি–সাশ্রয়ী পদ্ধতি এবং জমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা জরুরি। এখনই সঠিক পদক্ষেপ না নিলে আগামী প্রজন্মের খাদ্য নিরাপত্তা ও পরিবেশ উভয়ই গুরুতর ঝুঁকিতে পড়বে।
কাজী মাধুর্য রহমান
আন্তর্জাতিক: পাকিস্তানকে আরও ১২০ কোটি ডলার ঋণ দিল আইএমএফ
আন্তর্জাতিক: মদ বিক্রি শুরু করলো সৌদি আরব
আন্তর্জাতিক: ভারতের বৃহত্তম এয়ারলাইনে যেভাবে ধস নামলো