লটারি নামক অপপদ্ধতি বন্ধ করা উচিত

মাধ্যমিকে ভর্তি হওয়ার জন্য ভর্তি পরীক্ষায় ন্যুনতম উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হতে হতো। যা শিক্ষার্থীর যোগ্যতা ও মেধাক্রম অনুযায়ী ফলাফল ও ভর্তি সম্পন্ন করা হতো। কিন্তু বিগত কয়েক বছর যা করোনা মহামারীর সময় লটারি পদ্ধতি চালু করে বিগত সরকার। যা ২০২৬ সালে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য চালু রাখে বর্তমান সরকার। এমতাবস্থায় সঠিক ও মেধার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন তাদের সন্তানদের নিয়ে। অভিভাবকরা সন্তানদের ভালো পরিবেশ ও গুণগতমানের কথা মাথায় রেখে সরকারি বিদ্যালয়ের পড়ানোর কথা চিন্তা করেন। কিন্তু, জেলা-উপজেলা, থানা পর্যায়ের এলাকায় সরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। কারণ হিসেবে উল্লেখ ভালোমানের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান না থাকা। বিভাগীয়

শহরগুলোতে ভালো পাঠদানের প্রতিষ্ঠান থাকলেও থানা,উপজেলা, জেলা পর্যায়ে পর্যাপ্ত পরিমান প্রতিষ্ঠান নেই।

লটারি পদ্ধতির মাধ্যমে মেধাভিত্তিক সমাজ গড়ে উঠার ভিত্তি দুর্বল হচ্ছে। পরীক্ষা পদ্ধতি না থাকায় ডিজিটাল লটারি পদ্ধতিতে মেধার অবমূল্যায়ন হচ্ছে। যা শিক্ষার্থীর শুধু ভাগ্যের উপর নির্ভর করে। যা শিক্ষার্থীদের ভাগ্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যা মানসিক বিকৃতি করে তুলে।

লটারির মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের অবমূল্যায়ন, প্রতিযোগী মনোভাব হ্রাস, শিক্ষার মান হ্রাস। যা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের পথে বাধা হতে পারে। লটারি পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাইয়ের সুযোগ না থাকাই মানসিক চিন্তা অভিভাবকদের মধ্যে বৃদ্ধি পায় এবং শিক্ষার নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ পায়।

মেধা না কোটার জন্য আন্দোলন করেও দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে কখনো ডিজিটাল লটারি পদ্ধতি বহাল আছে। যা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরিপন্থী। সরকারের শিক্ষাউপদেষ্টা সকল বিভাগে নজরদারি করলেও মাধ্যমিক সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পদ্ধতির কোন পরিবর্তন আনতে পারেননি। যার জন্য মেধার সঠিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

ডিজিটাল লটারি পদ্ধতি বাতিল করে আগামী শিক্ষাবর্ষে(২০২৭ সাল) মেধা যাচাইয়ের নূন্যতম পদ্ধতি(পরীক্ষা) চালু করে মেধাক্রম অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য শিক্ষাউপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

ফায়জুল হক

শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ

সম্প্রতি