বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ। এ দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে কৃষি। খাদ্য, পোষাক, ওষুধসহ সকল মৌলিক চাহিদা কৃষির ওপর নির্ভরশীল। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি-ঘর, প্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানা, খেলার মাঠ ইত্যাদি তৈরি করতে গিয়ে কৃষি জমির সংকটে পড়তে হচ্ছে। একদিন হয়তো কৃষি জমির অপ্রতুলতায় ঝুঁকিতে পড়বে এই কৃষি প্রধান দেশ।
যেখানে কৃষিই দেশের মূল চালিকা শক্তি, সেখানে আমরা আদৌ কৃষি ও কৃষকের কথা ভাবি কি? পণ্যদ্রব্য কম দামে কৃষকের কাছ থেকে নেওয়া, কৃষককে তার ন্যায্য মূল্য না দেওয়া, সরকার থেকে প্রাপ্য সহায়তা কৃষকের হাতে না পৌঁছানো-এসব সমস্যা কৃষকদের নিত্যদিনের ভোগান্তি তৈরি করছে। উপর মহল থেকে কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ না থাকায় এই সমস্যা আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
বিপুল সংখ্যক জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে কৃষকের প্রয়োজন পড়ে জৈব সারের পাশাপাশি রাসায়নিক সার ব্যবহারে। রাসায়নিক সারের কালোবাজারে পড়ার কারণে স্বল্প আয়ের কৃষকরা প্রতারণার শিকার হচ্ছে। ফসল উৎপাদন করেও তাদের দিন চলে যায় সংগ্রামে। টিএসপি সারের সরকারি ভর্তুকি মূল্য বস্তা প্রতি ১৩৫০ টাকা হলেও কৃষককে তা কিনতে হচ্ছে ২০০০ টাকা বা তারও বেশি দামে। তবু ডিলারের কাছে গেলে দেখা দেয় সারের সংকট, কৃষি জমির জন্য পর্যাপ্ত সার কেনা সম্ভব হয় না। অথচ সরকার ঘোষণা করেছে, এ বছর পর্যাপ্ত পরিমাণ সার মজুদ রয়েছে। সারকে উচ্চমূল্যে রাখা, গুদামজাত করা কিন্তু সরবরাহ না করা-এসব কারণে কৃষকরা চরম বিপাকে পড়ছে। কৃষি অফিসগুলোও এই বিষয়ে নিরব দর্শক, যা কৃষকদের হতাশা আরও বাড়াচ্ছে। সার, ডিলার ও বিতরণ সংক্রান্ত নীতিমালা থাকা সত্ত্বেও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না।
এমতাবস্থায়, কৃষি ও কৃষককে বাঁচাতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মিজানুর রহমান
শিক্ষার্থী, মার্কেটিং বিভাগ
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়