জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ দূষণ মোকাবেলায় বিশেষজ্ঞরা নানা উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন। এর মধ্যে সম্প্রতি জনপ্রিয় হয়েছে পুনর্বনায়ন বা রিওয়াইল্ডিং পদ্ধতি, যা মূলত কোনো ভূমিকে তার প্রাকৃতিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার ধারণার ওপর ভিত্তি করে। কনেপ এস্টেটের সহপ্রতিষ্ঠাতা ইসাবেলা বলেছেন, উত্তরাধিকারের মাধ্যমে স্বামী ৩৫০০ একর জমি পেলেও তারা খুশি হতে পারেননি। জমিটি এতই দূষিত হয়ে পড়েছিল যে চাষাবাদ অযোগ্য হয়ে গিয়েছিল এবং আর্থিক ক্ষতিও হচ্ছিল। তখন তারা বুঝলেন, প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ না করে প্রকৃতিকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিলে, তা নিজেই পুনরুজ্জীবন ঘটাবে এবং জীববৈচিত্র্য পুনরায় সতেজ হবে।
তাদের প্রথম ধাপ ছিল জমির চারপাশে বেড়া দিয়ে প্রাকৃতিক পর্যবেক্ষণ চালানো, হস্তক্ষেপ না করে। ধীরে ধীরে বিভিন্ন গাছপালা ও ঝোপঝাড় নিজেদের বসতি স্থাপন করতে শুরু করল। পানি স্থিরভাবে যেখানে থাকতে চায় সেখানে থাকার সুযোগ দেওয়া হলো এবং বিলুপ্তপ্রায় স্থানীয় প্রাণীকে তাদের আবাসে ফিরিয়ে আনা হলো।
ফলাফল চমকপ্রদ। কয়েক দশক ধরে অরক্ষিত জমি মাত্র পাঁচ বছরে জীববৈচিত্র্য যে ৩৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। গাছগুলো কার্বন শোষণ করায় পরিবেশও উন্নত হয়েছে। শিকারি প্রাণীর সীমিত উপস্থিতি মাংস উৎপাদন বাড়িয়েছে, যা আর্থিকভাবে লাভজনক। একই সঙ্গে বন্যপ্রাণী পর্যটনও সম্প্রসারিত হয়েছে। রিওয়াইল্ডিং পদ্ধতি শুধু বিশাল জমির জন্য নয়। স্কুল মাঠ, পার্ক, বাড়ির আঙিনা বা শহরের খালি জমিতেও এটি প্রয়োগ করা যায়। আজকের দিনে সরকারি ও বেসরকারি জমি প্রায় সমতল ঘাসবনে রূপান্তরিত হয়েছে, যা পরিবেশের জন্য কার্যকর নয় এবং রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়বহুল। এগুলোকেও পুনর্বনায়নের আওতায় আনা সম্ভব।
নুসরাত জাহান পন্নি