কুমিল্লা সদর দক্ষিণসহ বেশ কিছু এলাকায় গত ১০–১৫ দিন ধরে অব্যাহত গ্যাস সংকট জনজীবনকে প্রায় অচল করে দিয়েছে। প্রতিদিন ভোর থেকে বিকাল পর্যন্ত গ্যাস না থাকায় আবাসিক পরিবারগুলো রান্নার মতো মৌলিক এবং জরুরী কাজও করতে পারছে না। গৃহিণীরা নিরুপায় হয়ে পড়েছেন, শিক্ষার্থীরা নাশতা ছাড়া স্কুল-কলেজে যেতে বাধ্য হচ্ছেন, আর কর্মজীবী মানুষ সময়মতো খাবার না পেয়ে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। সকাল এবং দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয় বিকেল পর্যন্ত যা দৈনন্দিন রুটিন পরিবর্তন করছে এবং শিশু, বৃদ্ধের জন্য কষ্টকর পরিস্থিতি তৈরি করছে।
এই সংকটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্থানীয় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো। হোটেল-রেস্তোরাঁ, বেকারি এবং ছোট ছোট খাবারের দোকানগুলো চুলা জ্বালাতে না পারায় স্বাভাবিক ব্যবসা চালাতে পারছে না, ফলে তাদের আর্থিক ক্ষতি প্রতিদিনই বাড়ছে। পাশাপাশি, সিএনজি-চালিত যানবাহন গ্যাস না পাওয়ায় রাস্তায় নামতে সক্ষম হচ্ছে না, যা পরিবহন সেবা ও চালকদের আয়ে সরাসরি প্রভাব ফেলছে। এই দীর্ঘস্থায়ী সংকট শুধুমাত্র ভোগান্তিই নয়-এটি স্থানীয় অর্থনৈতিক কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এলাকার মানুষ মনে করছেন, গ্যাস সরবরাহে এমন বিঘ্ন কোনওভাবেই স্বাভাবিক নয় এবং তা দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ হিসেবে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড যেন অবিলম্বে গ্যাস লাইনের সমস্যা নির্ণয় করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে। কুমিল্লা সদর দক্ষিণের মানুষ দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় আছে।
ইসরাত জাহান সুমাইয়