alt

সাময়িকী

দেশ আমাদের আজও কোনো মাতৃভাষা দেয়নি বলে কবি শঙ্খ ঘোষ একবার বিলাপ করেছিলেন

ওবায়েদ আকাশ

: বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১

ছন্দের ভিতরে এত অন্ধকার জেনেও আদ্যোপান্ত ছন্দের বারান্দায় বসে কবি শঙ্খ ঘোষ শবের উপর থেকে শামিয়ানা সরিয়ে নিয়ে যে কোনো মৃতের জন্য নক্ষত্র হবার পথ অবমুক্ত করেন। আর যে ছেলেরা স্কুলের চৌকাঠেই ধ্বসে গিয়ে সমাজবিরোধী হলো- তেমন একজন সামনে এসে বলে- লাইনেই ছিলাম বাবা- এইসব ওকালতি কবিকে কতটা মানায়? প্রতিবাদ! প্রতিবাদ!! এবং তৎক্ষণাৎ সংবিৎ পেয়ে নিজেকে ধিক্কার দিয়ে বলেন কবি শঙ্খ ঘোষ- মূর্খ বড়, সামাজিক নয়। যখন শ্মশানের আলোয় হৃৎকমলে ধূম লেগে যায় আর যা ঘটবার তা ঘটতে থাকে, হাসপাতালের সামনে একটা পাগল, যা বলবার তা বলতে থাকে, তখন অন্তত এটুকু বুঝতে বাকি থাকে না যে, ব্যক্তিগত যা কিছু আজ নিয়ন আলোয় পণ্য। আর স্বভাবসুন্দর মুখোশ পরে ফুটপাথ ধরে হাঁটতে গেলেই আমাদের মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে। পাঁজরে দাঁড়ের শব্দে যখন আর্তনাদ করে ওঠে সর্বনাশ, আর আমরা বন্ধুরা মাতি তরজায়- প্রাচীন অন্ধকার থেকে নিহিত পাতালছায়ায় গ্রহান্তরের যে কোনো তুচ্ছ অভিলাষ ধরে টান মেরে ভেঙে দেয় দাঁড়ের চলমান প্রপাত। আর আমরা, যখন শিখর না ছুঁতে পারার ব্যর্থতা নিয়ে পাহাড়ের কিনারে এসে দাঁড়াই আর শিখর থেকে একে একে খসে পড়ে তারা- কবি শঙ্খ ঘোষ নির্বিঘেœ অনুভব করেন- আমাদের ঔদাস্য-বধিরতা আজ এতটা চরমে পৌঁছেছে যে, আমাদের চোখের জলই পাষাণ হয়ে আছে চোখের গভীরে। এবং সমস্ত অর্থহীন হাতে উড়ে এসে গান্ধর্ব আজ পায়ের কাছে রেখে যায় চাপ চাপ রক্তের দাগ। আর একবার পাগল হবার আগে, অরুণোদয়ের রাগে, স্নিগ্ধ শিশিরভেজা নদী একদিন কবিকেই নিয়ে যেতে চেয়েছিল বলে প্রতিশ্রুত ছিল। আজ বোঝেন- ভিখেরি করেছে কেবল, দিনে দিনে চায় পদতলে, সে কি ছিল তেমন গৌরি? বন্ধু নেই বৃত্তি নেই, ধর্ম ও জাগরণ নেই- কেবল রণক্ষেত্রে যে সত্যটি বিলাপ করেছে প্রতিদিন- হে তরুণ তার জন্যে তোমার পদধ্বনি শুনে আমাদের বাংলা কবিতার এক চিরপ্রাজ্ঞ অভিভাবক কবি শঙ্খ ঘোষ একবারই রচনা করেছেন বাবরের প্রার্থনা

tab

0

দেশ আমাদের আজও কোনো মাতৃভাষা দেয়নি বলে কবি শঙ্খ ঘোষ একবার বিলাপ করেছিলেন

ওবায়েদ আকাশ

বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১

ছন্দের ভিতরে এত অন্ধকার জেনেও আদ্যোপান্ত ছন্দের বারান্দায় বসে কবি শঙ্খ ঘোষ শবের উপর থেকে শামিয়ানা সরিয়ে নিয়ে যে কোনো মৃতের জন্য নক্ষত্র হবার পথ অবমুক্ত করেন। আর যে ছেলেরা স্কুলের চৌকাঠেই ধ্বসে গিয়ে সমাজবিরোধী হলো- তেমন একজন সামনে এসে বলে- লাইনেই ছিলাম বাবা- এইসব ওকালতি কবিকে কতটা মানায়? প্রতিবাদ! প্রতিবাদ!! এবং তৎক্ষণাৎ সংবিৎ পেয়ে নিজেকে ধিক্কার দিয়ে বলেন কবি শঙ্খ ঘোষ- মূর্খ বড়, সামাজিক নয়। যখন শ্মশানের আলোয় হৃৎকমলে ধূম লেগে যায় আর যা ঘটবার তা ঘটতে থাকে, হাসপাতালের সামনে একটা পাগল, যা বলবার তা বলতে থাকে, তখন অন্তত এটুকু বুঝতে বাকি থাকে না যে, ব্যক্তিগত যা কিছু আজ নিয়ন আলোয় পণ্য। আর স্বভাবসুন্দর মুখোশ পরে ফুটপাথ ধরে হাঁটতে গেলেই আমাদের মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে। পাঁজরে দাঁড়ের শব্দে যখন আর্তনাদ করে ওঠে সর্বনাশ, আর আমরা বন্ধুরা মাতি তরজায়- প্রাচীন অন্ধকার থেকে নিহিত পাতালছায়ায় গ্রহান্তরের যে কোনো তুচ্ছ অভিলাষ ধরে টান মেরে ভেঙে দেয় দাঁড়ের চলমান প্রপাত। আর আমরা, যখন শিখর না ছুঁতে পারার ব্যর্থতা নিয়ে পাহাড়ের কিনারে এসে দাঁড়াই আর শিখর থেকে একে একে খসে পড়ে তারা- কবি শঙ্খ ঘোষ নির্বিঘেœ অনুভব করেন- আমাদের ঔদাস্য-বধিরতা আজ এতটা চরমে পৌঁছেছে যে, আমাদের চোখের জলই পাষাণ হয়ে আছে চোখের গভীরে। এবং সমস্ত অর্থহীন হাতে উড়ে এসে গান্ধর্ব আজ পায়ের কাছে রেখে যায় চাপ চাপ রক্তের দাগ। আর একবার পাগল হবার আগে, অরুণোদয়ের রাগে, স্নিগ্ধ শিশিরভেজা নদী একদিন কবিকেই নিয়ে যেতে চেয়েছিল বলে প্রতিশ্রুত ছিল। আজ বোঝেন- ভিখেরি করেছে কেবল, দিনে দিনে চায় পদতলে, সে কি ছিল তেমন গৌরি? বন্ধু নেই বৃত্তি নেই, ধর্ম ও জাগরণ নেই- কেবল রণক্ষেত্রে যে সত্যটি বিলাপ করেছে প্রতিদিন- হে তরুণ তার জন্যে তোমার পদধ্বনি শুনে আমাদের বাংলা কবিতার এক চিরপ্রাজ্ঞ অভিভাবক কবি শঙ্খ ঘোষ একবারই রচনা করেছেন বাবরের প্রার্থনা

back to top