ফেনীতে টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর বেড়িবাঁধের অন্তত দুটি স্থান ভেঙে ৯টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পরশুরাম উপজেলার সিলোনিয়া নদীর কয়েকটি পুরোনো ভাঙা অংশ দিয়েও পানি লোকালয়ে ঢুকছে, বাড়িয়েছে নতুন বন্যার আশঙ্কা।
বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুরু হয়ে রাতের মধ্যে মুহুরী নদীর ফুলগাজী উপজেলার বণিকপাড়া এবং সিলোনিয়া নদীর গোসাইপুর অংশে ভাঙন দেখা দেয়। এতে উত্তর ও দক্ষিণ বড়ইয়া, বনিপাড়া, বিজয়পুর, বসন্তপুর, জগৎপুর, গোসাইপুর, নীলক্ষী ও করইয়া গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে ফুলগাজী বাজারেও গার্ডওয়াল উপচে পানি ঢুকে পড়ায় বাজার ডুবে যায়, যদিও শুক্রবার সকাল থেকে পানি কিছুটা কমে গেছে।
পরশুরামের মনিপুর গ্রামে সিলোনিয়া নদীর চারটি পুরনো ভাঙা অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত বছরের ভয়াবহ বন্যার ক্ষত এখনো মুছতে পারেননি তারা; নতুন করে বন্যার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, গত বছরের বন্যায় বেড়িবাঁধে ৫২টি ভাঙন হয়েছিল, যার মধ্যে এখনো ১০-১২টি স্থান অপর মেরামত রয়েছে। এসব অংশ দিয়েই আবারো পানি ঢুকছে জনপদে।
ফুলগাজী ইউএনও ফাহরিয়া ইসলাম, সেনাবাহিনী ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে এবং মাটির ওপর আরসিসি অংশ থাকলেও সেটিও ধসে পড়েছে।
জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধগুলো দ্রুত মেরামতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে পানি না কমলে তাৎক্ষণিক মেরামত করা সম্ভব নয় বলে জানাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫
ফেনীতে টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর বেড়িবাঁধের অন্তত দুটি স্থান ভেঙে ৯টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পরশুরাম উপজেলার সিলোনিয়া নদীর কয়েকটি পুরোনো ভাঙা অংশ দিয়েও পানি লোকালয়ে ঢুকছে, বাড়িয়েছে নতুন বন্যার আশঙ্কা।
বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুরু হয়ে রাতের মধ্যে মুহুরী নদীর ফুলগাজী উপজেলার বণিকপাড়া এবং সিলোনিয়া নদীর গোসাইপুর অংশে ভাঙন দেখা দেয়। এতে উত্তর ও দক্ষিণ বড়ইয়া, বনিপাড়া, বিজয়পুর, বসন্তপুর, জগৎপুর, গোসাইপুর, নীলক্ষী ও করইয়া গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে ফুলগাজী বাজারেও গার্ডওয়াল উপচে পানি ঢুকে পড়ায় বাজার ডুবে যায়, যদিও শুক্রবার সকাল থেকে পানি কিছুটা কমে গেছে।
পরশুরামের মনিপুর গ্রামে সিলোনিয়া নদীর চারটি পুরনো ভাঙা অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত বছরের ভয়াবহ বন্যার ক্ষত এখনো মুছতে পারেননি তারা; নতুন করে বন্যার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, গত বছরের বন্যায় বেড়িবাঁধে ৫২টি ভাঙন হয়েছিল, যার মধ্যে এখনো ১০-১২টি স্থান অপর মেরামত রয়েছে। এসব অংশ দিয়েই আবারো পানি ঢুকছে জনপদে।
ফুলগাজী ইউএনও ফাহরিয়া ইসলাম, সেনাবাহিনী ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে এবং মাটির ওপর আরসিসি অংশ থাকলেও সেটিও ধসে পড়েছে।
জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধগুলো দ্রুত মেরামতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে পানি না কমলে তাৎক্ষণিক মেরামত করা সম্ভব নয় বলে জানাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।