alt

কক্সবাজারে অবৈধ বসবাসকারীরা নাগরিক সুবিধা পাবে না: ডিসি

জসিম সিদ্দিকী, কক্সবাজার : রোববার, ০১ আগস্ট ২০২১

জীবন ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ে বসবাসকারীদের সকল ধরনের নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে পাহাড়ের বসতি থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জীবন ঝুঁকি নিয়ে যারা পাহাড়ে বসবাস করছেন তাদের বিরুদ্ধে শিগগিরই অভিযান শুরু হবে।

রোববার (১আগস্ট) বিকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মামুনুর রশীদের নেতৃত্বে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরতলীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৮টি টিম মাঠে নেমেছে। এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, জীবন ঝুঁকি নিয়ে যারা পাহাড়ে বসবাস করছেন তাদের সকল ধরনের নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হবে। ইতোমধ্যে পাহাড়ের বসতি থেকে বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সময় পাহাড়ের পাদদেশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাসকারীদের জীবন রক্ষায় সাইক্লোন শেল্টার অথবা আত্মীয়-স্বজনের বাসা বাড়িতে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন জেলা প্রশাসক। অন্যথায় কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দেন। পাহাড়ে বসবাসকারীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, টানা বর্ষণে পাহাড় ধসের ঘটনা আমাদের ভাবিয়ে তুলছে। ইতোমধ্যে অনেকের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। বিধ্বস্ত হয়েছে বসতবাড়ি। আমরা কাউকে ঝুঁকিপূর্ণস্থানে বসবাস করতে দেব না। জীবনের নিরাপত্তার বিষয়টি আপনাদেরও বুঝতে হবে। অভিযানকালে জেলা প্রশাসক সেখানকার বাসিন্দাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন এবং তাদেরকে বসতঘর তালাবদ্ধ করে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়ার জন্য বিশেষ অনুরোধ জানান। অন্যথায় প্রশাসনের টিম গিয়ে ঘরগুলো সিলগালা করে দেবে বলেও ঘোষণা দেন। এ সময় প্রায় ১ হাজার ঝুঁকিপূর্ণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে এনেছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিন আল পারভেজ বলেন, খানিকটা বিরতি দিয়ে গতরাত থেকে আবারও বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃষ্টিপাত আরও কয়েক দিন চলতে পারে৷ এই মুহুর্তে কক্সবাজার শহরসহ জেলার বিভিন্ন পাহাড়ের পাদদেশে থাকা মানুষের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে মাইকিং করা হচ্ছে। যাদের অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই তারা নিকটস্থ আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, এসব টিমে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মচারি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছেন। এ সময় কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, স্থানীয় কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন কবিরসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, কক্সবাজারে পাহাড়ের ঝুঁকিতে বসবাস করছে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। এসব মানুষের দখলে রয়েছে প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর পাহাড়। সাধারণ মানুষকে ঢাল বানিয়ে মূলত এসব পাহাড় দখলে রেখেছে ক্ষমতাসীন প্রভাবশালীরা। কক্সবাজার অঞ্চলে পাহাড় কাটার যেনো ধুম লেগেছে। এ অঞ্চলে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, সন্ত্রাসী তথা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেক সদস্য পাহাড় দখল করে বসতি গড়ছে। শুধু তাই নয়, তারা বিক্রি করছে সরকারি পাহাড়ের দখলস্বত্বও। বর্ষা এলেই পাহাড়কাটা শুরু হয় সমতল ভূমি করার চেষ্টায়। এতে ঘটে পাহাড় ধসের ঘটনা। কক্সবাজারের বহুল আলোচিত ৫১ একর পাহাড় কেটে প্লট তৈরি করেছে খোদ প্রশাসনের লোকজন।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পরিসংখ্যান মতে, বিগত এক যুগে পাহাড় ধসে ৩ শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ পাহাড় ধস হয় ২০১০ সালের ১৫ জুন। এদিন রামু উপজেলার হিমছড়ি এলাকার ১৭ ইসিবি সেনা ক্যাম্পের ৬ সেনাসদস্যসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে প্রায় ৬২ জন প্রাণ হারায়। ২০০৮ সালের ৪ ও ৬ জুলাই টেকনাফে ফকিরামুরা ও টুন্যার পাহাড় ধসের একই পরিবারের চারজনসহ ১৩ জন, ২০১২ সালে ২৬ ও ২৭ জুন পাহাড় ধসের ঘটনায় ২৯ জন, ২০০৯ সালে চকরিয়া, উখিয়া ও রামুতে ৫ জন, ২০১১-১৩ সালে পাহাড় ধসে মারা যায় ১৯ জন, ২০১৫ সালে কক্সবাজার শহরের রাডারের পাহাড় ধসে মা-মেয়েসহ ৫ জন, ২০১৬ সালে পাহাড় ধসে মারা যায় ১৭ জন, ২০১৭ সালে ২৬ জন, ২০১৮ সালের ২৫ জুলাই শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়ার বাঁচামিয়ার ঘোনা এলাকায় প্রবাসী জামাল হোসেনের এক পরিবারের ৫ জনসহ ২৮ জন, ২০১৯ সালে ২২ জন, ২০২০ সালে ১৫ জন এবং সর্বশেষ গত ২ দিনে মারা গেল ১৪ জন।

হত্যার পর লাশ ডিপ ফ্রিজে: আদালতে স্বামীর স্বীকারোক্তি

অসুস্থতার ভান করে আদালতে আসামি, জামিন নামঞ্জুর, আইনজীবীকে ভর্ৎসনা

ছবি

জরাজীর্ণ অবস্থায় পাথরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

ছবি

পোরশায় খাস পুকুরের দন্দে বৃদ্ধ নিহত

ছবি

ভালুকায় বাণিজ্যিকভাবে কলা চাষে লাভবান কৃষক

ছবি

আখের রস বিক্রি করে সংসার চলে কাশেমের

ছবি

জীবনের বৈঠা হাতে লিয়াকত মাঝি পেট চলে না তবুও হাসি আছে মুখে

ছবি

মধুপুর গড় থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন জাতের প্রাকৃতিক বন আলু

ছবি

শিক্ষার্থীদের হাত ধোয়ালেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন

ছবি

খোকসায় বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে কৃষকের মৃত্যু

ছবি

দুর্গাপুরে প্রধান শিক্ষকের রহস্যজনক মৃত্যু দোষীদের বিচারের দাবীতে মানববন্ধন

ছবি

নাটোরে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় আটক ৭

ছবি

বেতাগী সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পিন্টু গ্রেপ্তার

ছবি

বিরামপুরে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল অটোচালকের

ছবি

সুন্দরগঞ্জে কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ

ছবি

সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতাকে হত্যার চেষ্টা, এলাকাবাসির মানববন্ধন

ছবি

মোরেলগঞ্জে ২১শ’ জেলে পরিবার পাচ্ছেন মানবিক সহায়তা

ছবি

সাটুরিয়া উপজেলায় এলজিইডির কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ছবি

ব্রহ্মপুত্রের চর জুড়ে কাশফুল ইকো ট্যুরিজমের নতুন দিগন্ত

ছবি

অ্যানথ্রাক্সের রহস্য উদ্ঘাটনে মাঠে বাকৃবির গবেষকরা

ছবি

দশমিনায় সড়কের পাশে শীতকালীন সবজির আবাদ, লাভবান কৃষক

ছবি

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার প্রতিযোগিতায় অসাধু জেলেরা

ছবি

পোরশায় প্রায় রাতেই হচ্ছে ডাকাতি, আতঙ্কে এলাকাবাসী

ছবি

ডিমলা হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে ফ্যান দিলেন ইউএনও

চুনারুঘাটে ভারতে প্রবেশের সময় যুবক আটক

ছবি

নড়াইলে আ’লীগ নেতা মুক্তির জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ

ছবি

কলমাকান্দায় সাপের কামড়ে প্রাণ গেল শিশুর

ছবি

ভারতে ৩ বাংলাদেশিকে কুপিয়ে হত্যা

ছবি

লক্ষ্মীপুরে বাস কাউন্টার দখল নিয়ে যুবদলের দুই পক্ষে সংঘর্ষ, আহত ২০

ছবি

বোয়ালখালীতে পুলিশ পরিচয়ে দুই বসতঘরে ডাকাতি

ছবি

দেবিদ্বারে মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেল ৭১ রাউন্ড গুলি

ছবি

লালপুরে খেজুর গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত গাছিরা

ছবি

আগাম ধানে কৃষকের মুখে হাসি

ছবি

শৈলকুপায় জমি অধিগ্রহণে ভিটেমাটি হারানোর শঙ্কায় নাসিমা খাতুন

ছবি

সংবাদ প্রকাশের পর চান্দিনা পৌর ভবনের নির্মাণাধীন এসএস গেইট ও গ্রিল অপসারণ

ছবি

উলিপুরে ৬১৪ বস্তা নকল টিএসপি সার ধ্বংস

tab

কক্সবাজারে অবৈধ বসবাসকারীরা নাগরিক সুবিধা পাবে না: ডিসি

জসিম সিদ্দিকী, কক্সবাজার

রোববার, ০১ আগস্ট ২০২১

জীবন ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ে বসবাসকারীদের সকল ধরনের নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে পাহাড়ের বসতি থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জীবন ঝুঁকি নিয়ে যারা পাহাড়ে বসবাস করছেন তাদের বিরুদ্ধে শিগগিরই অভিযান শুরু হবে।

রোববার (১আগস্ট) বিকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মামুনুর রশীদের নেতৃত্বে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরতলীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৮টি টিম মাঠে নেমেছে। এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, জীবন ঝুঁকি নিয়ে যারা পাহাড়ে বসবাস করছেন তাদের সকল ধরনের নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হবে। ইতোমধ্যে পাহাড়ের বসতি থেকে বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সময় পাহাড়ের পাদদেশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাসকারীদের জীবন রক্ষায় সাইক্লোন শেল্টার অথবা আত্মীয়-স্বজনের বাসা বাড়িতে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন জেলা প্রশাসক। অন্যথায় কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দেন। পাহাড়ে বসবাসকারীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, টানা বর্ষণে পাহাড় ধসের ঘটনা আমাদের ভাবিয়ে তুলছে। ইতোমধ্যে অনেকের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। বিধ্বস্ত হয়েছে বসতবাড়ি। আমরা কাউকে ঝুঁকিপূর্ণস্থানে বসবাস করতে দেব না। জীবনের নিরাপত্তার বিষয়টি আপনাদেরও বুঝতে হবে। অভিযানকালে জেলা প্রশাসক সেখানকার বাসিন্দাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন এবং তাদেরকে বসতঘর তালাবদ্ধ করে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়ার জন্য বিশেষ অনুরোধ জানান। অন্যথায় প্রশাসনের টিম গিয়ে ঘরগুলো সিলগালা করে দেবে বলেও ঘোষণা দেন। এ সময় প্রায় ১ হাজার ঝুঁকিপূর্ণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে এনেছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিন আল পারভেজ বলেন, খানিকটা বিরতি দিয়ে গতরাত থেকে আবারও বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃষ্টিপাত আরও কয়েক দিন চলতে পারে৷ এই মুহুর্তে কক্সবাজার শহরসহ জেলার বিভিন্ন পাহাড়ের পাদদেশে থাকা মানুষের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে মাইকিং করা হচ্ছে। যাদের অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই তারা নিকটস্থ আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, এসব টিমে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মচারি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছেন। এ সময় কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, স্থানীয় কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন কবিরসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, কক্সবাজারে পাহাড়ের ঝুঁকিতে বসবাস করছে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। এসব মানুষের দখলে রয়েছে প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর পাহাড়। সাধারণ মানুষকে ঢাল বানিয়ে মূলত এসব পাহাড় দখলে রেখেছে ক্ষমতাসীন প্রভাবশালীরা। কক্সবাজার অঞ্চলে পাহাড় কাটার যেনো ধুম লেগেছে। এ অঞ্চলে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, সন্ত্রাসী তথা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেক সদস্য পাহাড় দখল করে বসতি গড়ছে। শুধু তাই নয়, তারা বিক্রি করছে সরকারি পাহাড়ের দখলস্বত্বও। বর্ষা এলেই পাহাড়কাটা শুরু হয় সমতল ভূমি করার চেষ্টায়। এতে ঘটে পাহাড় ধসের ঘটনা। কক্সবাজারের বহুল আলোচিত ৫১ একর পাহাড় কেটে প্লট তৈরি করেছে খোদ প্রশাসনের লোকজন।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পরিসংখ্যান মতে, বিগত এক যুগে পাহাড় ধসে ৩ শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ পাহাড় ধস হয় ২০১০ সালের ১৫ জুন। এদিন রামু উপজেলার হিমছড়ি এলাকার ১৭ ইসিবি সেনা ক্যাম্পের ৬ সেনাসদস্যসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে প্রায় ৬২ জন প্রাণ হারায়। ২০০৮ সালের ৪ ও ৬ জুলাই টেকনাফে ফকিরামুরা ও টুন্যার পাহাড় ধসের একই পরিবারের চারজনসহ ১৩ জন, ২০১২ সালে ২৬ ও ২৭ জুন পাহাড় ধসের ঘটনায় ২৯ জন, ২০০৯ সালে চকরিয়া, উখিয়া ও রামুতে ৫ জন, ২০১১-১৩ সালে পাহাড় ধসে মারা যায় ১৯ জন, ২০১৫ সালে কক্সবাজার শহরের রাডারের পাহাড় ধসে মা-মেয়েসহ ৫ জন, ২০১৬ সালে পাহাড় ধসে মারা যায় ১৭ জন, ২০১৭ সালে ২৬ জন, ২০১৮ সালের ২৫ জুলাই শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়ার বাঁচামিয়ার ঘোনা এলাকায় প্রবাসী জামাল হোসেনের এক পরিবারের ৫ জনসহ ২৮ জন, ২০১৯ সালে ২২ জন, ২০২০ সালে ১৫ জন এবং সর্বশেষ গত ২ দিনে মারা গেল ১৪ জন।

back to top