মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে তানজিম আহমদ সোহেল তাজ বলেছেন, কিছু শর্ত পূরণ না করলে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। শনিবার বিকালে বাংলা একাডেমিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন তিনি।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন সোহেল তাজ, তবে পরে দল থেকে অভিমানে পদত্যাগ করেন। ‘শতাব্দীর কণ্ঠস্বর তাজউদ্দীন আহমদ কন্যার চোখে, পুত্রের চোখে শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ তাদের ভুল ও দায়িত্বগুলো মেনে না নিলে দলের নেতৃত্বে আসার বিষয়টি বিবেচনা করব না।”
আলোচনায় সঞ্চালক তার কাছে জানতে চান, তিনি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসতে চান কি না। সোহেল তাজ জবাবে বলেন, “যারা আওয়ামী লীগকে দুর্নীতি ও অপকর্মের পথে নিয়ে গেছেন, তাদের জবাবদিহি করতে হবে। হত্যাকাণ্ড, গুমের ঘটনায় বিচার করতে হবে এবং সংগঠন হিসেবে আত্মসমালোচনা করতে হবে।”
সোহেল তাজ উল্লেখ করেন, তার বাবা তাজউদ্দীন আহমদ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিলেন এবং দলীয় দুর্নীতি নিয়ে বরাবরই সরব ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে চার জাতীয় নেতাকে হত্যার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জেল হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করে যে তিনি বাংলাদেশের প্রতি সবসময়ই বিশ্বস্ত ছিলেন।”
তাজউদ্দীনের মেয়ে শারমিন আহমদ বলেন, সরাসরি রাজনৈতিক দল করার ইচ্ছে তার নেই। তরুণ প্রজন্মকে মানুষের সেবা করতে উৎসাহিত করে তিনি বলেন, “প্রতিটি স্কুলে রাসেল কর্নারের পরিবর্তে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা কর্নার বা বীরাঙ্গনা কর্নার স্থাপন করা হলে, শিশু-কিশোররা মুক্তিযুদ্ধের আসল ইতিহাস জানতে পারত।”
অনুষ্ঠানে ঐতিহ্য প্রকাশনী থেকে তার লেখা বই ‘নেতা ও পিতা’-এর নতুন সংস্করণ প্রকাশ করা হয়।
রোববার, ১০ নভেম্বর ২০২৪
মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে তানজিম আহমদ সোহেল তাজ বলেছেন, কিছু শর্ত পূরণ না করলে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। শনিবার বিকালে বাংলা একাডেমিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন তিনি।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন সোহেল তাজ, তবে পরে দল থেকে অভিমানে পদত্যাগ করেন। ‘শতাব্দীর কণ্ঠস্বর তাজউদ্দীন আহমদ কন্যার চোখে, পুত্রের চোখে শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ তাদের ভুল ও দায়িত্বগুলো মেনে না নিলে দলের নেতৃত্বে আসার বিষয়টি বিবেচনা করব না।”
আলোচনায় সঞ্চালক তার কাছে জানতে চান, তিনি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসতে চান কি না। সোহেল তাজ জবাবে বলেন, “যারা আওয়ামী লীগকে দুর্নীতি ও অপকর্মের পথে নিয়ে গেছেন, তাদের জবাবদিহি করতে হবে। হত্যাকাণ্ড, গুমের ঘটনায় বিচার করতে হবে এবং সংগঠন হিসেবে আত্মসমালোচনা করতে হবে।”
সোহেল তাজ উল্লেখ করেন, তার বাবা তাজউদ্দীন আহমদ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিলেন এবং দলীয় দুর্নীতি নিয়ে বরাবরই সরব ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে চার জাতীয় নেতাকে হত্যার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জেল হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করে যে তিনি বাংলাদেশের প্রতি সবসময়ই বিশ্বস্ত ছিলেন।”
তাজউদ্দীনের মেয়ে শারমিন আহমদ বলেন, সরাসরি রাজনৈতিক দল করার ইচ্ছে তার নেই। তরুণ প্রজন্মকে মানুষের সেবা করতে উৎসাহিত করে তিনি বলেন, “প্রতিটি স্কুলে রাসেল কর্নারের পরিবর্তে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা কর্নার বা বীরাঙ্গনা কর্নার স্থাপন করা হলে, শিশু-কিশোররা মুক্তিযুদ্ধের আসল ইতিহাস জানতে পারত।”
অনুষ্ঠানে ঐতিহ্য প্রকাশনী থেকে তার লেখা বই ‘নেতা ও পিতা’-এর নতুন সংস্করণ প্রকাশ করা হয়।