তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায়ই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (২০ নভেম্বর) আবারো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে কলেজ দুটির শিক্ষার্থীরা। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ। এতে আহত হয়েছে অর্ধশত শিক্ষার্থী। যাদের মধ্যে ৩০ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এদিকে সংঘর্ষ শুরুর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েছে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীও রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় সায়েন্সল্যাবে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। পায়ে হেটে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা গেছে তাদের। অনেকে কয়েকদিন পরপর কলেজ দুইটির এমন কা-ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বেলা পৌনে ৩টার দিকে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের কলেজের সামনের সড়কে ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সায়েন্সল্যাব মোড়ে অবস্থান নিয়ে এক দল অপর দলকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে এবং ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া দেয়। এতে সায়েন্স ল্যাব এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসময় পুলিশ ও সেনাসদস্যরা শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হঠাৎ ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেন। ইটপাটকেল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালান। বাধ্য হয়ে পুলিশ তাদের দিকে কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেন। সুযোগ পেয়ে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা ফের ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয়। তখন তাদের দিকেও কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। এতে দুপক্ষই পিছু হটে। তবে তারা মুখোমুখি অবস্থানে থেকে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যায়। সন্ধ্যা পর্যন্ত দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করলেও পুলিশ ও সেনাবাহিনীর তৎপরতায় আর সংঘর্ষ বাধেনি।
ঢামেক সূত্র জানায়, সংঘর্ষের ঘটনায় শাহরিয়ার, নূর হোসেন, তুষার, সিজন, তানিম, দেওয়ান নাঈম, নিরব, আরাফাতসহ ৩০ জন শিক্ষার্থী ঢামেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতরা জানান, বুধবার ঢাকা কলেজের ১৮৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠান শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে বাসযোগে সব শিক্ষার্থীরা বের হয়ে যায়। তিনটি বাস সায়েন্সল্যাব মোড়ে পৌঁছালে সিটি কলেজের ছাত্ররা সেই বাসগুলো থামিয়ে ছাত্রদের মারধর করে। তবে কি কারণে তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে আহত শিক্ষার্থীরা জানাতে পারেনি।
সংঘর্ষে অংশ নেয়া ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বুধবার সকালে ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে একা পেয়ে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা মারধর করেন। এছাড়া দুপুরে ঢাকা কলেজের একটি বাসে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে কাচ ভেঙে দেয়া হয়।
ঢাকা কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী জুবায়ের আরেফিন প্রিয় অভিযোগ করেন, বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কলেজ থেকে হেঁটে বাসায় ফেরার সময় ধানমন্ডি ১ নম্বর রোডে ১০-১৫ জন কলেজ ছাত্র দৌড়ে এসে আমার মাথার পেছন দিকে আঘাত করতে শুরু করে। শার্টের পকেট ছিঁড়ে আইডি কার্ড ছিনিয়ে নেয়। আমি তাদের বলি, ভাই আমি তো কিছুই করিনি, তাহলে কী সমস্যা। তারা বলল, এইটা কলেজে কলেজে মারামারি, তুমি বুঝবে না। ছেলেগুলো কলেজ ড্রেস পরে ছিল কিন্তু গলায় কোনো আইডি কার্ড ছিল না। সাদা শার্ট-কালো প্যান্ট ও ঘাড়ে ব্যাগ ছিল। আশপাশের মানুষের মন্তব্যে বোঝা গেছে তারা সিটি কলেজের ছাত্র।
পুলিশের নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান বলেন, ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার সায়েন্স ল্যাব এলাকায় বাসে ওঠাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সঙ্গে সিটি কলেজের কয়েক শিক্ষার্থীর হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে বুধবার সকালে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা গিয়ে সিটি কলেজে ভাঙচুর চালায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিকেল পৌনে ৩টার দিকে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। তারা সায়েন্স ল্যাবের দিকে এগোয়। তখন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে এসে সায়েন্স ল্যাবের কাছাকাছি অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষ পরস্পরের দিকে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহতের ঘটনাও ঘটেছে। সংঘর্ষের কারণে সায়েন্স ল্যাবের আশপাশের সড়কগুলোতে অসহনীয় যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ধানমন্ডি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) রাজিব বলেন, বেলা তিনটার পর ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর থেকে সাইন্সল্যাবের দিকের সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিকল্প হিসেবে পান্থপথের রাস্তাটি ব্যবহারের জন্য খুলে দেয়া হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, ‘ছোট একটা হাতাহাতি ও গাড়ি ভাঙচুরের’ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও মারামারি শুরু হয়। ‘প্রথম দিকে পুলিশ শান্তিপূর্ণভাবে তাদের রাস্তা থেকে সরানোর চেষ্টা করছিল। একপর্যায়ে পরিস্থিতি এমন সংঘাতপূর্ণ হয়ে উঠল যে শিক্ষার্থীদের হতাহত হওয়ার শঙ্কা দেখা গেল। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদুনে গ্যাস ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। ‘এর মধ্যে সিটি কলেজের ছেলেরা এলাকা ছেড়ে গেলেও ঢাকা কলেজের ছেলেরা তাদের কলেজের সামনে সন্ধ্যা ৬টার দিকে আবারও অবস্থান নিয়েছে।’
প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ মোট ৭ দফা দাবিতে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিন রাতেই বন্ধ হয়ে যায় কলেজ। টানা ২০ দিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার সিটি কলেজ খুলেছিল। একাদশ শ্রেণীর ক্লাসের মাধ্যমে কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। বুধবার দ্বাদশ এবং আজ বৃহস্পতিবার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণীর ক্লাসও শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে খোলার একদিনের মাথায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লো কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায়ই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (২০ নভেম্বর) আবারো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে কলেজ দুটির শিক্ষার্থীরা। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ। এতে আহত হয়েছে অর্ধশত শিক্ষার্থী। যাদের মধ্যে ৩০ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এদিকে সংঘর্ষ শুরুর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েছে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীও রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় সায়েন্সল্যাবে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। পায়ে হেটে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা গেছে তাদের। অনেকে কয়েকদিন পরপর কলেজ দুইটির এমন কা-ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বেলা পৌনে ৩টার দিকে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের কলেজের সামনের সড়কে ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সায়েন্সল্যাব মোড়ে অবস্থান নিয়ে এক দল অপর দলকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে এবং ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া দেয়। এতে সায়েন্স ল্যাব এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসময় পুলিশ ও সেনাসদস্যরা শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হঠাৎ ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেন। ইটপাটকেল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালান। বাধ্য হয়ে পুলিশ তাদের দিকে কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেন। সুযোগ পেয়ে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা ফের ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয়। তখন তাদের দিকেও কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। এতে দুপক্ষই পিছু হটে। তবে তারা মুখোমুখি অবস্থানে থেকে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যায়। সন্ধ্যা পর্যন্ত দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করলেও পুলিশ ও সেনাবাহিনীর তৎপরতায় আর সংঘর্ষ বাধেনি।
ঢামেক সূত্র জানায়, সংঘর্ষের ঘটনায় শাহরিয়ার, নূর হোসেন, তুষার, সিজন, তানিম, দেওয়ান নাঈম, নিরব, আরাফাতসহ ৩০ জন শিক্ষার্থী ঢামেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতরা জানান, বুধবার ঢাকা কলেজের ১৮৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠান শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে বাসযোগে সব শিক্ষার্থীরা বের হয়ে যায়। তিনটি বাস সায়েন্সল্যাব মোড়ে পৌঁছালে সিটি কলেজের ছাত্ররা সেই বাসগুলো থামিয়ে ছাত্রদের মারধর করে। তবে কি কারণে তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে আহত শিক্ষার্থীরা জানাতে পারেনি।
সংঘর্ষে অংশ নেয়া ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বুধবার সকালে ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে একা পেয়ে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা মারধর করেন। এছাড়া দুপুরে ঢাকা কলেজের একটি বাসে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে কাচ ভেঙে দেয়া হয়।
ঢাকা কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী জুবায়ের আরেফিন প্রিয় অভিযোগ করেন, বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কলেজ থেকে হেঁটে বাসায় ফেরার সময় ধানমন্ডি ১ নম্বর রোডে ১০-১৫ জন কলেজ ছাত্র দৌড়ে এসে আমার মাথার পেছন দিকে আঘাত করতে শুরু করে। শার্টের পকেট ছিঁড়ে আইডি কার্ড ছিনিয়ে নেয়। আমি তাদের বলি, ভাই আমি তো কিছুই করিনি, তাহলে কী সমস্যা। তারা বলল, এইটা কলেজে কলেজে মারামারি, তুমি বুঝবে না। ছেলেগুলো কলেজ ড্রেস পরে ছিল কিন্তু গলায় কোনো আইডি কার্ড ছিল না। সাদা শার্ট-কালো প্যান্ট ও ঘাড়ে ব্যাগ ছিল। আশপাশের মানুষের মন্তব্যে বোঝা গেছে তারা সিটি কলেজের ছাত্র।
পুলিশের নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান বলেন, ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার সায়েন্স ল্যাব এলাকায় বাসে ওঠাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সঙ্গে সিটি কলেজের কয়েক শিক্ষার্থীর হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে বুধবার সকালে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা গিয়ে সিটি কলেজে ভাঙচুর চালায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিকেল পৌনে ৩টার দিকে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। তারা সায়েন্স ল্যাবের দিকে এগোয়। তখন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে এসে সায়েন্স ল্যাবের কাছাকাছি অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষ পরস্পরের দিকে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহতের ঘটনাও ঘটেছে। সংঘর্ষের কারণে সায়েন্স ল্যাবের আশপাশের সড়কগুলোতে অসহনীয় যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ধানমন্ডি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) রাজিব বলেন, বেলা তিনটার পর ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর থেকে সাইন্সল্যাবের দিকের সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিকল্প হিসেবে পান্থপথের রাস্তাটি ব্যবহারের জন্য খুলে দেয়া হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, ‘ছোট একটা হাতাহাতি ও গাড়ি ভাঙচুরের’ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও মারামারি শুরু হয়। ‘প্রথম দিকে পুলিশ শান্তিপূর্ণভাবে তাদের রাস্তা থেকে সরানোর চেষ্টা করছিল। একপর্যায়ে পরিস্থিতি এমন সংঘাতপূর্ণ হয়ে উঠল যে শিক্ষার্থীদের হতাহত হওয়ার শঙ্কা দেখা গেল। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদুনে গ্যাস ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। ‘এর মধ্যে সিটি কলেজের ছেলেরা এলাকা ছেড়ে গেলেও ঢাকা কলেজের ছেলেরা তাদের কলেজের সামনে সন্ধ্যা ৬টার দিকে আবারও অবস্থান নিয়েছে।’
প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ মোট ৭ দফা দাবিতে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিন রাতেই বন্ধ হয়ে যায় কলেজ। টানা ২০ দিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার সিটি কলেজ খুলেছিল। একাদশ শ্রেণীর ক্লাসের মাধ্যমে কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। বুধবার দ্বাদশ এবং আজ বৃহস্পতিবার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণীর ক্লাসও শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে খোলার একদিনের মাথায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লো কলেজের শিক্ষার্থীরা।