ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত যুবদল নেতা শামীম মোল্লা হত্যা মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এবং সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান সেলিমকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে বিএনপি কর্মী মকবুল হত্যা মামলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর রহমানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলাম এই আদেশ দেন। পল্টন থানায় দায়ের করা পৃথক দুটি হত্যা মামলায় এসব রিমান্ড মঞ্জুর হয়।
আজ সকাল ৭টার পর কারাগার থেকে সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও সাবেক এমপি সোলায়মান সেলিমকে আদালতে হাজির করা হয়। পুলিশ তাঁদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড আবেদন বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন।
শুনানিতে কামরুল ইসলাম দাবি করেন, তিনি ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন এবং ঘটনাস্থল তাঁর সংসদীয় এলাকার অন্তর্ভুক্ত নয়। তিনি রিমান্ড বাতিলের আবেদন জানান। সোলায়মান সেলিমের আইনজীবীও একই দাবি করেন, তাঁর মক্কেল ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবে জড়িত নন।
দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনে আদালত তাঁদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে সংঘর্ষে যুবদল নেতা শামীম মোল্লা নিহত হন। এ ঘটনায় ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের সাবেক এক নেতা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৭০৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এজাহারে কামরুল ইসলাম ও সোলায়মান সেলিমের নামও উল্লেখ করা হয়।
এর আগে ১৯ নভেম্বর কামরুল ইসলামকে নিউমার্কেট থানার একটি হত্যা মামলায় আট দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। একইভাবে, ২৭ নভেম্বর সোলায়মান সেলিমের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয় পৃথক দুটি হত্যা মামলায়। পল্টন থানায় দায়ের করা বিএনপি কর্মী মকবুল হত্যা মামলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর রহমানকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। নজিবুর রহমানের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন জানান। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে সংঘর্ষের সময় মকবুল নামের এক দলীয় কর্মী নিহত হন। এ ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ২৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি মাহফুজার রহমান নামের এক ব্যক্তি গত ৩০ সেপ্টেম্বর পল্টন থানায় করেন। এছাড়াও, রাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের করা পৃথক মামলায় আরও কয়েকজন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তার আদেশ দেন।
সালমান এফ রহমান: নিউমার্কেট থানার একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
কামাল আহমেদ মজুমদার: রামপুরা, কাফরুল ও মিরপুর থানার তিনটি পৃথক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গোলাম কিবরিয়া টিপু: হাতিরঝিল থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মাহবুব আলী: মিরপুর থানার দুটি পৃথক মামলায় গ্রেপ্তার আদেশ।
রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু ও মোজাম্মেল হক: মতিঝিল থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। রিমান্ড শুনানিতে কামরুল ইসলাম আদালতে বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন। অন্যদিকে সোলায়মান সেলিমের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেল কোনো ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত নন।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রিমান্ডে নিয়ে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত সত্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে। আদালত এই যুক্তি বিবেচনায় নিয়েই রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এই হত্যাকাণ্ডগুলোর সঙ্গে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বিচার বিভাগ সক্রিয় রয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত যুবদল নেতা শামীম মোল্লা হত্যা মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এবং সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান সেলিমকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে বিএনপি কর্মী মকবুল হত্যা মামলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর রহমানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলাম এই আদেশ দেন। পল্টন থানায় দায়ের করা পৃথক দুটি হত্যা মামলায় এসব রিমান্ড মঞ্জুর হয়।
আজ সকাল ৭টার পর কারাগার থেকে সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও সাবেক এমপি সোলায়মান সেলিমকে আদালতে হাজির করা হয়। পুলিশ তাঁদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড আবেদন বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন।
শুনানিতে কামরুল ইসলাম দাবি করেন, তিনি ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন এবং ঘটনাস্থল তাঁর সংসদীয় এলাকার অন্তর্ভুক্ত নয়। তিনি রিমান্ড বাতিলের আবেদন জানান। সোলায়মান সেলিমের আইনজীবীও একই দাবি করেন, তাঁর মক্কেল ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবে জড়িত নন।
দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনে আদালত তাঁদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে সংঘর্ষে যুবদল নেতা শামীম মোল্লা নিহত হন। এ ঘটনায় ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের সাবেক এক নেতা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৭০৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এজাহারে কামরুল ইসলাম ও সোলায়মান সেলিমের নামও উল্লেখ করা হয়।
এর আগে ১৯ নভেম্বর কামরুল ইসলামকে নিউমার্কেট থানার একটি হত্যা মামলায় আট দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। একইভাবে, ২৭ নভেম্বর সোলায়মান সেলিমের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয় পৃথক দুটি হত্যা মামলায়। পল্টন থানায় দায়ের করা বিএনপি কর্মী মকবুল হত্যা মামলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর রহমানকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। নজিবুর রহমানের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন জানান। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে সংঘর্ষের সময় মকবুল নামের এক দলীয় কর্মী নিহত হন। এ ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ২৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি মাহফুজার রহমান নামের এক ব্যক্তি গত ৩০ সেপ্টেম্বর পল্টন থানায় করেন। এছাড়াও, রাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের করা পৃথক মামলায় আরও কয়েকজন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তার আদেশ দেন।
সালমান এফ রহমান: নিউমার্কেট থানার একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
কামাল আহমেদ মজুমদার: রামপুরা, কাফরুল ও মিরপুর থানার তিনটি পৃথক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গোলাম কিবরিয়া টিপু: হাতিরঝিল থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মাহবুব আলী: মিরপুর থানার দুটি পৃথক মামলায় গ্রেপ্তার আদেশ।
রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু ও মোজাম্মেল হক: মতিঝিল থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। রিমান্ড শুনানিতে কামরুল ইসলাম আদালতে বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন। অন্যদিকে সোলায়মান সেলিমের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেল কোনো ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত নন।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রিমান্ডে নিয়ে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত সত্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে। আদালত এই যুক্তি বিবেচনায় নিয়েই রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এই হত্যাকাণ্ডগুলোর সঙ্গে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বিচার বিভাগ সক্রিয় রয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।