# ‘নারাজি’ আবেদন করবে বাদী নুসরাত # আনভীরের বিদেশ যাত্রায় বাধা নাই
লকডাউনের কারণে নিয়মিত আদালত বন্ধ থাকায় মুনিয়া ‘আত্মহত্যা প্ররোচনা’ মামলা থেকে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরকে অব্যাহতি দিয়ে পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হয়নি গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই)।
মুনিয়ার বোনের অভিযোগ তদন্ত প্রভাবিত, হারিয়েছেন চাকরী
আদালত সূত্র জানায়, মামলা পরিচালনার জন্য গতকাল বাদিপক্ষ আদালতে আইনজীবির নাম উল্লেখ করে ওকালত দাখিল করেছে। এদিন পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বাদি পক্ষের ‘নারাজি’ পিটিশন দাখিলে সময়ের আবেদন আদালত গ্রহণ করেননি। নিয়মিত আদালত চালু হলে ‘নারাজি’ আবেদন দিতে বলা হয়েছে। লকডাউনের কারণে আদালতের নিয়মিত কার্যক্রম না থাকায় গতকাল মামলার কোন কাজ হয়নি।
এদিকে, গত ১৯ জুলাই পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন আনভীরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। গত ২৭ এপ্রিল পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আনভীরের বিদেশযাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল মুখ্য মহানগর হাকিম।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. সরোয়ার আলম সংবাদকে বলেন, “আদালতে আমাদের আজ দুইটা আবেদন দেওয়ার কথা ছিল। একটি হচ্ছে ‘নারাজি’ আবেদন দাখিলের জন্য সময়ের আবেদন। আরেকটি ছিল রাষ্ট্রপক্ষকে সহায়তা করতে ব্যক্তিগত আইনজীবি নিয়োগের আবেদন। আমরা আবেদনগুলো নিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (সিএমএম) সাধারণ নিবন্ধন শাখায় (জিআরও) গেলাম, কিন্তু তিনি আবেদন গ্রহণ করেন নাই।“
বাংলাদেশের ‘বিচার পাওয়ার প্রতিটা ধাপই একটি যুদ্ধের’ মত উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, “সেখান থেকে আমরা সিএমএমের কাছে গিলাম। তিনি (সিএমএম) বলনে প্রডাকশন কোর্টে জমা দেওয়ার জন্য। আমরা ৩টার দিকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে গেলাম। তিনি (মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট) বলেন, এ সংক্রান্ত কোন আদেশ তার কাছে নাই। তাই তিনি এটা নিতে পারবেন না। পরবর্তীতে আমরা আবারও সিএমএমের কাছে গেলাম। তখন সিএমএমের পেশকার ওকালতনামা আদালতে জমা দেন।“
তিনি বলেন, লকডাউনের কারণে বর্তমানে কোর্টের নিয়মিত কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। নিয়মিত আদালত চালু হলে মামলার একটা তারিখ পড়বে। তার আগেই তারা ‘নারাজি’ পিটিশন জমা দেবেন।
মামলার বাদী নুসরাত জাহানের অভিযোগ ‘প্রভাবিত হয়ে’ সায়েম সোবহান আনভীরকে অব্যাহতি দিয়ে পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছে। তার অভিযোগ এই মামলায় তিনি পুলিশের কাছ থেকে কোনও সহায়তা পাননি। তিনি জানান ১৯ জুলাই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দেয়া হলেও তিনি নোটিশ পেয়েছেন ২৫ জুলাই।
নুসরাত ময়না তদন্ত, ফরেনসিক আলামত নষ্ট করা সহ আরও অনেক অভিযোগ করেছেন। তিনি এই অভিযোগও করেছেন ‘সমঝোতায় রাজী হননি’ বলে তাকে ব্যাঙ্কের চাকরিও খোয়াতে হয়েছে।
গত ২৬ এপ্রিল গুলশানে একটি ফ্ল্যাট থেকে কলেজ ছাত্রী মুনিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ফ্ল্যাট থেকে বিভিন্ন আলামতের মধ্যে কয়েকটি ডায়েরি পায় পুলিশ। যেগুলো ছিলো মুনিয়ার ব্যাক্তিগত। ওই ডায়েরির লেখা থেকে পুলিশ জানতে পারে মুনিয়ার সঙ্গে বসুন্ধরার এমডি আনভীরের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। মুনিয়াকে ‘বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দেওয়ার স্বপ্ন’ আনভীর দেখিয়েছে বলে জানায় পুলিশ। স্ত্রী পরিচয় দিয়ে মুনিয়াকে বাসাও ভাড়া নিয়ে দেয় আনভীর। যে বাসায় আনভীরের যাতায়াত ছিলো।
# ‘নারাজি’ আবেদন করবে বাদী নুসরাত # আনভীরের বিদেশ যাত্রায় বাধা নাই
বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১
লকডাউনের কারণে নিয়মিত আদালত বন্ধ থাকায় মুনিয়া ‘আত্মহত্যা প্ররোচনা’ মামলা থেকে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরকে অব্যাহতি দিয়ে পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হয়নি গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই)।
মুনিয়ার বোনের অভিযোগ তদন্ত প্রভাবিত, হারিয়েছেন চাকরী
আদালত সূত্র জানায়, মামলা পরিচালনার জন্য গতকাল বাদিপক্ষ আদালতে আইনজীবির নাম উল্লেখ করে ওকালত দাখিল করেছে। এদিন পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বাদি পক্ষের ‘নারাজি’ পিটিশন দাখিলে সময়ের আবেদন আদালত গ্রহণ করেননি। নিয়মিত আদালত চালু হলে ‘নারাজি’ আবেদন দিতে বলা হয়েছে। লকডাউনের কারণে আদালতের নিয়মিত কার্যক্রম না থাকায় গতকাল মামলার কোন কাজ হয়নি।
এদিকে, গত ১৯ জুলাই পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন আনভীরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। গত ২৭ এপ্রিল পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আনভীরের বিদেশযাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল মুখ্য মহানগর হাকিম।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. সরোয়ার আলম সংবাদকে বলেন, “আদালতে আমাদের আজ দুইটা আবেদন দেওয়ার কথা ছিল। একটি হচ্ছে ‘নারাজি’ আবেদন দাখিলের জন্য সময়ের আবেদন। আরেকটি ছিল রাষ্ট্রপক্ষকে সহায়তা করতে ব্যক্তিগত আইনজীবি নিয়োগের আবেদন। আমরা আবেদনগুলো নিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (সিএমএম) সাধারণ নিবন্ধন শাখায় (জিআরও) গেলাম, কিন্তু তিনি আবেদন গ্রহণ করেন নাই।“
বাংলাদেশের ‘বিচার পাওয়ার প্রতিটা ধাপই একটি যুদ্ধের’ মত উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, “সেখান থেকে আমরা সিএমএমের কাছে গিলাম। তিনি (সিএমএম) বলনে প্রডাকশন কোর্টে জমা দেওয়ার জন্য। আমরা ৩টার দিকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে গেলাম। তিনি (মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট) বলেন, এ সংক্রান্ত কোন আদেশ তার কাছে নাই। তাই তিনি এটা নিতে পারবেন না। পরবর্তীতে আমরা আবারও সিএমএমের কাছে গেলাম। তখন সিএমএমের পেশকার ওকালতনামা আদালতে জমা দেন।“
তিনি বলেন, লকডাউনের কারণে বর্তমানে কোর্টের নিয়মিত কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। নিয়মিত আদালত চালু হলে মামলার একটা তারিখ পড়বে। তার আগেই তারা ‘নারাজি’ পিটিশন জমা দেবেন।
মামলার বাদী নুসরাত জাহানের অভিযোগ ‘প্রভাবিত হয়ে’ সায়েম সোবহান আনভীরকে অব্যাহতি দিয়ে পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছে। তার অভিযোগ এই মামলায় তিনি পুলিশের কাছ থেকে কোনও সহায়তা পাননি। তিনি জানান ১৯ জুলাই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দেয়া হলেও তিনি নোটিশ পেয়েছেন ২৫ জুলাই।
নুসরাত ময়না তদন্ত, ফরেনসিক আলামত নষ্ট করা সহ আরও অনেক অভিযোগ করেছেন। তিনি এই অভিযোগও করেছেন ‘সমঝোতায় রাজী হননি’ বলে তাকে ব্যাঙ্কের চাকরিও খোয়াতে হয়েছে।
গত ২৬ এপ্রিল গুলশানে একটি ফ্ল্যাট থেকে কলেজ ছাত্রী মুনিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ফ্ল্যাট থেকে বিভিন্ন আলামতের মধ্যে কয়েকটি ডায়েরি পায় পুলিশ। যেগুলো ছিলো মুনিয়ার ব্যাক্তিগত। ওই ডায়েরির লেখা থেকে পুলিশ জানতে পারে মুনিয়ার সঙ্গে বসুন্ধরার এমডি আনভীরের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। মুনিয়াকে ‘বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দেওয়ার স্বপ্ন’ আনভীর দেখিয়েছে বলে জানায় পুলিশ। স্ত্রী পরিচয় দিয়ে মুনিয়াকে বাসাও ভাড়া নিয়ে দেয় আনভীর। যে বাসায় আনভীরের যাতায়াত ছিলো।