alt

পরিচয়ে টাকা, কাগজপত্র গ্রহণেও টাকা, পরে উধাও

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

তারা পরস্পর বন্ধু। গ্রেফতার নাজির একটি হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়। আর এই চক্রের মূলহোতা কামরুজ্জামান ভুয়া সেনা কর্মকর্তা। নাজির কৌশলে সাধারণ মানুষের সাথে চাকুরী দেয়ার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে। ভিকটিমের বিশ্বস্ততা অর্জনের পর সে (নাজির) তার বন্ধু কামরুজ্জামানকে সেনাবাহিনীর উধ্বৃতন কর্মকর্তা হিসেবে ভিকটিমের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।

পরে, কামরুজ্জামান ভিকটিমকে আশ্বস্থ করে, ইতোপূর্বে সে বহু লোককে সেনাবাহিনীতে চাকুরি দিয়েছে। তবে চাকুরী পেতে হলে সেনাবাহিনীর নিয়োগ বোর্ডে যারা থাকে তাদেরকে ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে। এভাবে প্রথমে সে একটি চুক্তিনামা করে টাকা নিজের কাছে নিয়ে নেই। তারপর প্রার্থীর নিকট থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদনপত্র গ্রহণ করে।

আজ সোমবার (১৩ সেপ্টোম্বর) বিকালে র‌্যাব-৩ এর সহকারী পরিচালক মিডিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রাণী দাস এক বার্তায় এতথ্য জানান। রাজধানীর সূত্রাপুর ও গাজীপুর জেলার শ্রীপুর এলাকায় পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে নাজির হোসেন (৩২) ও কামরুজ্জামান (৩৩) নামের প্রতারক চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৩।

এরপর আরেক ধাপে শুরু হয় প্রতারণা, চাকুরি প্রার্থীকে জানানো হয় আপনাকে (ভিকটিম) একটি পদের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। তবে নিয়োগ পত্র পেতে হলে আরও ২ লক্ষ টাকা দিতে হবে। এভাবে সে ধাপে ধাপে ভিকটিমের নিকট থেকে টাকা আদায় করতে থাকে। একপর্যায়ে ভিকটিমকে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে। পরে নিজেদের চলাচলের অবস্থা পরিবর্তন করে ফেলে। এভাবেই চক্রটি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনের কাছ থেকে এভাবে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।

তিনি জানান, র‌্যাব ৩ সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে জানতে পারে, প্রতারক চক্রের সদস্য নাজির হোসেন ও কামরুজ্জামান দীর্ঘদিন যাবত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে মেস ওয়েটার ও সৈনিক পদে চাকুরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাধারণ জনগণকে বিভিন্ন ভাবে প্রলুব্ধ করে ভূয়া নিয়োগপত্র প্রদানের মাধ্যমে মোটা অংকের অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে সূত্রাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ছবি

রিকশা চালককে থানায় আটকে নির্যাতন, এসআইয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন

ছবি

মানিলন্ডারিং: সাকিবকে দুদকে তলব

ছবি

নবাবগঞ্জে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, ধর্ষক গ্রেপ্তার

ছবি

আদালতে জবানবন্দি: জুবায়েদের ছাত্রী সৈকতকে জানায়, ‘ভাইরে কে জানি মাইরা ফেলছে’

ছবি

সৈয়দপুরে প্রতিবন্ধী যুবতী ধর্ষণ মামলায় আসামী অধরা

ছবি

সৈয়দপুরে প্রতিবন্ধী যুবতী ধর্ষণ মামলায় আসামী অধরা

ছবি

দৌলতপুরে চেয়ারম্যান হত্যা মামলার আসামী গ্রেপ্তার

ছবি

সাবেক ভূমিমন্ত্রীর স্বার্থসংশ্লিষ্ট তিন ব্যক্তির শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ

ছবি

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক

ছবি

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও তার স্ত্রীর ৩৩ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

ছবি

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় কারাগারে ঢাবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার লাভলু

ছবি

সীমান্তবর্তী জেলায় মহাসড়কে ডাকাতি, ১০ মাসে ৫৯৪টি ডাকাতির মামলা

ছবি

মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের এমডির বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

প্রসিকিউশন ভবনের সামনে ককটেল সদৃশ্য ‘বোমা’ নিক্ষেপ

ছবি

১০ মাসে সারাদেশে ৩,২৩০ হত্যাকাণ্ড

ছবি

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মসজিদের ইমামের স্ত্রীকে হত্যা

ছবি

মামুন হত্যা: ৫ দিন পর মামলা, আসামি ‘অজ্ঞাত’

ছবি

৩৫৮ কোটি টাকা ‘ক্ষতি’, রেলের সাবেক ডিজিসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ছবি

চট্টগ্রামে মোবাইল মেকানিককে হত্যায় গ্রেপ্তার ৩

ছবি

অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও তার ভাই ২৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন

ছবি

কুষ্টিয়ায় ট্রাকে আগুন

ছবি

যশোরে বোমা, ছুরি ও তলোয়ারসহ আটক ১

ছবি

হাইকোর্টের সামনে খণ্ডিত লাশ: ‘প্রেমঘটিত সংকট’ বলছে ডিবি

ছবি

চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীকে ‘ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারার’ হুমকি

ছবি

বিচারকের ছেলে হত্যা মামলা: লিমন মিয়ার পাঁচ দিনের রিমান্ড, পুলিশ কমিশনারকে আদালতের নোটিশ

সখীপুরে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে অব্যাহতি

ছবি

মোহনপুরে শটগান, স্পিড বোর্টসহ ৫ ডাকাত আটক

ছবি

চট্টগ্রামে জালিয়াতির অভিযোগে ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কচুয়ায় গণ-ধর্ষণ মামলার আসামী গ্রেপ্তার

ছবি

শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায় ১৭ নভেম্বর

ছবি

‘অর্থ পাচার’: স্ত্রীসহ মহীউদ্দীন খান আলমগীরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ছবি

অন্তঃকোন্দলে ‘২ লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি’ দিয়ে মামুনকে হত্যা: ডিবি

ছবি

‘অর্থ আত্মসাৎ’: জয়, পুতুল ও ববিসহ আটজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ছবি

নরসিংদীতে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

ছবি

১০ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা ‘আত্মসাৎ’: এস আলমসহ ৬৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

‘প্লট দুর্নীতি’: হাসিনা, রেহানা ও টিউলিপের মামলায় আরও ২২ জনের সাক্ষ্য

tab

পরিচয়ে টাকা, কাগজপত্র গ্রহণেও টাকা, পরে উধাও

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

তারা পরস্পর বন্ধু। গ্রেফতার নাজির একটি হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়। আর এই চক্রের মূলহোতা কামরুজ্জামান ভুয়া সেনা কর্মকর্তা। নাজির কৌশলে সাধারণ মানুষের সাথে চাকুরী দেয়ার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে। ভিকটিমের বিশ্বস্ততা অর্জনের পর সে (নাজির) তার বন্ধু কামরুজ্জামানকে সেনাবাহিনীর উধ্বৃতন কর্মকর্তা হিসেবে ভিকটিমের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।

পরে, কামরুজ্জামান ভিকটিমকে আশ্বস্থ করে, ইতোপূর্বে সে বহু লোককে সেনাবাহিনীতে চাকুরি দিয়েছে। তবে চাকুরী পেতে হলে সেনাবাহিনীর নিয়োগ বোর্ডে যারা থাকে তাদেরকে ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে। এভাবে প্রথমে সে একটি চুক্তিনামা করে টাকা নিজের কাছে নিয়ে নেই। তারপর প্রার্থীর নিকট থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদনপত্র গ্রহণ করে।

আজ সোমবার (১৩ সেপ্টোম্বর) বিকালে র‌্যাব-৩ এর সহকারী পরিচালক মিডিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রাণী দাস এক বার্তায় এতথ্য জানান। রাজধানীর সূত্রাপুর ও গাজীপুর জেলার শ্রীপুর এলাকায় পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে নাজির হোসেন (৩২) ও কামরুজ্জামান (৩৩) নামের প্রতারক চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৩।

এরপর আরেক ধাপে শুরু হয় প্রতারণা, চাকুরি প্রার্থীকে জানানো হয় আপনাকে (ভিকটিম) একটি পদের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। তবে নিয়োগ পত্র পেতে হলে আরও ২ লক্ষ টাকা দিতে হবে। এভাবে সে ধাপে ধাপে ভিকটিমের নিকট থেকে টাকা আদায় করতে থাকে। একপর্যায়ে ভিকটিমকে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে। পরে নিজেদের চলাচলের অবস্থা পরিবর্তন করে ফেলে। এভাবেই চক্রটি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনের কাছ থেকে এভাবে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।

তিনি জানান, র‌্যাব ৩ সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে জানতে পারে, প্রতারক চক্রের সদস্য নাজির হোসেন ও কামরুজ্জামান দীর্ঘদিন যাবত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে মেস ওয়েটার ও সৈনিক পদে চাকুরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাধারণ জনগণকে বিভিন্ন ভাবে প্রলুব্ধ করে ভূয়া নিয়োগপত্র প্রদানের মাধ্যমে মোটা অংকের অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে সূত্রাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

back to top