ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘদিনের পারমাণবিক বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে একটি ‘শান্তিপূর্ণ’ চুক্তি করতে চায় ইরান। তবে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে কোনও আপস করবে না তেহরান। জানিয়েছেন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সাঈদ খাতিবজাদে। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য দিয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত ১২তম আবুধাবি স্ট্র্যাটেজিক ডিবেটে বক্তৃতাকালে খাতিবজাদে বলেন, ওয়াশিংটন তৃতীয় দেশের মাধ্যমে তেহরানকে পারমাণবিক আলোচনা বিষয়ে বিপরীতধর্মী বার্তা পাঠাচ্ছে। খাতিবজাদে বলেন, দুই দেশের মধ্যে এখনও বড় ধরনের মতপার্থক্য রয়ে গেছে, বিশেষ করে ইরানি ভূখণ্ডে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ইস্যুতে।
খাতিবজাদে বলেন, “তেহরান পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে চায় না এবং সে বিষয়ে বিশ্বকে আশ্বস্ত করতে প্রস্তুত। আমরা আমাদের নিজস্ব পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে গর্বিত।” যুক্তরাষ্ট্র চায়, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম সম্পূর্ণ শূন্যে নামিয়ে আনা হোক, যাতে অস্ত্র তৈরির ঝুঁকি না থাকে। কিন্তু তেহরান এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র, তার ইউরোপীয় মিত্র এবং ইসরায়েল তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে অস্ত্র তৈরির ছদ্মবেশ হিসেবে অভিযুক্ত করে আসছে। তবে ইরান বরাবরই দাবি করে এসেছে, তার পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও চিকিৎসা গবেষণার জন্য পরিচালিত। গত অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “যখন ইরান প্রস্তুত, যুক্তরাষ্ট্রও একটি চুক্তি করতে প্রস্তুত। ইরানের প্রতি বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার হাত খোলা রয়েছে।”
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘদিনের পারমাণবিক বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে একটি ‘শান্তিপূর্ণ’ চুক্তি করতে চায় ইরান। তবে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে কোনও আপস করবে না তেহরান। জানিয়েছেন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সাঈদ খাতিবজাদে। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য দিয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত ১২তম আবুধাবি স্ট্র্যাটেজিক ডিবেটে বক্তৃতাকালে খাতিবজাদে বলেন, ওয়াশিংটন তৃতীয় দেশের মাধ্যমে তেহরানকে পারমাণবিক আলোচনা বিষয়ে বিপরীতধর্মী বার্তা পাঠাচ্ছে। খাতিবজাদে বলেন, দুই দেশের মধ্যে এখনও বড় ধরনের মতপার্থক্য রয়ে গেছে, বিশেষ করে ইরানি ভূখণ্ডে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ইস্যুতে।
খাতিবজাদে বলেন, “তেহরান পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে চায় না এবং সে বিষয়ে বিশ্বকে আশ্বস্ত করতে প্রস্তুত। আমরা আমাদের নিজস্ব পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে গর্বিত।” যুক্তরাষ্ট্র চায়, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম সম্পূর্ণ শূন্যে নামিয়ে আনা হোক, যাতে অস্ত্র তৈরির ঝুঁকি না থাকে। কিন্তু তেহরান এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র, তার ইউরোপীয় মিত্র এবং ইসরায়েল তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে অস্ত্র তৈরির ছদ্মবেশ হিসেবে অভিযুক্ত করে আসছে। তবে ইরান বরাবরই দাবি করে এসেছে, তার পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও চিকিৎসা গবেষণার জন্য পরিচালিত। গত অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “যখন ইরান প্রস্তুত, যুক্তরাষ্ট্রও একটি চুক্তি করতে প্রস্তুত। ইরানের প্রতি বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার হাত খোলা রয়েছে।”