বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) মামলা করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। শুক্রবার যুক্তরাজ্যের লন্ডন-বাংলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মামলার বিষয়ে জানান ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল আরেফিন, যিনি আরও দুই ব্রিটিশ আইনজীবী, সারাহ ফোরে ও এমিল লিক্সান্দ্রুর সঙ্গে এই মামলা দাখিল করেছেন।
আইনজীবী আশরাফুল আরেফিন জানান, মামলাটি রোম স্ট্যাটিউটের ১৫ অনুচ্ছেদের অধীনে দায়ের করা হয়েছে এবং এর মাধ্যমে আইসিসিতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে বলা হয়, কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকার বিভিন্ন অমানবিক পদক্ষেপ নিয়েছে। এ পদক্ষেপের মধ্যে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, বিচারবহির্ভূত হত্যা, গোপন কারাগারে নির্যাতন এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা প্রদান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তিনি জানান, জুলাই ও অগাস্টের আন্দোলনের সময় পুলিশ এবং ছাত্রলীগের সহিংসতায় শতাধিক মানুষ নিহত হন এবং বহু আহত ও পঙ্গু হন। এছাড়া আন্দোলনের সময় সরকারের পক্ষ থেকে সহিংসতার ঘটনার প্রমাণ হিসেবে ভিডিও, প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষ্য এবং প্রামাণ্য দলিলপত্র আইসিসিতে জমা দেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক আদালতের কাছে এই অভিযোগ আনার কারণ হিসেবে আশরাফুল জানান, বাংলাদেশে এসব অপরাধের নিরপেক্ষ তদন্তের সম্ভাবনা অনিশ্চিত। শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন এবং তার প্রতি রাজনৈতিক সহায়তার কারণে বাংলাদেশে স্থানীয় আদালতে কোনও দণ্ড কার্যকর হওয়ার বিষয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে ভারত তাকে হস্তান্তর করতে বাধ্য হতে পারে।
এই মামলার মাধ্যমে মানবাধিকারের পক্ষে আন্তর্জাতিক স্তরে পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন জানানো হয়েছে।
রোববার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) মামলা করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। শুক্রবার যুক্তরাজ্যের লন্ডন-বাংলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মামলার বিষয়ে জানান ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল আরেফিন, যিনি আরও দুই ব্রিটিশ আইনজীবী, সারাহ ফোরে ও এমিল লিক্সান্দ্রুর সঙ্গে এই মামলা দাখিল করেছেন।
আইনজীবী আশরাফুল আরেফিন জানান, মামলাটি রোম স্ট্যাটিউটের ১৫ অনুচ্ছেদের অধীনে দায়ের করা হয়েছে এবং এর মাধ্যমে আইসিসিতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে বলা হয়, কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকার বিভিন্ন অমানবিক পদক্ষেপ নিয়েছে। এ পদক্ষেপের মধ্যে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, বিচারবহির্ভূত হত্যা, গোপন কারাগারে নির্যাতন এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা প্রদান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তিনি জানান, জুলাই ও অগাস্টের আন্দোলনের সময় পুলিশ এবং ছাত্রলীগের সহিংসতায় শতাধিক মানুষ নিহত হন এবং বহু আহত ও পঙ্গু হন। এছাড়া আন্দোলনের সময় সরকারের পক্ষ থেকে সহিংসতার ঘটনার প্রমাণ হিসেবে ভিডিও, প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষ্য এবং প্রামাণ্য দলিলপত্র আইসিসিতে জমা দেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক আদালতের কাছে এই অভিযোগ আনার কারণ হিসেবে আশরাফুল জানান, বাংলাদেশে এসব অপরাধের নিরপেক্ষ তদন্তের সম্ভাবনা অনিশ্চিত। শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন এবং তার প্রতি রাজনৈতিক সহায়তার কারণে বাংলাদেশে স্থানীয় আদালতে কোনও দণ্ড কার্যকর হওয়ার বিষয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে ভারত তাকে হস্তান্তর করতে বাধ্য হতে পারে।
এই মামলার মাধ্যমে মানবাধিকারের পক্ষে আন্তর্জাতিক স্তরে পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন জানানো হয়েছে।