ছয় দফা দাবির বাস্তবায়ন ও কুমিল্লায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ‘হামলার’ প্রতিবাদে দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ফটক লাল কাপড়ে ঢেকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে শনিবার দেশজুড়ে মানববন্ধনের কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়েছে।
কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হবে বলে শুক্রবার রাত ১টার দিকে এক বার্তায় জানান সংগঠনের সেল সম্পাদক মো. সাব্বির আহমেদ। তিনি বলেন, “কুমিল্লায় ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে ও অধিকার নিশ্চিত না হওয়ায় শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় প্রতিটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মূল ফটক অনির্দিষ্টকালের জন্য লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হবে। পাশাপাশি জনদুর্ভোগ এড়িয়ে শিক্ষার্থীরা মহাসড়কের পাশে বা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্ল্যাকার্ড হাতে মানববন্ধনে অংশ নেবে।”
এর আগে শুক্রবার দুপুরে রাজধানীতে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে ছয় দফা দাবিতে গণমিছিল করেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। মিছিল শেষে এক ব্রিফিংয়ে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জোবায়ের পাটোয়ারী বলেন, “সরকার দ্রুত দাবি মানলে আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করব। কুমিল্লার ঘটনায় দোষীদের বিচার ও আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।”
আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী আরেক শিক্ষার্থী মাশফিক ইসলাম দেওয়ান বলেন, “আমরা সরকারের প্রতি সহযোগিতার মনোভাব পোষণ করি। তবে কারিগরি শিক্ষায় বিদ্যমান বৈষম্য দূর না হলে আন্দোলন চলবে।”
বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা ও অন্যান্য পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে মশাল মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। এদিন সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক হলেও শিক্ষার্থীরা তা ‘অসন্তোষজনক’ দাবি করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
গত বুধবার থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হল–
১. জুনিয়র ইন্সট্রাকটর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের প্রমোশনের হাই কোর্টের রায় বাতিলসহ ক্রাফট ইন্সট্রাকটর পদবি পরিবর্তন এবং ওই মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকে স্থায়ীভাবে চাকুরিচ্যুত করা। ২০২১ সালের বিতর্কিত ক্রাফট ইন্সট্রাকটর নিয়োগের জন্য নিয়োগবিধি অনতিবিলম্বে বাতিল করা, সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে নিয়োগ বাতিল করা এবং মামলার প্রধান কারিগর ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
২. ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চার বছর মেয়াদী অব্যাহত রাখা এবং মানসম্মত সিলেবাস ও কারিকুলাম আধুনিক বিশ্বের আদলে প্রণয়ন করা।
৩. উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও সমমান (১০ম গ্রেড) পদে ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি (সার্ভেয়িং) হতে পাস করা শিক্ষার্থী ছাড়া অন্য কেউ আবেদন করতে পারবে না এবং এই পদ সংরক্ষিত করতে হবে। প্রাইভেট সেক্টরে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করা ছাত্রদের ন্যূনতম ১০ম গ্রেডের বেসিক অর্থাৎ ১৬০০০ টাকা দেওয়া।
৪. কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিটি প্রকাশ করে কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় পরিচালক, উপ-পরিচালক, অধ্যক্ষ ও দায়িত্বে থাকা সকল পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবলকে দায়িত্ব/নিয়োগ দেওয়া।
৫. কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বিতর্কিত সকল নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন এবং কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল সকল শূন্য পদে পলিটেকনিক ও টিএসসিতে দক্ষ শিক্ষক ও দক্ষ ল্যাব সহকারীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা।
৬. ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য আধুনিক বিশ্বের আদলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করার গেজেট পাস করতে হবে এবং বর্তমানে প্রস্তাবিত চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (নওগাঁ, ঠাকুরগাঁও, নড়াইল, খাগড়াছড়ি) শতভাগ সিট নিশ্চিত করা।
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
ছয় দফা দাবির বাস্তবায়ন ও কুমিল্লায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ‘হামলার’ প্রতিবাদে দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ফটক লাল কাপড়ে ঢেকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে শনিবার দেশজুড়ে মানববন্ধনের কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়েছে।
কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হবে বলে শুক্রবার রাত ১টার দিকে এক বার্তায় জানান সংগঠনের সেল সম্পাদক মো. সাব্বির আহমেদ। তিনি বলেন, “কুমিল্লায় ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে ও অধিকার নিশ্চিত না হওয়ায় শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় প্রতিটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মূল ফটক অনির্দিষ্টকালের জন্য লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হবে। পাশাপাশি জনদুর্ভোগ এড়িয়ে শিক্ষার্থীরা মহাসড়কের পাশে বা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্ল্যাকার্ড হাতে মানববন্ধনে অংশ নেবে।”
এর আগে শুক্রবার দুপুরে রাজধানীতে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে ছয় দফা দাবিতে গণমিছিল করেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। মিছিল শেষে এক ব্রিফিংয়ে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জোবায়ের পাটোয়ারী বলেন, “সরকার দ্রুত দাবি মানলে আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করব। কুমিল্লার ঘটনায় দোষীদের বিচার ও আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।”
আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী আরেক শিক্ষার্থী মাশফিক ইসলাম দেওয়ান বলেন, “আমরা সরকারের প্রতি সহযোগিতার মনোভাব পোষণ করি। তবে কারিগরি শিক্ষায় বিদ্যমান বৈষম্য দূর না হলে আন্দোলন চলবে।”
বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা ও অন্যান্য পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে মশাল মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। এদিন সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক হলেও শিক্ষার্থীরা তা ‘অসন্তোষজনক’ দাবি করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
গত বুধবার থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হল–
১. জুনিয়র ইন্সট্রাকটর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের প্রমোশনের হাই কোর্টের রায় বাতিলসহ ক্রাফট ইন্সট্রাকটর পদবি পরিবর্তন এবং ওই মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকে স্থায়ীভাবে চাকুরিচ্যুত করা। ২০২১ সালের বিতর্কিত ক্রাফট ইন্সট্রাকটর নিয়োগের জন্য নিয়োগবিধি অনতিবিলম্বে বাতিল করা, সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে নিয়োগ বাতিল করা এবং মামলার প্রধান কারিগর ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
২. ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চার বছর মেয়াদী অব্যাহত রাখা এবং মানসম্মত সিলেবাস ও কারিকুলাম আধুনিক বিশ্বের আদলে প্রণয়ন করা।
৩. উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও সমমান (১০ম গ্রেড) পদে ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি (সার্ভেয়িং) হতে পাস করা শিক্ষার্থী ছাড়া অন্য কেউ আবেদন করতে পারবে না এবং এই পদ সংরক্ষিত করতে হবে। প্রাইভেট সেক্টরে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করা ছাত্রদের ন্যূনতম ১০ম গ্রেডের বেসিক অর্থাৎ ১৬০০০ টাকা দেওয়া।
৪. কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিটি প্রকাশ করে কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় পরিচালক, উপ-পরিচালক, অধ্যক্ষ ও দায়িত্বে থাকা সকল পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবলকে দায়িত্ব/নিয়োগ দেওয়া।
৫. কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বিতর্কিত সকল নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন এবং কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল সকল শূন্য পদে পলিটেকনিক ও টিএসসিতে দক্ষ শিক্ষক ও দক্ষ ল্যাব সহকারীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা।
৬. ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য আধুনিক বিশ্বের আদলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করার গেজেট পাস করতে হবে এবং বর্তমানে প্রস্তাবিত চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (নওগাঁ, ঠাকুরগাঁও, নড়াইল, খাগড়াছড়ি) শতভাগ সিট নিশ্চিত করা।