বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি, হামলাসহ নানা দমন পিড়নের অভিযোগ ওঠার পর পুলিশ, র্যাব ও আনসার বাহিনীর পোশাকের পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদেরকে বলেন, পোশাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। পুলিশ, র্যাব ও আনসারের জন্য তিন ধরনের পোশাক সিলেক্ট করা হয়েছে। এটা ইমপ্লিমেন্ট হবে আস্তে আস্তে। এক সঙ্গে সব করা যাবে না। পোশাকের সঙ্গে সঙ্গে সবার মন মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে বলে তিনি জানান।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বৈঠকের শুরুতে বিভিন্ন রংয়ের পোশাক পরে ১৮ জন পুলিশ, আনসার ও র্যাব সদস্য উপস্থিত হন। সেখান থেকে তিনটি পোশাক দেখে অনুমোদন দেয়া হয়।
পুলিশ হেডকোয়াটার্স থেকে জানা গেছে, ছাত্রজনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের স্থাপনা, পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। একই সঙ্গে পুলিশের পোশাক ও পোশাকের রং পরিবর্তনের দাবি উঠে। এই দাবির প্রেক্ষিতে পৃুলিশের পোশাক পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়।
এর আগে অবশ্য হামলা ও হত্যার শিকার পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তারা নিরাপত্তাহীনতার কারণে অনেকেই কর্মস্থলে ফিরেনি। পরে কেউ কেউ থানায় ফিরলেও পোশাক ছিল না।
তারা ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ১১ আগস্ট সচিবালয়ে কর্মবিরতিতে বা কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা পুলিশ সদস্যদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন অন্তর্বর্তী সরকারের তৎকালিন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। বৈঠকে পুলিশ সদস্যদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ইউনফর্ম বদলানোর আশ্বাস দেয়া হয়েছিল। এরপরই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
পুলিশ হেডকোয়াটার্স থেকে বলা হয়েছে, পোশাক পরিবর্তনের জন্য গত আগস্টে পুলিশ হেডকোয়াটার্সের উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। লজিস্ট্রিক শাখার ডিআইজি মোহাম্মদ আতাউল কিবরিয়াকে ওই কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। কমিটির মোট সদস্য সংখ্যা ছিল ১৫ জন।
ওই কমিটি কয়েক দফা বৈঠক করে কয়েকটি পোশাক ও রং পছন্দ করেছেন। ওই সব রংয়ের পোশাক নিয়ে আইজিপির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। এরপর পুলিশ হেডকোয়াটার্সের অনুমোদানের পর পোশাকের রং পরিবর্তন, মনোগ্রাম পরিবর্তন করতে মন্ত্রণালয়ে খসড়া প্রস্তাব পাঠানো হয়। সেখান থেকে সোমবার তিনটি পোশাক ও রং পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়।
পুলিশ হেডকোয়াটার্সের লজিস্টিক শাখার ডিআইজি মোহাম্মদ আতাউল কিবরিয়া জানান, প্রতি বছর পুলিশের জন্য ৩টি হাফ হাতার শার্ট, ২টি ফুল হাতার শার্ট ও ৩টি প্যান্ট দেয়া হয়। মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত প্রস্তাব অনুমোদনের পর টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শেষ হতে পারে।
নতুন করে বাজেটে অতিরিক্ত আর্থিক বরাদ্দের দরকার হবে না। গেল বছরের জুলাইয়ের বরাদ্ধকৃত টাকা থেকে খরচ করা হবে। এতে খরচ হতে পারে ৫০ কোটি টাকার মতো। এই বার জেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকায় একই পোশাক দেয়া হবে বলে জানা গেছে।
পুলিশ হেডকোয়াটার্সের মিডিয়া শাখা থেকে জানা গেছে, সারাদেশে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে ২ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৪ জন কর্মরত আছে। এরমধ্যে ২ লাখ ৩ হাজারেরও বেশি পোশাকধারী পুলিশ। অন্যরা সিভিল কর্মকর্তা ও কর্মচারী। এছাড়া র্যাবের জন্যও আলাদা পোশাক ও আলাদা বরাদ্ধ রয়েছে।
মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি, হামলাসহ নানা দমন পিড়নের অভিযোগ ওঠার পর পুলিশ, র্যাব ও আনসার বাহিনীর পোশাকের পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদেরকে বলেন, পোশাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। পুলিশ, র্যাব ও আনসারের জন্য তিন ধরনের পোশাক সিলেক্ট করা হয়েছে। এটা ইমপ্লিমেন্ট হবে আস্তে আস্তে। এক সঙ্গে সব করা যাবে না। পোশাকের সঙ্গে সঙ্গে সবার মন মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে বলে তিনি জানান।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বৈঠকের শুরুতে বিভিন্ন রংয়ের পোশাক পরে ১৮ জন পুলিশ, আনসার ও র্যাব সদস্য উপস্থিত হন। সেখান থেকে তিনটি পোশাক দেখে অনুমোদন দেয়া হয়।
পুলিশ হেডকোয়াটার্স থেকে জানা গেছে, ছাত্রজনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের স্থাপনা, পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। একই সঙ্গে পুলিশের পোশাক ও পোশাকের রং পরিবর্তনের দাবি উঠে। এই দাবির প্রেক্ষিতে পৃুলিশের পোশাক পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়।
এর আগে অবশ্য হামলা ও হত্যার শিকার পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তারা নিরাপত্তাহীনতার কারণে অনেকেই কর্মস্থলে ফিরেনি। পরে কেউ কেউ থানায় ফিরলেও পোশাক ছিল না।
তারা ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ১১ আগস্ট সচিবালয়ে কর্মবিরতিতে বা কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা পুলিশ সদস্যদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন অন্তর্বর্তী সরকারের তৎকালিন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। বৈঠকে পুলিশ সদস্যদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ইউনফর্ম বদলানোর আশ্বাস দেয়া হয়েছিল। এরপরই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
পুলিশ হেডকোয়াটার্স থেকে বলা হয়েছে, পোশাক পরিবর্তনের জন্য গত আগস্টে পুলিশ হেডকোয়াটার্সের উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। লজিস্ট্রিক শাখার ডিআইজি মোহাম্মদ আতাউল কিবরিয়াকে ওই কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। কমিটির মোট সদস্য সংখ্যা ছিল ১৫ জন।
ওই কমিটি কয়েক দফা বৈঠক করে কয়েকটি পোশাক ও রং পছন্দ করেছেন। ওই সব রংয়ের পোশাক নিয়ে আইজিপির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। এরপর পুলিশ হেডকোয়াটার্সের অনুমোদানের পর পোশাকের রং পরিবর্তন, মনোগ্রাম পরিবর্তন করতে মন্ত্রণালয়ে খসড়া প্রস্তাব পাঠানো হয়। সেখান থেকে সোমবার তিনটি পোশাক ও রং পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়।
পুলিশ হেডকোয়াটার্সের লজিস্টিক শাখার ডিআইজি মোহাম্মদ আতাউল কিবরিয়া জানান, প্রতি বছর পুলিশের জন্য ৩টি হাফ হাতার শার্ট, ২টি ফুল হাতার শার্ট ও ৩টি প্যান্ট দেয়া হয়। মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত প্রস্তাব অনুমোদনের পর টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শেষ হতে পারে।
নতুন করে বাজেটে অতিরিক্ত আর্থিক বরাদ্দের দরকার হবে না। গেল বছরের জুলাইয়ের বরাদ্ধকৃত টাকা থেকে খরচ করা হবে। এতে খরচ হতে পারে ৫০ কোটি টাকার মতো। এই বার জেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকায় একই পোশাক দেয়া হবে বলে জানা গেছে।
পুলিশ হেডকোয়াটার্সের মিডিয়া শাখা থেকে জানা গেছে, সারাদেশে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে ২ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৪ জন কর্মরত আছে। এরমধ্যে ২ লাখ ৩ হাজারেরও বেশি পোশাকধারী পুলিশ। অন্যরা সিভিল কর্মকর্তা ও কর্মচারী। এছাড়া র্যাবের জন্যও আলাদা পোশাক ও আলাদা বরাদ্ধ রয়েছে।