আওয়ামী লীগসহ সব দল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা তা জামায়েতে ইসলামীর কাছে জানতে চেয়েছে জাতিসংঘের একটি বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদল। জাতিসংঘ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এসব কথা জানান। অযথা সময় ক্ষেপণ না করে প্রয়োজনীয় সব সংস্কার শেষে জামায়াত নির্বাচন চায় বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকার গুলশানে জাতিসংঘের আবাসিক কার্যালয়ে বাংলাদেশে সফররত জাতিসংঘের নির্বাচনী চাহিদা মূল্যায়ন মিশন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে ইসলামীর একটি প্রতিনিধি দল।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জামায়াতের নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। আওয়ামী লীগ এখনও নিষিদ্ধ হয়নি, তাদের নিয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করতে পারবে কিনা জাতিসংঘ প্রতিনিধিদল জিজ্ঞেস করেছে। আমরা বলেছি, কোনো দলের পক্ষে-বিপক্ষে আইনগত কোনো বিষয় নিয়ে আমরা কোনো মতামত দিচ্ছি না। এটা জনগণ, সামাজিক ও পরিবেশের ওপর নির্ভর করবে। এখানে আমাদের বিশেষ কোনো স্ট্যান্ড (অবস্থান) নাই।’
সময় ক্ষেপনের বিরুদ্ধে থাকলেও নির্বাচনের আগে পর্যাপ্ত সংস্কার শেষ করার দাবি জানিয়ে মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘সংবিধানে কিছু মৌলিক পরিবর্তন দরকার। যেমন, দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য এসব বিষয়ে সংস্কার প্রয়োজন। কারণ, সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ থেকে যাবে। আবার সংস্কারের নামে অযথা সময়ক্ষেপণ করাও সঠিক হবে না।’ সংস্কার কমিটির জন্য যেসব পরামর্শ এসেছে তা নিয়ে আলোচনা ও প্রয়োগ নিশ্চিত করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার বিষয়ে মত দেন তিনি।
বিএনপির জুলাই আগস্টের মধ্যে সংসদ নির্বাচনের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিএনপি বাংলাদেশের একটি বড় দল। তাদের নির্বাচনের বিষয়ে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি আসছে এবং সে হিসেবে তারা তাদের বক্তব্য রেখেছে। আমরা চাই পর্যাপ্ত সংস্কার শেষে নির্বাচন হোক। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে এখনও আমাদের কোনো স্ট্যান্ড নেই। আমরা পর্যালোচনা করছি।’ বৈঠকে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আর কি কি আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে জামায়াতের এই নায়েবে আমির বলেন, ‘তারা কয়েকটি বিষয়ের ওপর জানতে চেয়েছে যে, নির্বাচনে জাতিসংঘ কী ধরনের সহযোগিতা করতে পারে। স্বচ্ছ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান হওয়ার জন্য কি কি পদক্ষেপ নেয়া দরকার, আমরা কি ভাবছি। তারা এটাও বলেছে, জাতিসংঘের এই মিশনকে নির্বাচনের সময় আমরা স্বাগত জানাব কিনা।’
তাহের বলেন, ‘আমরা বলেছি, আমরা যেকোনো আন্তর্জাতিক সংস্থাকে স্বাগত জানাই সহযোগিতার জন্য। তবে হস্তক্ষেপ করার জন্য নয়। সুতরাং তারা যদি আমাদের কারিগরি এবং অর্থ সহযোগিতা করে, সেটার জন্য আমরা তাদের স্বাগত জানাই। আমরা আরেকটা কথা বলেছি, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার ব্যাপারে প্রত্যেক কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা সংযোগ করাতে হবে। কারণ, সিসি ক্যামেরা থাকলে তখন নির্বাচন পরিস্থিতি পুরোটা বোঝা যাবে।’
জামায়াত নেতা তাহের আরও বলেন, ‘আমরা নীতিগতভাবে অংশগ্রহণমূলক এবং সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন চাই। এটা আমাদের মূল নীতির ভেতরেই আছে। তারা বলেছে, নির্বাচনের তারিখ কখন হতে পারে। আমরা বলেছি, যত দ্রুত সম্ভব, তবে এখানে কিছু জরুরি সংস্কার প্রয়োজন।’ সংস্কার ছাড়া যদি নির্বাচন হয়, তাহলে নির্বাচন আগের মতোই হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বলে মনে করেন আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য সাইফুল আলম খান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জোবায়ের ও কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ।
মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
আওয়ামী লীগসহ সব দল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা তা জামায়েতে ইসলামীর কাছে জানতে চেয়েছে জাতিসংঘের একটি বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদল। জাতিসংঘ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এসব কথা জানান। অযথা সময় ক্ষেপণ না করে প্রয়োজনীয় সব সংস্কার শেষে জামায়াত নির্বাচন চায় বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকার গুলশানে জাতিসংঘের আবাসিক কার্যালয়ে বাংলাদেশে সফররত জাতিসংঘের নির্বাচনী চাহিদা মূল্যায়ন মিশন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে ইসলামীর একটি প্রতিনিধি দল।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জামায়াতের নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। আওয়ামী লীগ এখনও নিষিদ্ধ হয়নি, তাদের নিয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করতে পারবে কিনা জাতিসংঘ প্রতিনিধিদল জিজ্ঞেস করেছে। আমরা বলেছি, কোনো দলের পক্ষে-বিপক্ষে আইনগত কোনো বিষয় নিয়ে আমরা কোনো মতামত দিচ্ছি না। এটা জনগণ, সামাজিক ও পরিবেশের ওপর নির্ভর করবে। এখানে আমাদের বিশেষ কোনো স্ট্যান্ড (অবস্থান) নাই।’
সময় ক্ষেপনের বিরুদ্ধে থাকলেও নির্বাচনের আগে পর্যাপ্ত সংস্কার শেষ করার দাবি জানিয়ে মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘সংবিধানে কিছু মৌলিক পরিবর্তন দরকার। যেমন, দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য এসব বিষয়ে সংস্কার প্রয়োজন। কারণ, সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ থেকে যাবে। আবার সংস্কারের নামে অযথা সময়ক্ষেপণ করাও সঠিক হবে না।’ সংস্কার কমিটির জন্য যেসব পরামর্শ এসেছে তা নিয়ে আলোচনা ও প্রয়োগ নিশ্চিত করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার বিষয়ে মত দেন তিনি।
বিএনপির জুলাই আগস্টের মধ্যে সংসদ নির্বাচনের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিএনপি বাংলাদেশের একটি বড় দল। তাদের নির্বাচনের বিষয়ে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি আসছে এবং সে হিসেবে তারা তাদের বক্তব্য রেখেছে। আমরা চাই পর্যাপ্ত সংস্কার শেষে নির্বাচন হোক। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে এখনও আমাদের কোনো স্ট্যান্ড নেই। আমরা পর্যালোচনা করছি।’ বৈঠকে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আর কি কি আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে জামায়াতের এই নায়েবে আমির বলেন, ‘তারা কয়েকটি বিষয়ের ওপর জানতে চেয়েছে যে, নির্বাচনে জাতিসংঘ কী ধরনের সহযোগিতা করতে পারে। স্বচ্ছ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান হওয়ার জন্য কি কি পদক্ষেপ নেয়া দরকার, আমরা কি ভাবছি। তারা এটাও বলেছে, জাতিসংঘের এই মিশনকে নির্বাচনের সময় আমরা স্বাগত জানাব কিনা।’
তাহের বলেন, ‘আমরা বলেছি, আমরা যেকোনো আন্তর্জাতিক সংস্থাকে স্বাগত জানাই সহযোগিতার জন্য। তবে হস্তক্ষেপ করার জন্য নয়। সুতরাং তারা যদি আমাদের কারিগরি এবং অর্থ সহযোগিতা করে, সেটার জন্য আমরা তাদের স্বাগত জানাই। আমরা আরেকটা কথা বলেছি, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার ব্যাপারে প্রত্যেক কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা সংযোগ করাতে হবে। কারণ, সিসি ক্যামেরা থাকলে তখন নির্বাচন পরিস্থিতি পুরোটা বোঝা যাবে।’
জামায়াত নেতা তাহের আরও বলেন, ‘আমরা নীতিগতভাবে অংশগ্রহণমূলক এবং সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন চাই। এটা আমাদের মূল নীতির ভেতরেই আছে। তারা বলেছে, নির্বাচনের তারিখ কখন হতে পারে। আমরা বলেছি, যত দ্রুত সম্ভব, তবে এখানে কিছু জরুরি সংস্কার প্রয়োজন।’ সংস্কার ছাড়া যদি নির্বাচন হয়, তাহলে নির্বাচন আগের মতোই হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বলে মনে করেন আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য সাইফুল আলম খান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জোবায়ের ও কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ।