গুজব ও অস্থিরতার মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নতুন করে সংলাপ শুরু করেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাত রাজনৈতিক দল ও একটি সংগঠনের সঙ্গে দেড় ঘণ্টার বৈঠকে তিনি সতর্ক করে বলেন, নির্বাচন বানচালের সর্বোচ্চ চেষ্টা হবে, তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, “বাংলাদেশের সত্তাকে গড়ে তুলতে যারা বাধা দিতে চায়, তারা নির্বাচন বানচালের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্বাচন পর্যন্ত পৌঁছাতে দিতে চায় না, তারা যতভাবে পারবে বাধা দেবে। এমন পরিস্থিতি তৈরি করবে যাতে নির্বাচন না হয়। এর কিছু লক্ষণ এখনই দেখা যাচ্ছে, সামনে আরও বাড়বে।”
তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে স্পষ্ট করে বলেছেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে আনন্দমুখর পরিবেশ নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা চান তিনি। ইউনূস বলেন, “যারা কখনও ভোট দিতে পারেনি, এবার তাদের ভালো অভিজ্ঞতা দিতে হবে। যারা আগের ভোটে তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছে, তাদেরও ইতিবাচক অভিজ্ঞতা দিতে হবে। যেন কেউ বলতে না পারে, আমাকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি।”
বৈঠকে এবি পার্টি, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় গণফ্রন্ট এবং হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতারা অংশ নেন।
প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে বলেন, “এবারের নির্বাচন অনন্য। এটা অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচন নয়, এটা সবার নির্বাচন—এই দেশের সকল মানুষের, সকল রাজনৈতিক দলের। এই নির্বাচন ভবিষ্যতের বাংলাদেশ নির্মাণের। নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর সাহস অর্জনের নির্বাচন।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “কোনো বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপের সুযোগ থাকবে না, আমরা এই নির্বাচন নিজেরাই আয়োজন করব।”
আসন্ন দুর্গাপূজা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করা সবার দায়িত্ব। অনেকেই গণ্ডগোল সৃষ্টির চেষ্টা করবে, সেজন্য সবার সতর্ক থাকতে হবে।”
এর আগে গত রোববার জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি এবং বিএনপি নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন মুহাম্মদ ইউনূস। সেদিনও নির্বাচন ও সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
গুজব ও অস্থিরতার মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নতুন করে সংলাপ শুরু করেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাত রাজনৈতিক দল ও একটি সংগঠনের সঙ্গে দেড় ঘণ্টার বৈঠকে তিনি সতর্ক করে বলেন, নির্বাচন বানচালের সর্বোচ্চ চেষ্টা হবে, তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, “বাংলাদেশের সত্তাকে গড়ে তুলতে যারা বাধা দিতে চায়, তারা নির্বাচন বানচালের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্বাচন পর্যন্ত পৌঁছাতে দিতে চায় না, তারা যতভাবে পারবে বাধা দেবে। এমন পরিস্থিতি তৈরি করবে যাতে নির্বাচন না হয়। এর কিছু লক্ষণ এখনই দেখা যাচ্ছে, সামনে আরও বাড়বে।”
তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে স্পষ্ট করে বলেছেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে আনন্দমুখর পরিবেশ নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা চান তিনি। ইউনূস বলেন, “যারা কখনও ভোট দিতে পারেনি, এবার তাদের ভালো অভিজ্ঞতা দিতে হবে। যারা আগের ভোটে তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছে, তাদেরও ইতিবাচক অভিজ্ঞতা দিতে হবে। যেন কেউ বলতে না পারে, আমাকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি।”
বৈঠকে এবি পার্টি, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় গণফ্রন্ট এবং হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতারা অংশ নেন।
প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে বলেন, “এবারের নির্বাচন অনন্য। এটা অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচন নয়, এটা সবার নির্বাচন—এই দেশের সকল মানুষের, সকল রাজনৈতিক দলের। এই নির্বাচন ভবিষ্যতের বাংলাদেশ নির্মাণের। নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর সাহস অর্জনের নির্বাচন।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “কোনো বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপের সুযোগ থাকবে না, আমরা এই নির্বাচন নিজেরাই আয়োজন করব।”
আসন্ন দুর্গাপূজা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করা সবার দায়িত্ব। অনেকেই গণ্ডগোল সৃষ্টির চেষ্টা করবে, সেজন্য সবার সতর্ক থাকতে হবে।”
এর আগে গত রোববার জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি এবং বিএনপি নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন মুহাম্মদ ইউনূস। সেদিনও নির্বাচন ও সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।