তিন বছর পার হয়ে গেছে, অথচ একজনও ফেরত যায়নি এমন অভিযোগ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্পর্কে অনেক বক্তব্য শুনি কিন্তু কাজের সময় উল্টো পরিস্থিতি হয়। বিশেষ করে চীন যাদের ওপর বাংলাদেশ অনেক আশা করেছিল তারা এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবে। সবাই বলে কিন্তু একজন রোহিঙ্গাও তো নিজ দেশে ফেরত যায় না।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) নিজ মন্ত্রণালয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান।
ড. মোমেন বলেন, কিছুদিন আগে জাপানের রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে দেখা করে বলেছিলেন তারা এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সাহায্য করতে। জাপানের সঙ্গে মিয়ানমারের খুব ভালো সম্পর্ক। সুতরাং আমরা মনে করেছি-জাপানের কথা মিয়ানমার শুনবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠাতে বাংলাদেশ সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থার মহাপরিচালক আমাকে বলেছেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের খাওয়াতে কুতুপালং ক্যাম্পের চেয়ে বেশি খরচের তফাৎ হবে না।
রোহিঙ্গারা যারা ভাসানচরে যাবেন তারা সেখানে মাছধরা, মুরগিপালা, গরুপালার মতো অর্থনৈতিক কর্মকা-ে যুক্ত হতে পারবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানান।
জানা গেছে, কক্সবাজার থেকে এক লক্ষ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে এই প্রকল্প গ্রহণ করে বাংলাদেশ সরকার।এই প্রকল্পের নাম দেয়া হয়েছে আশ্রয়ণ-৩ প্রকল্প, আর এটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয় বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে। এই চরে এক লক্ষ রোহিঙ্গার জন্য ১২০টি ক্লাস্টার বা গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ১,৪৪০টি ঘর নির্মাণ করা হয়ে। প্রতিটি ঘরে রয়েছে ১৬টি কক্ষ - সামনে ৮টি এবং পেছনের দিকে আরও ৮টি। রান্নার জন্য প্রতিটি পরিবারের জন্য একটি করে চুলার জায়গা বরাদ্দ করা আছে। আর প্রতি ৮টি কক্ষের জন্য তিনটি টয়লেট এবং দুটি গোসলখানা রয়েছে।
প্রতিটি কক্ষে দুটো ডাবল বাঙ্কার বা দোতলা খাট রয়েছে। অর্থাৎ একটি কক্ষে চারজন থাকতে পারবেন। যদি একটি পরিবারে সদস্য সংখ্যা চারজনের বেশি হয়, তাহলে তাদের জন্য দুটো কক্ষ বরাদ্দ করা হবে। রান্নাঘর, গোসলখানা এবং টয়লেটে পানির সরবরাহ রয়েছে।এর পাশাপাশি প্রতিটি ক্লাস্টারে একটি করে পুকুর রয়েছে। এসব পুকুরের গভীরতা ১০ ফুট। এসব পুকুরে পানি গৃহস্থালির কাজে ব্যবহার করা যাবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০
তিন বছর পার হয়ে গেছে, অথচ একজনও ফেরত যায়নি এমন অভিযোগ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্পর্কে অনেক বক্তব্য শুনি কিন্তু কাজের সময় উল্টো পরিস্থিতি হয়। বিশেষ করে চীন যাদের ওপর বাংলাদেশ অনেক আশা করেছিল তারা এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবে। সবাই বলে কিন্তু একজন রোহিঙ্গাও তো নিজ দেশে ফেরত যায় না।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) নিজ মন্ত্রণালয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান।
ড. মোমেন বলেন, কিছুদিন আগে জাপানের রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে দেখা করে বলেছিলেন তারা এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সাহায্য করতে। জাপানের সঙ্গে মিয়ানমারের খুব ভালো সম্পর্ক। সুতরাং আমরা মনে করেছি-জাপানের কথা মিয়ানমার শুনবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠাতে বাংলাদেশ সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থার মহাপরিচালক আমাকে বলেছেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের খাওয়াতে কুতুপালং ক্যাম্পের চেয়ে বেশি খরচের তফাৎ হবে না।
রোহিঙ্গারা যারা ভাসানচরে যাবেন তারা সেখানে মাছধরা, মুরগিপালা, গরুপালার মতো অর্থনৈতিক কর্মকা-ে যুক্ত হতে পারবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানান।
জানা গেছে, কক্সবাজার থেকে এক লক্ষ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে এই প্রকল্প গ্রহণ করে বাংলাদেশ সরকার।এই প্রকল্পের নাম দেয়া হয়েছে আশ্রয়ণ-৩ প্রকল্প, আর এটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয় বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে। এই চরে এক লক্ষ রোহিঙ্গার জন্য ১২০টি ক্লাস্টার বা গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ১,৪৪০টি ঘর নির্মাণ করা হয়ে। প্রতিটি ঘরে রয়েছে ১৬টি কক্ষ - সামনে ৮টি এবং পেছনের দিকে আরও ৮টি। রান্নার জন্য প্রতিটি পরিবারের জন্য একটি করে চুলার জায়গা বরাদ্দ করা আছে। আর প্রতি ৮টি কক্ষের জন্য তিনটি টয়লেট এবং দুটি গোসলখানা রয়েছে।
প্রতিটি কক্ষে দুটো ডাবল বাঙ্কার বা দোতলা খাট রয়েছে। অর্থাৎ একটি কক্ষে চারজন থাকতে পারবেন। যদি একটি পরিবারে সদস্য সংখ্যা চারজনের বেশি হয়, তাহলে তাদের জন্য দুটো কক্ষ বরাদ্দ করা হবে। রান্নাঘর, গোসলখানা এবং টয়লেটে পানির সরবরাহ রয়েছে।এর পাশাপাশি প্রতিটি ক্লাস্টারে একটি করে পুকুর রয়েছে। এসব পুকুরের গভীরতা ১০ ফুট। এসব পুকুরে পানি গৃহস্থালির কাজে ব্যবহার করা যাবে।