alt

তিন বছর পার হয়ে গেছে, অথচ একজন রোহিঙ্গাও ফেরত যায়নি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক : বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০

তিন বছর পার হয়ে গেছে, অথচ একজনও ফেরত যায়নি এমন অভিযোগ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্পর্কে অনেক বক্তব্য শুনি কিন্তু কাজের সময় উল্টো পরিস্থিতি হয়। বিশেষ করে চীন যাদের ওপর বাংলাদেশ অনেক আশা করেছিল তারা এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবে। সবাই বলে কিন্তু একজন রোহিঙ্গাও তো নিজ দেশে ফেরত যায় না।

বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) নিজ মন্ত্রণালয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান।

ড. মোমেন বলেন, কিছুদিন আগে জাপানের রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে দেখা করে বলেছিলেন তারা এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সাহায্য করতে। জাপানের সঙ্গে মিয়ানমারের খুব ভালো সম্পর্ক। সুতরাং আমরা মনে করেছি-জাপানের কথা মিয়ানমার শুনবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠাতে বাংলাদেশ সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থার মহাপরিচালক আমাকে বলেছেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের খাওয়াতে কুতুপালং ক্যাম্পের চেয়ে বেশি খরচের তফাৎ হবে না।

রোহিঙ্গারা যারা ভাসানচরে যাবেন তারা সেখানে মাছধরা, মুরগিপালা, গরুপালার মতো অর্থনৈতিক কর্মকা-ে যুক্ত হতে পারবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানান।

জানা গেছে, কক্সবাজার থেকে এক লক্ষ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে এই প্রকল্প গ্রহণ করে বাংলাদেশ সরকার।এই প্রকল্পের নাম দেয়া হয়েছে আশ্রয়ণ-৩ প্রকল্প, আর এটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয় বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে। এই চরে এক লক্ষ রোহিঙ্গার জন্য ১২০টি ক্লাস্টার বা গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ১,৪৪০টি ঘর নির্মাণ করা হয়ে। প্রতিটি ঘরে রয়েছে ১৬টি কক্ষ - সামনে ৮টি এবং পেছনের দিকে আরও ৮টি। রান্নার জন্য প্রতিটি পরিবারের জন্য একটি করে চুলার জায়গা বরাদ্দ করা আছে। আর প্রতি ৮টি কক্ষের জন্য তিনটি টয়লেট এবং দুটি গোসলখানা রয়েছে।

প্রতিটি কক্ষে দুটো ডাবল বাঙ্কার বা দোতলা খাট রয়েছে। অর্থাৎ একটি কক্ষে চারজন থাকতে পারবেন। যদি একটি পরিবারে সদস্য সংখ্যা চারজনের বেশি হয়, তাহলে তাদের জন্য দুটো কক্ষ বরাদ্দ করা হবে। রান্নাঘর, গোসলখানা এবং টয়লেটে পানির সরবরাহ রয়েছে।এর পাশাপাশি প্রতিটি ক্লাস্টারে একটি করে পুকুর রয়েছে। এসব পুকুরের গভীরতা ১০ ফুট। এসব পুকুরে পানি গৃহস্থালির কাজে ব্যবহার করা যাবে।

ছবি

ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি ৭৭ হাজার ছাড়িয়েছে

ছবি

দলগুলো না পারলে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: প্রেস সচিব

কার্যকর দুর্নীতি প্রতিরোধে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধতার বিকল্প নেই: টিআইবি

নির্বাচনী পর্যবেক্ষক সংস্থা: নতুন ১৬টি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে আপত্তি আছে কিনা, জানাতে ইসির গণবিজ্ঞপ্তি

ছবি

৪ দিনের সফরে চট্টগ্রামে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ

ছবি

বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তেজনা চায় না ভারত: রাজনাথ সিং

ছবি

ইতিহাসের গভীর বোধ ছাড়া কোনো সংস্কারক প্রজ্ঞাবান হতে পারেন না: প্রধান বিচারপতি

ছবি

প্রধান বিচারপতি: বিচার বিভাগকে সময়ের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক রাখতে হলে সংস্কার অপরিহার্য

ছবি

রাজশাহীতে নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্তব্য এড়িয়ে গেলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

ছবি

নির্বাচন নিয়ে যারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, তারা স্বৈরাচারের দোসর : শফিকুল আলম

সাঁওতাল হত্যা দিবস: তিন হত্যার বিচার দাবি, সাঁওতালদের বিক্ষোভ

ছবি

আধুনিক অর্থনীতির ভিত্তি তৈরিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা ব্যাপক অবদান রাখছেন: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

১০-২০ কোটি টাকা ছাড়া ভোট করা যায় না, আমাদের ভাবতে হয়: আসিফ

ছবি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ব্যয় নিয়ে তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন: কমিশনের প্রতিবাদ

ছবি

ইসি শতভাগ প্রস্তুত, ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগেই সংসদ নির্বাচন সম্ভব: মাছউদ

ছবি

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন: প্রেস সচিব

ছবি

আইআরআইয়ের প্রাক-নির্বাচনী মূল্যায়ন প্রতিবেদন, বাংলাদেশে প্রাক-নির্বাচনী পরিবেশ এখনও নাজুক

ছবি

মেঘনা-ধনাগোদা নদীর উপর সেতু নির্মাণ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করলেন সেতু বিভাগের সচিব

ছবি

তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলের রায় ‘অসৎ উদ্দেশ্যে’ দেয়া হয়েছিল দাবি অ্যাটর্নি জেনারেলের

হালদা নদীকে মৎস্য হেরিটেজ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন: দলগুলোকে দায়িত্ব দেয়ার চার দিনেও অগ্রগতি নেই

ছবি

শতভাগ জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনে বড় বাধা দুর্বল আইন, শক্তিশালীকরণের দাবি

ছবি

ইন্টারনেট বন্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা, বিলুপ্ত হচ্ছে এনটিএমসি

ছবি

ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১০৩৪ জন

ছবি

আওয়ামী লীগের চিঠিতে কোনও কাজ হবে না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

জুলাইযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলমকে নির্যাতনের অভিযোগে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশের চূড়ান্ত অনুমোদন

ছবি

সাবেক বিচারপতিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ছবি

ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ১,০৬৯ জন

জামিনে মুক্তি পাওয়া আ’লীগ নেতারা অপরাধে জড়ালে কঠোর ব্যবস্থা: উপদেষ্টা

ছবি

তদন্ত প্রতিবেদন: পাইলটের ত্রুটির কারণে মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বিধ্বস্ত হয়

ছবি

বাংলাদেশে পুলিশ সংস্কারে সহায়তার আগ্রহ আয়ারল্যান্ডের

ছবি

নির্বাচন হলে দেশে স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে, আশা সেনাবাহিনীর

ছবি

অগ্নিঝুঁকিতে বেনাপোল স্থলবন্দরের পণ্যাগার, ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ, নিরাপত্তা জোরদার

ছবি

নির্বাচন হলে দেশে স্থিতিশীলতা আসবে, সেনাবাহিনী ফিরবে ব্যারাকে: জিওসি মাইনুর রহমান

ছবি

নিষিদ্ধ দলের মিছিলের চেষ্টা করলে আইনের কঠোর প্রয়োগ: প্রেস সচিব

tab

তিন বছর পার হয়ে গেছে, অথচ একজন রোহিঙ্গাও ফেরত যায়নি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক

বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০

তিন বছর পার হয়ে গেছে, অথচ একজনও ফেরত যায়নি এমন অভিযোগ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্পর্কে অনেক বক্তব্য শুনি কিন্তু কাজের সময় উল্টো পরিস্থিতি হয়। বিশেষ করে চীন যাদের ওপর বাংলাদেশ অনেক আশা করেছিল তারা এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবে। সবাই বলে কিন্তু একজন রোহিঙ্গাও তো নিজ দেশে ফেরত যায় না।

বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) নিজ মন্ত্রণালয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান।

ড. মোমেন বলেন, কিছুদিন আগে জাপানের রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে দেখা করে বলেছিলেন তারা এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সাহায্য করতে। জাপানের সঙ্গে মিয়ানমারের খুব ভালো সম্পর্ক। সুতরাং আমরা মনে করেছি-জাপানের কথা মিয়ানমার শুনবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠাতে বাংলাদেশ সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থার মহাপরিচালক আমাকে বলেছেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের খাওয়াতে কুতুপালং ক্যাম্পের চেয়ে বেশি খরচের তফাৎ হবে না।

রোহিঙ্গারা যারা ভাসানচরে যাবেন তারা সেখানে মাছধরা, মুরগিপালা, গরুপালার মতো অর্থনৈতিক কর্মকা-ে যুক্ত হতে পারবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানান।

জানা গেছে, কক্সবাজার থেকে এক লক্ষ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে এই প্রকল্প গ্রহণ করে বাংলাদেশ সরকার।এই প্রকল্পের নাম দেয়া হয়েছে আশ্রয়ণ-৩ প্রকল্প, আর এটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয় বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে। এই চরে এক লক্ষ রোহিঙ্গার জন্য ১২০টি ক্লাস্টার বা গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ১,৪৪০টি ঘর নির্মাণ করা হয়ে। প্রতিটি ঘরে রয়েছে ১৬টি কক্ষ - সামনে ৮টি এবং পেছনের দিকে আরও ৮টি। রান্নার জন্য প্রতিটি পরিবারের জন্য একটি করে চুলার জায়গা বরাদ্দ করা আছে। আর প্রতি ৮টি কক্ষের জন্য তিনটি টয়লেট এবং দুটি গোসলখানা রয়েছে।

প্রতিটি কক্ষে দুটো ডাবল বাঙ্কার বা দোতলা খাট রয়েছে। অর্থাৎ একটি কক্ষে চারজন থাকতে পারবেন। যদি একটি পরিবারে সদস্য সংখ্যা চারজনের বেশি হয়, তাহলে তাদের জন্য দুটো কক্ষ বরাদ্দ করা হবে। রান্নাঘর, গোসলখানা এবং টয়লেটে পানির সরবরাহ রয়েছে।এর পাশাপাশি প্রতিটি ক্লাস্টারে একটি করে পুকুর রয়েছে। এসব পুকুরের গভীরতা ১০ ফুট। এসব পুকুরে পানি গৃহস্থালির কাজে ব্যবহার করা যাবে।

back to top