alt

কঠোর লকডাউনের ৭ম দিন

ঢিলেঢালা, গণপরিবহন ছাড়া সব চলছে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১

করোনাভাইরাসে প্রতিদিন মৃত্যুর নতুন রেকর্ড করছে, অন্যদিকে দিন যত যাচ্ছে কঠোর বিধিনিষেধ ততই শিথিল হচ্ছে। সড়ক-মহাসড়কে বাড়ছে ঢাকামুখী মানুষ এবং যানবাহনের চাপ। গণপরিবহন না চললেও সিএনজি অটোরিকশাসহ ছোট ছোট সব ধরনের যানবাহনই আস্তে আস্তে রাস্তায় বের হয়ে আসছে। মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর ভেতরে পুলিশের চেকপোস্টগুলো এখন অনেকটাই ঢিলেঢালা।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, লকডাউনের কারণে প্রধান সড়কগুলোতে মানুষের ভীড় কম থাকলেও ব্যাক্তিগত গাড়ী বেশী। আবার অলিগলিতে ব্যাক্তিগত যানবহন কম দেখা গেলেও মানুষের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। গলিগুলোতে দোকানের শাটার অর্ধেক খোলা রেখে বিক্রি চলছে। ছোট কয়েকটি হোটেলে বসে খাওয়ার সুযোগও দেওয়া হচ্ছে। বিশেষকরে গলিতে গলিতে চায়ের দোকানগুলোতে আড্ডা থেমে নেই। কল্যাণপুরের এক চা-দোকানদারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পুলিশ দুইবার টহলে আসে তখন দোকানের ঝাপ বন্ধ রেখে দেই।

কঠোর বিধিনিষেধের ৭ম দিনে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সব সড়কে যানবাহন এবং মানুষের চাপ বেড়েছে। নানা প্রয়োজনে মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েছেন। ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান, বেশকিছু সরকারি এবং স্বায়ত্ত শাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস খোলা থাকায় এসব প্রতিষ্ঠানের লোকজন অফিসে যাওয়ার জন্য রাস্তায় বের হয়েছেন।

ফার্মগেটে দাঁড়ানো রফিক মিয়া জানান, পুলিশ দেখলে মানুষ একটু সর্তক হলেও বাজারের অবস্থা ভিন্ন। সেখানে কেউ যেমন স্বাস্থ্যবিধী মানছেনা তেমনি অবাধে চলাচল করছে। বিক্রেতাদের কারো মুখে মাস্ক নেই। দুই এক জনের থাকলেও সেটা গালায় ঝোলানো বা থুতনীতে আটকানো।

রাজধানীর শ্যামলি, কলেজগেট, ধানমন্ডি, পাস্থপথ, শাহবাগ, কাওরানবাজার বাংলামটর, ইন্দিরা রোডসহ নগরীর প্রতিটি প্রতিটি পয়েন্টেই দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশরা। রাস্তায় যানবাহন এবং মানুষের চাপ বেড়ে যাওয়ায় নগরীর বিভিন্ন স্থানের চেকপোস্টগুলোতেও শিথিলতা লক্ষ করা গেছে।তেজগাঁও এলাকায় পুলিশ চেকপোস্টে অবস্থান নিলেও সব যানবাহন এবং লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে তাদের কোন আগ্রহ দেখা যায়নি।

গণভবন এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) আতিক মাহমুদ সংবাদকে বলেন, আমরা অনান্য সময়ের চেয়ে বেশি এক্টিভলি কাজ করছি। কিন্তু মানুষ যদি মিথ্যা বলে তো করার কিছু থাকেনা। তিনি আরো বলেন, গণপরিবহণ চললে আমরা বুঝি এটা চলছে কেন। কিন্ত কেউ প্রাইভেট কারে এসে যদি বলে আমি চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে নিযোজিত, হাসপাতালে যাবো। তাহলে এদের থামাবো কি করে।

তিনি আরো বলেন, আমরা নিজেরাও সাধ্যমাত বোঝানোর চেষ্টা করছি মানুষদের তারা যেন অকারণে বের না হন। যতক্ষণ না মানুষ নিজেরা সচেতন না হয় ততদিন লকডাউন আইন দিয়ে বাস্তবায়ন সম্ভবনা।

সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে চলে যাওয়ায় গত কয়েক মাস ধরে বিধিনিষেধ আরোপ করে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আট দিনের জন্য শিথিল করা হয়েছিল বিধিনিষেধ। এরপর আবার গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েছে সরকার।

বিধিনিষেধের মধ্যে খাদ্য ও খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন/প্রক্রিয়াজাতকরণ মিল কারখানা, কোরবানির পশুর চামড়া পরিবহন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং ওষুধ, অক্সিজেন ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদনকারী শিল্প-কারখানা ছাড়া বন্ধ আছে সব ধরনের গণপরিবহন, সরকারি ও বেসরকারি অফিস এবং শিল্পকারখানা। বন্ধ রয়েছে দোকান ও শপিংমলও। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষের বাইরে বের হওয়াও নিষেধ।

বাংলাদেশে একদিনে ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু; চলতি বছর মৃতের সংখ্যা ২৪৫

শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন ২৭ ঘণ্টা পর নিভেছে

শাহজালাল বিমানবন্দরের আগুনে পোশাক খাতের বড় ক্ষতি: বিজিএমইএর উদ্বেগ

‘নাশকতা কিনা’ প্রশ্নে ক্ষোভ বিমান উপদেষ্টার

‘বাতাসের কারণে’ আগুন নেভাতে দেরি: ফায়ার সার্ভিসের ডিজি

অগ্নিকাণ্ডে নাশকতার প্রমাণ মিললে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ: প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর

বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড তদন্তে বিমানের সাত সদস্যের কমিটি

ছবি

দাবি আদায়ে অনড় এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা, বিক্ষোভ শেষে আবারও শহীদ মিনারে অবস্থান

ছবি

ভাষা সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ চৌধুরী আর নেই

ছবি

এবার ‘মার্চ টু যমুনা’র ঘোষণা এমপিও শিক্ষকদের

ছবি

বিচার বিভাগে নারীর অংশগ্রহণ জনআস্থার ‘বিশেষ প্রতীক’: প্রধান বিচারপতি

ছবি

বাংলাদেশ ওআইসির উদ্যোগের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ: শ্রম উপদেষ্টা

ছবি

ইভিএম: মামলা ও বকেয়ার বিষয়ে মাঠের তথ্য চেয়েছে ইসি

ছবি

ডেঙ্গু: আরও ৫১০ জন হাসপাতালে, আক্রান্ত ছাড়ালো ৫৮ হাজার

ছবি

এনসিপিকে ছাড়াই ‘জুলাই সনদ’ সই: ‘নবজন্ম হলো’, বললেন ইউনূস

ছবি

ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের সভা স্থগিত: পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের উদ্বেগ

ছবি

পুলিশ-জুলাই যোদ্ধা সংঘর্ষ সংসদ এলাকা রণক্ষেত্র

জুলাই জাতীয় সনদে সই আজ, অংশগ্রহণ নিয়ে সংশয়ে কয়েক দল

ছবি

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর হতে যাচ্ছে আজ, কী থাকছে এই সনদে

গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড

ছবি

এখন থেকে সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে ডেঙ্গু টেস্ট

চীনে নারী পাচার: দূতাবাস ও ইমিগ্রেশনের ‘যোগসাজশ’ দেখছে র‌্যাব

ছবি

এশিয়া-প্যাসিফিক আঞ্চলিক স্কাউট’র নতুন কমিটির সদস্য নির্বাচিত হলেন স্নিধ

ছবি

সিইপিজেডে কারখানায় ভয়াবহ আগুন, শ্রমিকদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে

শেখ হাসিনার ১৪০০ বার ফাঁসি হওয়া দরকার: চিফ প্রসিকিউটর

ছবি

এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ দুই দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ এ মাসেই, স্বাক্ষরের সুযোগ পরেও থাকবে: আলী রীয়াজ

ছবি

দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম পাসের হার ‘যথাযথই’ মনে করছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান

ছবি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থী আনাসসহ ৬ জনকে হত্যার মামলায় সাক্ষ্য দিলেন আসিফ মাহমুদ সজীব

ছবি

এইচএসসিতে ২০২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ ফেল

ছবি

এইচএসসি ফল: জিপিএ-৫ কমেছে ৭৬ হাজার ৮১৪ জন

ছবি

এইচএসসি ফল: পাসের হারে এগিয়ে ঢাকা, পিছিয়ে কুমিল্লা

ছবি

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ

ছবি

ডেঙ্গুতে আরও ৭৫৮ জন হাসপাতালে, মৃত্যু ৪

ছবি

জুলাই সনদ: দ্বিমত থাকলেও সইয়ের প্রস্তুতি সম্পন্ন

ছবি

অস্ত্র মামলায় সুব্রত বাইনসহ চারজনের বিচার শুরুর আদেশ

tab

কঠোর লকডাউনের ৭ম দিন

ঢিলেঢালা, গণপরিবহন ছাড়া সব চলছে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১

করোনাভাইরাসে প্রতিদিন মৃত্যুর নতুন রেকর্ড করছে, অন্যদিকে দিন যত যাচ্ছে কঠোর বিধিনিষেধ ততই শিথিল হচ্ছে। সড়ক-মহাসড়কে বাড়ছে ঢাকামুখী মানুষ এবং যানবাহনের চাপ। গণপরিবহন না চললেও সিএনজি অটোরিকশাসহ ছোট ছোট সব ধরনের যানবাহনই আস্তে আস্তে রাস্তায় বের হয়ে আসছে। মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর ভেতরে পুলিশের চেকপোস্টগুলো এখন অনেকটাই ঢিলেঢালা।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, লকডাউনের কারণে প্রধান সড়কগুলোতে মানুষের ভীড় কম থাকলেও ব্যাক্তিগত গাড়ী বেশী। আবার অলিগলিতে ব্যাক্তিগত যানবহন কম দেখা গেলেও মানুষের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। গলিগুলোতে দোকানের শাটার অর্ধেক খোলা রেখে বিক্রি চলছে। ছোট কয়েকটি হোটেলে বসে খাওয়ার সুযোগও দেওয়া হচ্ছে। বিশেষকরে গলিতে গলিতে চায়ের দোকানগুলোতে আড্ডা থেমে নেই। কল্যাণপুরের এক চা-দোকানদারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পুলিশ দুইবার টহলে আসে তখন দোকানের ঝাপ বন্ধ রেখে দেই।

কঠোর বিধিনিষেধের ৭ম দিনে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সব সড়কে যানবাহন এবং মানুষের চাপ বেড়েছে। নানা প্রয়োজনে মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েছেন। ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান, বেশকিছু সরকারি এবং স্বায়ত্ত শাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস খোলা থাকায় এসব প্রতিষ্ঠানের লোকজন অফিসে যাওয়ার জন্য রাস্তায় বের হয়েছেন।

ফার্মগেটে দাঁড়ানো রফিক মিয়া জানান, পুলিশ দেখলে মানুষ একটু সর্তক হলেও বাজারের অবস্থা ভিন্ন। সেখানে কেউ যেমন স্বাস্থ্যবিধী মানছেনা তেমনি অবাধে চলাচল করছে। বিক্রেতাদের কারো মুখে মাস্ক নেই। দুই এক জনের থাকলেও সেটা গালায় ঝোলানো বা থুতনীতে আটকানো।

রাজধানীর শ্যামলি, কলেজগেট, ধানমন্ডি, পাস্থপথ, শাহবাগ, কাওরানবাজার বাংলামটর, ইন্দিরা রোডসহ নগরীর প্রতিটি প্রতিটি পয়েন্টেই দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশরা। রাস্তায় যানবাহন এবং মানুষের চাপ বেড়ে যাওয়ায় নগরীর বিভিন্ন স্থানের চেকপোস্টগুলোতেও শিথিলতা লক্ষ করা গেছে।তেজগাঁও এলাকায় পুলিশ চেকপোস্টে অবস্থান নিলেও সব যানবাহন এবং লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে তাদের কোন আগ্রহ দেখা যায়নি।

গণভবন এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) আতিক মাহমুদ সংবাদকে বলেন, আমরা অনান্য সময়ের চেয়ে বেশি এক্টিভলি কাজ করছি। কিন্তু মানুষ যদি মিথ্যা বলে তো করার কিছু থাকেনা। তিনি আরো বলেন, গণপরিবহণ চললে আমরা বুঝি এটা চলছে কেন। কিন্ত কেউ প্রাইভেট কারে এসে যদি বলে আমি চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে নিযোজিত, হাসপাতালে যাবো। তাহলে এদের থামাবো কি করে।

তিনি আরো বলেন, আমরা নিজেরাও সাধ্যমাত বোঝানোর চেষ্টা করছি মানুষদের তারা যেন অকারণে বের না হন। যতক্ষণ না মানুষ নিজেরা সচেতন না হয় ততদিন লকডাউন আইন দিয়ে বাস্তবায়ন সম্ভবনা।

সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে চলে যাওয়ায় গত কয়েক মাস ধরে বিধিনিষেধ আরোপ করে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আট দিনের জন্য শিথিল করা হয়েছিল বিধিনিষেধ। এরপর আবার গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েছে সরকার।

বিধিনিষেধের মধ্যে খাদ্য ও খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন/প্রক্রিয়াজাতকরণ মিল কারখানা, কোরবানির পশুর চামড়া পরিবহন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং ওষুধ, অক্সিজেন ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদনকারী শিল্প-কারখানা ছাড়া বন্ধ আছে সব ধরনের গণপরিবহন, সরকারি ও বেসরকারি অফিস এবং শিল্পকারখানা। বন্ধ রয়েছে দোকান ও শপিংমলও। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষের বাইরে বের হওয়াও নিষেধ।

back to top