ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি মঙ্গলবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। বক্তারা এ ঘটনাকে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন বলে আখ্যায়িত করেন।
সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও সম্প্রীতি বিনষ্ট করছে। এ হামলা ভিয়েনা কনভেনশনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান থাকবে, হিন্দুত্ববাদের উত্থান ঠেকাতে পদক্ষেপ নিন। আমরা প্রতিবেশী দেশগুলোর জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাজিত করার আহ্বান জানাই।”
নাসীরুদ্দীন আরও বলেন, “বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কোনো স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক নয়, এটি হতে হবে সমতার ভিত্তিতে ন্যায্য সম্পর্ক।”
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন অভিযোগ করেন, “ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের কারণে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে ভারত সরকার শুধু দুঃখপ্রকাশ করলেই হবে না, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না।”
কমিটির সদস্য অনিক রায় বলেন, “ভারতের সাম্প্রদায়িক সরকারের কাছ থেকে বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িকতা শেখার প্রয়োজন নেই। দিল্লির সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখতে হবে।”
আরেক সদস্য আকরাম হুসেইন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ভারতে বসে যারা ষড়যন্ত্র করছে, তাদের দমন করা না হলে বাংলাদেশের জনগণ ফুঁসে উঠবে। দিল্লির ইশারায় বাংলাদেশ চলবে না।”
নাগরিক কমিটির সদস্য প্রীতম দাশ বলেন, “গত ১৫ বছর ধরে ভারত বাংলাদেশকে উপনিবেশ বানিয়ে রেখেছে। দিল্লি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগিয়ে আধিপত্য বজায় রাখতে চাইছে।”
সমাবেশ শেষে শাহবাগ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল ও সমাবেশে ‘হিন্দু-মুসলিম জনতা, গড়ে তোলো একতা’ এবং ‘হাইকমিশনে হামলা কেন, দিল্লি জবাব চাই’—এমন বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন কমিটির সদস্য মনিরা শারমিন, আলী আহসান জোনায়েদ, সাইফ মোস্তাফিজসহ অনেকে।
বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি মঙ্গলবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। বক্তারা এ ঘটনাকে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন বলে আখ্যায়িত করেন।
সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও সম্প্রীতি বিনষ্ট করছে। এ হামলা ভিয়েনা কনভেনশনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান থাকবে, হিন্দুত্ববাদের উত্থান ঠেকাতে পদক্ষেপ নিন। আমরা প্রতিবেশী দেশগুলোর জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাজিত করার আহ্বান জানাই।”
নাসীরুদ্দীন আরও বলেন, “বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কোনো স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক নয়, এটি হতে হবে সমতার ভিত্তিতে ন্যায্য সম্পর্ক।”
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন অভিযোগ করেন, “ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের কারণে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে ভারত সরকার শুধু দুঃখপ্রকাশ করলেই হবে না, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না।”
কমিটির সদস্য অনিক রায় বলেন, “ভারতের সাম্প্রদায়িক সরকারের কাছ থেকে বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িকতা শেখার প্রয়োজন নেই। দিল্লির সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখতে হবে।”
আরেক সদস্য আকরাম হুসেইন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ভারতে বসে যারা ষড়যন্ত্র করছে, তাদের দমন করা না হলে বাংলাদেশের জনগণ ফুঁসে উঠবে। দিল্লির ইশারায় বাংলাদেশ চলবে না।”
নাগরিক কমিটির সদস্য প্রীতম দাশ বলেন, “গত ১৫ বছর ধরে ভারত বাংলাদেশকে উপনিবেশ বানিয়ে রেখেছে। দিল্লি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগিয়ে আধিপত্য বজায় রাখতে চাইছে।”
সমাবেশ শেষে শাহবাগ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল ও সমাবেশে ‘হিন্দু-মুসলিম জনতা, গড়ে তোলো একতা’ এবং ‘হাইকমিশনে হামলা কেন, দিল্লি জবাব চাই’—এমন বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন কমিটির সদস্য মনিরা শারমিন, আলী আহসান জোনায়েদ, সাইফ মোস্তাফিজসহ অনেকে।