ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে করণীয় ঠিক করতে শরিকদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে বিএনপি।
শনিবার বিকালে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রয়োজন আছে বলে তারা মনে করেন না। তিনি জানান, জনগণের আকাঙ্খা অনুযায়ী সরকার কাজ করবে, সেটিই তাদের প্রত্যাশা।
ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠকের পরে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির সঙ্গেও আলাদাভাবে বৈঠক করে বিএনপি।
গত ৫ অগাস্ট অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগের মধ্যে নির্বাচনের জন্য সরব হয়েছে বিএনপি। জনগণের স্বার্থে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
জাতীয় নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে বুধবার প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিজেদের অসন্তুষ্টির কথা জানান মির্জা ফখরুল। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে বিএনপি কী করবে—এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা আবারও আপনাদের সামনে আসব দলের মধ্যে আলোচনা করে এবং আমাদের অন্য মিত্র দলগুলোর সাথে আলোচনা করে… আমরা সিদ্ধান্ত নেব।”
এরই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা শরিক দল ও জোটগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে বিএনপি।
১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠকের পর দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, “আমরা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে যারাই রাজপথে ছিলেন, আমরা সবার সঙ্গে কী করা যায় তা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছি।”
তিনি বলেন, “এই আলোচনা শেষে আমরা বলব আপনাদের যে কী করা যায় বা কী করা যায় না। আমরা মনে করি না যে, তেমন কিছু দরকার হবে। কারণ এই সরকার যারা আছে, আমরাই এই সরকারকে বসিয়েছি এই প্রত্যাশায় যে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় তারা ভূমিকা পালন করবেন। তারা জনআকাঙ্খা অনুযায়ী কাজ করুন, এটা আমরা আশা করি।”
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, “এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না। আমরা মনে করি, সরকার জনগণের আকাঙ্খা অনুযায়ী কাজ করবে। সেরকম যাতে সরকার করেন সেইজন্য আমরা আমাদের মতামত তুলে ধরছি আপনাদের মাধ্যমে। সরকার সেটা শুনবে, শুনে কাজ করবে—এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।”
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমানের নেতৃত্বে লিয়াজোঁ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক মোস্তফা জামাল হায়দারের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিএলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাগপার রাশেদ প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুল করিম খান।
এরপর এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন। এই বৈঠকে সকালে দলে যোগ দেওয়া চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী ও প্রেসিডিয়াম সদস্য ওমর ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে করণীয় ঠিক করতে শরিকদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে বিএনপি।
শনিবার বিকালে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রয়োজন আছে বলে তারা মনে করেন না। তিনি জানান, জনগণের আকাঙ্খা অনুযায়ী সরকার কাজ করবে, সেটিই তাদের প্রত্যাশা।
ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠকের পরে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির সঙ্গেও আলাদাভাবে বৈঠক করে বিএনপি।
গত ৫ অগাস্ট অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগের মধ্যে নির্বাচনের জন্য সরব হয়েছে বিএনপি। জনগণের স্বার্থে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
জাতীয় নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে বুধবার প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিজেদের অসন্তুষ্টির কথা জানান মির্জা ফখরুল। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে বিএনপি কী করবে—এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা আবারও আপনাদের সামনে আসব দলের মধ্যে আলোচনা করে এবং আমাদের অন্য মিত্র দলগুলোর সাথে আলোচনা করে… আমরা সিদ্ধান্ত নেব।”
এরই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা শরিক দল ও জোটগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে বিএনপি।
১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠকের পর দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, “আমরা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে যারাই রাজপথে ছিলেন, আমরা সবার সঙ্গে কী করা যায় তা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছি।”
তিনি বলেন, “এই আলোচনা শেষে আমরা বলব আপনাদের যে কী করা যায় বা কী করা যায় না। আমরা মনে করি না যে, তেমন কিছু দরকার হবে। কারণ এই সরকার যারা আছে, আমরাই এই সরকারকে বসিয়েছি এই প্রত্যাশায় যে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় তারা ভূমিকা পালন করবেন। তারা জনআকাঙ্খা অনুযায়ী কাজ করুন, এটা আমরা আশা করি।”
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, “এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না। আমরা মনে করি, সরকার জনগণের আকাঙ্খা অনুযায়ী কাজ করবে। সেরকম যাতে সরকার করেন সেইজন্য আমরা আমাদের মতামত তুলে ধরছি আপনাদের মাধ্যমে। সরকার সেটা শুনবে, শুনে কাজ করবে—এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।”
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমানের নেতৃত্বে লিয়াজোঁ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক মোস্তফা জামাল হায়দারের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিএলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাগপার রাশেদ প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুল করিম খান।
এরপর এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন। এই বৈঠকে সকালে দলে যোগ দেওয়া চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী ও প্রেসিডিয়াম সদস্য ওমর ফারুক উপস্থিত ছিলেন।