স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর অপেক্ষার পরিসমাপ্তি ঘটল অবশেষে। দীর্ঘ ৫৪ বছরের ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে ইউরোপ সেরা হলো প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। জার্মানির মিউনিখে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় শনিবার রাতে ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে বিধ্বস্ত করেছে লুইস এনরিকের দল।
ইতিহাস গড়া এই জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান ১৯ বছর বয়সী ফরাসি ফরোয়ার্ড দিজিরে দুয়ের। ফাইনালে দুই গোল করে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন এই তরুণ, দুয়ের একাই চূর্ণ করে দেন ইন্টারের রক্ষণভাগ।
ম্যাচের ১২তম মিনিটেই ভিতিনিয়ার দারুণ পাসে এগিয়ে দেন মরক্কোর ডানপাশের ডিফেন্ডার আশরাফ হাকিমি। সাবেক ইন্টার খেলোয়াড় গোল করেই সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হাতজোড় করে ক্ষমা চান।
মাত্র আট মিনিট পর, ২০তম মিনিটে, বল পেয়ে ডি-বক্সে নেওয়া দুয়ের শট ইন্টার ডিফেন্ডার দিমার্কোর গায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে ঢোকে। বয়স মাত্র ১৯ বছর ৩৬২ দিন হলেও দুয়ে এ গোলের মাধ্যমে পাত্রিক ক্লুইভার্ট ও কার্লোস আলবের্তোর পর তৃতীয় টিনএজার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে গোল করার কীর্তি গড়েন।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও তিনটি গোল করে পিএসজি। ৬৩তম মিনিটে ভিতিনিয়ার থ্রু পাস থেকে দ্বিতীয় গোল করেন দুয়ে। এরপর ৭৩তম মিনিটে কাভারাৎস্খেলিয়া দেম্বেলের পাস ধরে নিচু শটে গোলরক্ষক ইয়ান সমেরকে পরাস্ত করেন। শেষ মুহূর্তে, ৮৪তম মিনিটে ফাবিয়ান রুইসের বদলি হিসেবে নামা আরেক ১৯ বছর বয়সী সেনি দুর্দান্ত শটে গোল করে ব্যবধান ৫-০ করেন।
পিএসজির বল দখল ছিল প্রায় ৬০ শতাংশ, ২৩টি শটের মধ্যে ৮টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে ইন্টারের মাত্র ২টি শট লক্ষ্যে, যা কোনো হুমকি তৈরি করতে পারেনি।
এই জয় ইউরোপের শীর্ষ প্রতিযোগিতা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় হিসেবেও ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে। এর আগে চারবার ৪ গোলের ব্যবধানে জয় ছিল সর্বোচ্চ।
প্রথম পাঁচ গ্রুপ ম্যাচে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছিল পিএসজি। বিদায়ের দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরে তারা প্লে-অফে ব্রেস্তকে ১০-০ গোলে উড়িয়ে দেয়। এরপর একে একে হারায় লিভারপুল, অ্যাস্টন ভিলা ও আর্সেনালকে। আর ফাইনালে এসে সৃষ্টি করে নতুন ইতিহাস।
এ জয়ে লিগ আঁ, ফরাসি কাপ ও ফরাসি সুপার কাপের সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে মৌসুমে ‘ট্রেবল’ পূর্ণ করল পিএসজি। কোচ লুইস এনরিকে এর আগে বার্সেলোনার কোচ হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলেও, পিএসজিকে নিয়ে এমন ইতিহাস গড়া ছিল বিশেষ অর্জন। এই জয়ের মাধ্যমে ইউরোপীয় ফুটবলে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব নতুনভাবে প্রতিষ্ঠা করল প্যারিসের ক্লাবটি।
রোববার, ০১ জুন ২০২৫
স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর অপেক্ষার পরিসমাপ্তি ঘটল অবশেষে। দীর্ঘ ৫৪ বছরের ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে ইউরোপ সেরা হলো প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। জার্মানির মিউনিখে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় শনিবার রাতে ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে বিধ্বস্ত করেছে লুইস এনরিকের দল।
ইতিহাস গড়া এই জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান ১৯ বছর বয়সী ফরাসি ফরোয়ার্ড দিজিরে দুয়ের। ফাইনালে দুই গোল করে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন এই তরুণ, দুয়ের একাই চূর্ণ করে দেন ইন্টারের রক্ষণভাগ।
ম্যাচের ১২তম মিনিটেই ভিতিনিয়ার দারুণ পাসে এগিয়ে দেন মরক্কোর ডানপাশের ডিফেন্ডার আশরাফ হাকিমি। সাবেক ইন্টার খেলোয়াড় গোল করেই সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হাতজোড় করে ক্ষমা চান।
মাত্র আট মিনিট পর, ২০তম মিনিটে, বল পেয়ে ডি-বক্সে নেওয়া দুয়ের শট ইন্টার ডিফেন্ডার দিমার্কোর গায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে ঢোকে। বয়স মাত্র ১৯ বছর ৩৬২ দিন হলেও দুয়ে এ গোলের মাধ্যমে পাত্রিক ক্লুইভার্ট ও কার্লোস আলবের্তোর পর তৃতীয় টিনএজার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে গোল করার কীর্তি গড়েন।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও তিনটি গোল করে পিএসজি। ৬৩তম মিনিটে ভিতিনিয়ার থ্রু পাস থেকে দ্বিতীয় গোল করেন দুয়ে। এরপর ৭৩তম মিনিটে কাভারাৎস্খেলিয়া দেম্বেলের পাস ধরে নিচু শটে গোলরক্ষক ইয়ান সমেরকে পরাস্ত করেন। শেষ মুহূর্তে, ৮৪তম মিনিটে ফাবিয়ান রুইসের বদলি হিসেবে নামা আরেক ১৯ বছর বয়সী সেনি দুর্দান্ত শটে গোল করে ব্যবধান ৫-০ করেন।
পিএসজির বল দখল ছিল প্রায় ৬০ শতাংশ, ২৩টি শটের মধ্যে ৮টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে ইন্টারের মাত্র ২টি শট লক্ষ্যে, যা কোনো হুমকি তৈরি করতে পারেনি।
এই জয় ইউরোপের শীর্ষ প্রতিযোগিতা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় হিসেবেও ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে। এর আগে চারবার ৪ গোলের ব্যবধানে জয় ছিল সর্বোচ্চ।
প্রথম পাঁচ গ্রুপ ম্যাচে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছিল পিএসজি। বিদায়ের দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরে তারা প্লে-অফে ব্রেস্তকে ১০-০ গোলে উড়িয়ে দেয়। এরপর একে একে হারায় লিভারপুল, অ্যাস্টন ভিলা ও আর্সেনালকে। আর ফাইনালে এসে সৃষ্টি করে নতুন ইতিহাস।
এ জয়ে লিগ আঁ, ফরাসি কাপ ও ফরাসি সুপার কাপের সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে মৌসুমে ‘ট্রেবল’ পূর্ণ করল পিএসজি। কোচ লুইস এনরিকে এর আগে বার্সেলোনার কোচ হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলেও, পিএসজিকে নিয়ে এমন ইতিহাস গড়া ছিল বিশেষ অর্জন। এই জয়ের মাধ্যমে ইউরোপীয় ফুটবলে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব নতুনভাবে প্রতিষ্ঠা করল প্যারিসের ক্লাবটি।