alt

সম্পাদকীয়

স্বাস্থ্য খাত : চাই সুন্দর ব্যবস্থাপনা

: বুধবার, ০৭ এপ্রিল ২০২১

গত পাঁচ দশকে স্বাস্থ্য খাত এগিয়েছে অনেকটা। মানুষের গড় আয়ু বেড়ে হয়েছে ৭২.৬ বছর। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭১ সালে দেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৪৭ বছর। স্বাধীনতার পর শিশুমৃত্যুর হার কমেছে ৮৫ শতাংশ। মাতৃস্বাস্থ্য, শিশুপুষ্টি, পরিবার পরিকল্পনা, ইপিআই টিকাদান কর্মসূচি প্রভৃতি ক্ষেত্রে লক্ষ্যযোগ্য অর্জন রয়েছে। পোলিও নির্মূল হয়েছে, কমেছে কালাজ্বর, ম্যালেরিয়া বা কলেরার প্রকোপ। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে গড়ে উঠেছে বড় বড় হাসপাতাল, যেগুলোর অনেকটিতেই মেলে অত্যাধুনিক চিকিৎসা।

অনেক উন্নতির পরও চিকিৎসাসেবা প্রাপ্তিতে নানা মাত্রার বৈষম্য দূর করা গেছে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। শহর আর গ্রামে চিকিৎসা সুবিধা সমান হারে মেলে না। সর্বশেষ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ থেকে জানা যায়, শহরের ৬৩ শতাংশ প্রসব হয় চিকিৎসা কেন্দ্রে, গ্রামে এই হার মাত্র ৪৫ শতাংশ। অঞ্চল, লিঙ্গ, বিত্তভেদে এমন অনেক বৈষম্যই চোখে পড়ে।

সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রায় বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে দেয়া হলেও তার মান নিয়ে অনেকেই সন্তুষ্ট নন। এ কারণেই যাদের একটু সামর্থ্য রয়েছে তারা বেসরকারি হাসপাতালের দ্বারস্থ হচ্ছেন, কেউবা বিদেশে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব অনুযায়ী, স্বাস্থ্য ব্যয়ের ৬৭ শতাংশ ব্যক্তি নিজের পকেট থেকে খরচ করেন। সরকারি হাসপাতালগুলোর সিংহভাগ সেবাগ্রহীতা হচ্ছেন নিরুপায় দরিদ্র জনগোষ্ঠী।

দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। মহামারী নভেল করোনাভাইরাস এ দুর্বলতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি একটি বড় সমস্যা। সরকারের অনেক ভালো উদ্যোগই অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে।

‘সবার জন্য সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর বিশ্ব গড়ি’- এ প্রতিপাদ্য নিয়ে গতকাল পালন করা হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। স্বাস্থ্যসেবা মানুষের অন্যতম প্রধান মৌলিক চাহিদা। মানুষের দোরগোড়ায় স্বল্প খরচে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে স্বাস্থ্য খাতের অসমতাগুলো দূর করা জরুরি। রাজধানীমুখী চিকিৎসা ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ করা জরুরি। জেলা সদর হাসপাতালেই যেন মানুষ পূর্ণাঙ্গ ও মানসম্মত চিকিৎসা পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে মানুষের ব্যয় কমাতে হবে।

স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বরাদ্দ যথেষ্ট কিনা সে প্রশ্নও রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একটি দেশের মোট বাজেটের ১৫ শতাংশ বরাদ্দ দিতে হবে স্বাস্থ্য খাতে, যেটা বাংলাদেশে পাঁচ শতাংশেরও কম। আবার বরাদ্দের অর্ধেকের বেশি ব্যয় হচ্ছে অনুন্নয়ন খাতে। অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করে সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে পারলে স্বাস্থ্য খাতে একটি সুন্দর ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। যার সুফল পাবে সব মানুষ।

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

স্বাস্থ্য খাত : চাই সুন্দর ব্যবস্থাপনা

বুধবার, ০৭ এপ্রিল ২০২১

গত পাঁচ দশকে স্বাস্থ্য খাত এগিয়েছে অনেকটা। মানুষের গড় আয়ু বেড়ে হয়েছে ৭২.৬ বছর। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭১ সালে দেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৪৭ বছর। স্বাধীনতার পর শিশুমৃত্যুর হার কমেছে ৮৫ শতাংশ। মাতৃস্বাস্থ্য, শিশুপুষ্টি, পরিবার পরিকল্পনা, ইপিআই টিকাদান কর্মসূচি প্রভৃতি ক্ষেত্রে লক্ষ্যযোগ্য অর্জন রয়েছে। পোলিও নির্মূল হয়েছে, কমেছে কালাজ্বর, ম্যালেরিয়া বা কলেরার প্রকোপ। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে গড়ে উঠেছে বড় বড় হাসপাতাল, যেগুলোর অনেকটিতেই মেলে অত্যাধুনিক চিকিৎসা।

অনেক উন্নতির পরও চিকিৎসাসেবা প্রাপ্তিতে নানা মাত্রার বৈষম্য দূর করা গেছে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। শহর আর গ্রামে চিকিৎসা সুবিধা সমান হারে মেলে না। সর্বশেষ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ থেকে জানা যায়, শহরের ৬৩ শতাংশ প্রসব হয় চিকিৎসা কেন্দ্রে, গ্রামে এই হার মাত্র ৪৫ শতাংশ। অঞ্চল, লিঙ্গ, বিত্তভেদে এমন অনেক বৈষম্যই চোখে পড়ে।

সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রায় বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে দেয়া হলেও তার মান নিয়ে অনেকেই সন্তুষ্ট নন। এ কারণেই যাদের একটু সামর্থ্য রয়েছে তারা বেসরকারি হাসপাতালের দ্বারস্থ হচ্ছেন, কেউবা বিদেশে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব অনুযায়ী, স্বাস্থ্য ব্যয়ের ৬৭ শতাংশ ব্যক্তি নিজের পকেট থেকে খরচ করেন। সরকারি হাসপাতালগুলোর সিংহভাগ সেবাগ্রহীতা হচ্ছেন নিরুপায় দরিদ্র জনগোষ্ঠী।

দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। মহামারী নভেল করোনাভাইরাস এ দুর্বলতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি একটি বড় সমস্যা। সরকারের অনেক ভালো উদ্যোগই অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে।

‘সবার জন্য সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর বিশ্ব গড়ি’- এ প্রতিপাদ্য নিয়ে গতকাল পালন করা হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। স্বাস্থ্যসেবা মানুষের অন্যতম প্রধান মৌলিক চাহিদা। মানুষের দোরগোড়ায় স্বল্প খরচে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে স্বাস্থ্য খাতের অসমতাগুলো দূর করা জরুরি। রাজধানীমুখী চিকিৎসা ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ করা জরুরি। জেলা সদর হাসপাতালেই যেন মানুষ পূর্ণাঙ্গ ও মানসম্মত চিকিৎসা পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে মানুষের ব্যয় কমাতে হবে।

স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বরাদ্দ যথেষ্ট কিনা সে প্রশ্নও রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একটি দেশের মোট বাজেটের ১৫ শতাংশ বরাদ্দ দিতে হবে স্বাস্থ্য খাতে, যেটা বাংলাদেশে পাঁচ শতাংশেরও কম। আবার বরাদ্দের অর্ধেকের বেশি ব্যয় হচ্ছে অনুন্নয়ন খাতে। অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করে সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে পারলে স্বাস্থ্য খাতে একটি সুন্দর ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। যার সুফল পাবে সব মানুষ।

back to top