নভেল করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ক্ষেত্রে বড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে মানুষের অসতর্কতা ও উদাসীনতা। দেশে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। টেস্ট কমলেও আক্রান্তের হার বেড়েছে। তবে নভেল করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকারের জারি করা বিধিনিষেধ মানছে না সাধারণ মানুষ। নানা ‘অজুহাতে’ তারা বাইরে বের হচ্ছে। রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরের ছোট সড়ক, গলি ও বাজারগুলোয় মানুষ চলাচল করছে অবাধে।
মসজিদে জুমা এবং তারাবিতে সর্বোচ্চ ২০ জন করে মুসল্লি নিয়ে নামাজ পড়ানোর ঘোষণা মানা হচ্ছে না। জনসমাগম ঘটছে এমন স্থানেও অনেকে মুখে পরছেন না মাস্ক, বজায় রাখছেন না সামাজিক দূরত্ব। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকলেও পরিস্থিতি বদলাচ্ছে না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে তারা হাল ছেড়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অফিস-আদালত, গণপরিবহন প্রভৃতি বন্ধ রেখে বা মসজিদসহ বিভিন্ন স্থানে জনসমাগম সীমিত রেখে বিধিনিষেধ আরোপ করার অন্যতম একটি লক্ষ্য হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা। বাস্তবে সেটা হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখা ও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করার কারণেই কোভিড-১৯ রোগের সংক্রমণ হু হু করে বেড়েছে। এখন স্বাস্থ্যবিধি মানা না হলে ভবিষ্যতে সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে তারা সতর্ক করছেন।
কোভিড-১৯ সংক্রামক রোগ। তাই এ রোগ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং মুখে মাস্ক পরার মতো স্বাস্থ্যবিধি মানা অত্যন্ত জরুরি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে নিজেকে সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করা যায় তেমন অন্যদেরও সংক্রমণের ঝুঁকি কমিয়ে আনা যায়। মানুষকে নিজের স্বার্থেই সতর্ক হতে হবে।
সরকারের একার পক্ষে কোভিড-১৯ এর মতো সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না। নাগরিকদেরও দায়িত্বশীল হতে হবে। আমরা আশা করব, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে নাগরিকরা ঘোষিত বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। তাহলে হয়তো একটা সময় মহামারী নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১
নভেল করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ক্ষেত্রে বড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে মানুষের অসতর্কতা ও উদাসীনতা। দেশে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। টেস্ট কমলেও আক্রান্তের হার বেড়েছে। তবে নভেল করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকারের জারি করা বিধিনিষেধ মানছে না সাধারণ মানুষ। নানা ‘অজুহাতে’ তারা বাইরে বের হচ্ছে। রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরের ছোট সড়ক, গলি ও বাজারগুলোয় মানুষ চলাচল করছে অবাধে।
মসজিদে জুমা এবং তারাবিতে সর্বোচ্চ ২০ জন করে মুসল্লি নিয়ে নামাজ পড়ানোর ঘোষণা মানা হচ্ছে না। জনসমাগম ঘটছে এমন স্থানেও অনেকে মুখে পরছেন না মাস্ক, বজায় রাখছেন না সামাজিক দূরত্ব। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকলেও পরিস্থিতি বদলাচ্ছে না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে তারা হাল ছেড়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অফিস-আদালত, গণপরিবহন প্রভৃতি বন্ধ রেখে বা মসজিদসহ বিভিন্ন স্থানে জনসমাগম সীমিত রেখে বিধিনিষেধ আরোপ করার অন্যতম একটি লক্ষ্য হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা। বাস্তবে সেটা হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখা ও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করার কারণেই কোভিড-১৯ রোগের সংক্রমণ হু হু করে বেড়েছে। এখন স্বাস্থ্যবিধি মানা না হলে ভবিষ্যতে সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে তারা সতর্ক করছেন।
কোভিড-১৯ সংক্রামক রোগ। তাই এ রোগ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং মুখে মাস্ক পরার মতো স্বাস্থ্যবিধি মানা অত্যন্ত জরুরি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে নিজেকে সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করা যায় তেমন অন্যদেরও সংক্রমণের ঝুঁকি কমিয়ে আনা যায়। মানুষকে নিজের স্বার্থেই সতর্ক হতে হবে।
সরকারের একার পক্ষে কোভিড-১৯ এর মতো সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না। নাগরিকদেরও দায়িত্বশীল হতে হবে। আমরা আশা করব, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে নাগরিকরা ঘোষিত বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। তাহলে হয়তো একটা সময় মহামারী নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।