alt

সম্পাদকীয়

আত্মহত্যা প্রতিরোধে চাই সমন্বিত উদ্যোগ

: শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১

রাজবাড়ির বালিয়াকান্দিতে গত ১৬ মাসে ৫৩ জন নারী, পুরুষ ও শিশু আত্মহত্যা করেছে। বেশিরভাগ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে পারিবারিক কলহের জের ধরে। গত বুধবার প্রকাশিত সংবাদের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

বালিয়াকান্দিতে আত্মহত্যার খবরটি উদ্বেগজনক। তবে সাম্প্রতিক সময়ে শুধু একটি উপজেলায় নয়, গোটা দেশেই আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। পুলিশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৬ সালে দেশে আত্মহত্যায় মৃত্যুর সংখ্যা ৯ হাজারের কিছু কম। ২০১৮ সালে আত্মহত্যায় মৃত্যুর সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। তরুণদের সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাকালে ২০২০ সালে সারা দেশে আত্মহত্যা করেছে ১৪ হাজার ৪৩৬ জন নারী-পুরুষ।

আত্মহত্যাকে অনেকেই মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা বলে মনে করেন। মানসিক পীড়ন থেকেই বেশিরভাগ সময় মানুষ আত্মহত্যার দিকে ধাবিত হয়। এর সঙ্গে যুক্ত হয় বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক চাপ। অর্থনৈতিক সমস্যা, ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কের টানাপড়েন, ব্যক্তিজীবনের অশান্তিও অনেক সময় আত্মহত্যার কারণ হতে পারে।

আত্মহত্যা প্রতিরোধ করতে হলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। শিশুদের বিকাশের সময় তাদের এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যাতে তারা সফলতার মতো ব্যর্থতাকে মেনে নিতে পারে। পারিবারিক বন্ধনগুলো দৃঢ় করতে হবে আর পরিবারে প্রত্যেকের সঙ্গে গুণগত সময় কাটাতে হবে। আশপাশের কারও মধ্যে যদি মানসিক অস্থিরতা কিংবা কোন ধরনের অস্বাভাবিকতা লক্ষ করা যায়, তবে তার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে পরিবার এবং বন্ধুদের সবার আগে এগিয়ে আসা উচিত।

তৃণমূল পর্যন্ত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সঠিকভাবে পৌঁছে দেয়া প্রয়োজন। কারণ, আত্মহত্যা নিয়ে কাজ করেন এমন অনেকের মতে, শহরের চেয়ে গ্রামে আত্মহত্যা বেশি ঘটছে। কিন্তু গ্রামীণ সমাজ কাঠামোর কারণেই তার প্রকাশ হয় কম।

আত্মহত্যার উপকরণ, যেমন ঘুমের ওষুধ, কীটনাশকের সহজলভ্যতা কমাতে হবে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঘুমের ওষুধ বিক্রি বন্ধ করতে হবে। যেকোন ধরনের মানসিক সমস্যা বা আত্মহত্যার ইঙ্গিত পেলে দ্রুত মনোরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে।

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

tab

সম্পাদকীয়

আত্মহত্যা প্রতিরোধে চাই সমন্বিত উদ্যোগ

শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১

রাজবাড়ির বালিয়াকান্দিতে গত ১৬ মাসে ৫৩ জন নারী, পুরুষ ও শিশু আত্মহত্যা করেছে। বেশিরভাগ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে পারিবারিক কলহের জের ধরে। গত বুধবার প্রকাশিত সংবাদের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

বালিয়াকান্দিতে আত্মহত্যার খবরটি উদ্বেগজনক। তবে সাম্প্রতিক সময়ে শুধু একটি উপজেলায় নয়, গোটা দেশেই আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। পুলিশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৬ সালে দেশে আত্মহত্যায় মৃত্যুর সংখ্যা ৯ হাজারের কিছু কম। ২০১৮ সালে আত্মহত্যায় মৃত্যুর সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। তরুণদের সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাকালে ২০২০ সালে সারা দেশে আত্মহত্যা করেছে ১৪ হাজার ৪৩৬ জন নারী-পুরুষ।

আত্মহত্যাকে অনেকেই মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা বলে মনে করেন। মানসিক পীড়ন থেকেই বেশিরভাগ সময় মানুষ আত্মহত্যার দিকে ধাবিত হয়। এর সঙ্গে যুক্ত হয় বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক চাপ। অর্থনৈতিক সমস্যা, ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কের টানাপড়েন, ব্যক্তিজীবনের অশান্তিও অনেক সময় আত্মহত্যার কারণ হতে পারে।

আত্মহত্যা প্রতিরোধ করতে হলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। শিশুদের বিকাশের সময় তাদের এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যাতে তারা সফলতার মতো ব্যর্থতাকে মেনে নিতে পারে। পারিবারিক বন্ধনগুলো দৃঢ় করতে হবে আর পরিবারে প্রত্যেকের সঙ্গে গুণগত সময় কাটাতে হবে। আশপাশের কারও মধ্যে যদি মানসিক অস্থিরতা কিংবা কোন ধরনের অস্বাভাবিকতা লক্ষ করা যায়, তবে তার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে পরিবার এবং বন্ধুদের সবার আগে এগিয়ে আসা উচিত।

তৃণমূল পর্যন্ত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সঠিকভাবে পৌঁছে দেয়া প্রয়োজন। কারণ, আত্মহত্যা নিয়ে কাজ করেন এমন অনেকের মতে, শহরের চেয়ে গ্রামে আত্মহত্যা বেশি ঘটছে। কিন্তু গ্রামীণ সমাজ কাঠামোর কারণেই তার প্রকাশ হয় কম।

আত্মহত্যার উপকরণ, যেমন ঘুমের ওষুধ, কীটনাশকের সহজলভ্যতা কমাতে হবে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঘুমের ওষুধ বিক্রি বন্ধ করতে হবে। যেকোন ধরনের মানসিক সমস্যা বা আত্মহত্যার ইঙ্গিত পেলে দ্রুত মনোরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে।

back to top