alt

সম্পাদকীয়

ভেজাল মেডিকেল পণ্যের উৎসমুখ বন্ধ করতে হবে

: রোববার, ১৮ এপ্রিল ২০২১

ঢাকায় চার ট্রাক অনুমোদনহীন মেডিকেল পণ্য, মেয়াদোত্তীর্ণ করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষার কিট, রি-এজেন্ট উদ্ধার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এসব পণ্য বিক্রি ও বাজারজাতকরণের অভিযোগে মূল হোতাসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সাঁড়াশি অভিযানের মাধ্যমে যে বিপুল পরিমাণের ভেজাল ও অনুমোদনহীন মেডিকেল পণ্য পাওয়া গেছে এটা ভালো খবর। তবে বিষয়টি আমাদের মধ্যে উদ্বেগেরও জন্ম দিয়েছে। চিকিৎসার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করা। রোগ নির্ণয়ের উপকরণই যদি ভেজাল কিংবা মেয়াদোত্তীর্ণ হয় তবে সেগুলো ব্যবহার করে রোগ নির্ণয় করা কঠিন হয়ে যাবে। রিপোর্ট ভুল আসবে। হয়তো যার রোগ আছে তার রোগ ধরা পড়বে না। কিংবা যার রোগ নেই, তাকে আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। দুটিই ক্ষতিকর। এটা যেমন রোগীর জন্য ক্ষতিকর আবার তা যদি সংক্রামক ব্যাধি হয় তাহলে তা সুস্থ মানুষের জন্যও বিপজ্জনক। এর মাধ্যমে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হবে।

অভিযানে যেসব টেস্টিং কিট উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে করোনাভাইরাস, এইচআইভি, জন্ডিস, ডায়াবেটিস, নিউমোনিয়া, ক্যানসারসহ বিভিন্ন জটিল রোগের মেয়াদোত্তীর্ণ টেস্টিং কিট ছিল। র‌্যাব জানিয়েছে, চক্রটি ২০১০ সাল থেকে একাধিক প্রতিষ্ঠানের নামে বিদেশ থেকে বিভিন্ন রোগের কিট এনে তা টেম্পারিং করে মেয়াদ বাড়াত। অর্থাৎ অনৈতিক কাজটি দীর্ঘদিন ধরেই হচ্ছে। এর মাধ্যমে কতসংখ্যক এইডস কিংবা ক্যানসারের মতো গুরুতর রোগে আক্রান্তরা ভোগান্তিতে পড়েছেন তা আমাদের জানা নেই।

নিঃসন্দেহে এটা গর্হিত অপরাধ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলেছে, চক্রের মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে আমরা মনে করি, এক্ষেত্রে আরও গভীরে তদন্ত হওয়া দরকার। চক্রটি বহু বছর ধরে অনাচার করছে। কাজেই এর পেছনে আরও অনেকে কলকাঠি নাড়তে পারে। তদন্তের মাধ্যমে তাদের খুঁজে বের করে আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক সাজা দিতে হবে।

অসাধু প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। তারা যেন কোনভাবেই লাইসেন্স ফিরে পেতে না পারে- সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। এ ধরনের চক্রের কারসাজি শুধু রাজধানীতেই সীমাবদ্ধ কিনা, এর শাখা-প্রশাখা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ছড়িয়েছে কিনা- সেটাও জানা দরকার। এ ব্যাপারে নজরদারি বাড়াতে হবে। অপরাধীদের কোনভাবেই ছাড় দেয়া যাবে না।

স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি দুমকি হাসপাতাল

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

tab

সম্পাদকীয়

ভেজাল মেডিকেল পণ্যের উৎসমুখ বন্ধ করতে হবে

রোববার, ১৮ এপ্রিল ২০২১

ঢাকায় চার ট্রাক অনুমোদনহীন মেডিকেল পণ্য, মেয়াদোত্তীর্ণ করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষার কিট, রি-এজেন্ট উদ্ধার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এসব পণ্য বিক্রি ও বাজারজাতকরণের অভিযোগে মূল হোতাসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সাঁড়াশি অভিযানের মাধ্যমে যে বিপুল পরিমাণের ভেজাল ও অনুমোদনহীন মেডিকেল পণ্য পাওয়া গেছে এটা ভালো খবর। তবে বিষয়টি আমাদের মধ্যে উদ্বেগেরও জন্ম দিয়েছে। চিকিৎসার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করা। রোগ নির্ণয়ের উপকরণই যদি ভেজাল কিংবা মেয়াদোত্তীর্ণ হয় তবে সেগুলো ব্যবহার করে রোগ নির্ণয় করা কঠিন হয়ে যাবে। রিপোর্ট ভুল আসবে। হয়তো যার রোগ আছে তার রোগ ধরা পড়বে না। কিংবা যার রোগ নেই, তাকে আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। দুটিই ক্ষতিকর। এটা যেমন রোগীর জন্য ক্ষতিকর আবার তা যদি সংক্রামক ব্যাধি হয় তাহলে তা সুস্থ মানুষের জন্যও বিপজ্জনক। এর মাধ্যমে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হবে।

অভিযানে যেসব টেস্টিং কিট উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে করোনাভাইরাস, এইচআইভি, জন্ডিস, ডায়াবেটিস, নিউমোনিয়া, ক্যানসারসহ বিভিন্ন জটিল রোগের মেয়াদোত্তীর্ণ টেস্টিং কিট ছিল। র‌্যাব জানিয়েছে, চক্রটি ২০১০ সাল থেকে একাধিক প্রতিষ্ঠানের নামে বিদেশ থেকে বিভিন্ন রোগের কিট এনে তা টেম্পারিং করে মেয়াদ বাড়াত। অর্থাৎ অনৈতিক কাজটি দীর্ঘদিন ধরেই হচ্ছে। এর মাধ্যমে কতসংখ্যক এইডস কিংবা ক্যানসারের মতো গুরুতর রোগে আক্রান্তরা ভোগান্তিতে পড়েছেন তা আমাদের জানা নেই।

নিঃসন্দেহে এটা গর্হিত অপরাধ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলেছে, চক্রের মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে আমরা মনে করি, এক্ষেত্রে আরও গভীরে তদন্ত হওয়া দরকার। চক্রটি বহু বছর ধরে অনাচার করছে। কাজেই এর পেছনে আরও অনেকে কলকাঠি নাড়তে পারে। তদন্তের মাধ্যমে তাদের খুঁজে বের করে আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক সাজা দিতে হবে।

অসাধু প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। তারা যেন কোনভাবেই লাইসেন্স ফিরে পেতে না পারে- সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। এ ধরনের চক্রের কারসাজি শুধু রাজধানীতেই সীমাবদ্ধ কিনা, এর শাখা-প্রশাখা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ছড়িয়েছে কিনা- সেটাও জানা দরকার। এ ব্যাপারে নজরদারি বাড়াতে হবে। অপরাধীদের কোনভাবেই ছাড় দেয়া যাবে না।

back to top