২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পাঁচ বছর পরও দেশে জঙ্গিগোষ্ঠী নানা অপতৎপরতা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট দাবি করেছে, নারায়ণগঞ্জে দুটি ‘জঙ্গি আস্তানা’র সন্ধান মিলেছে। সেখান থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। নব্য জেএমবির কথিত আমির, জঙ্গি সংগঠনটির ‘সিøপার সেল’র সদস্য, বিস্ফোরক দ্রব্য তৈরির প্রশিক্ষণ প্রভৃতি বিষয়ে গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানিয়েছে সিটিটিসি।
হলি আর্টিজান হামলার পর দেশজুড়ে জঙ্গিবিরোধী ব্যাপক অভিযান চালানো হয়েছে। এসব অভিযানের মাধ্যমে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর মেরুদন্ড ভেঙে দেয়া হয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন সময় দাবি করেছে। এখন পুলিশই জঙ্গিগোষ্ঠীর আমিরের নাম জানাচ্ছে।
পুলিশের ভাষ্য থেকে এ ধারণা করা যায় যে, নব্য জেএমবি শুধু নামকাওয়াস্তে কোন সংগঠন নয়। তাদের রীতিমতো আমির আছে, নানা স্তরের কর্মী বা সদস্য রয়েছে, বিস্ফোরক বানানোর কৌশল তারা জানে এবং একে অপরকে সেই কৌশল শেখায়, বিস্ফোরক তৈরি করে, হামলার প্রস্তুতি নেয়, কোন না কোনভাবে অর্থ আর অস্ত্র সংগ্রহ করে, সদস্য সংগ্রহ করে। প্রতিবেশী দেশে ছদ্মবেশে এ দেশীয় জঙ্গিদের কেউ কেউ অবস্থান করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সম্প্রতি এ ধরনের তিনজনকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।
দেশ জঙ্গিবাদের বিপদ থেকে এখনও মুক্ত হয়নি। যদিও গত পাঁচ বছরে তারা বড় ধরনের কোন সন্ত্রাসী হামলা চালায়নি। তবে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, উগ্রবাদীরা সংখ্যায় কম হলেও তারা বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে। এমনকি ‘লোন উলফ’ ধরনের হামলায় একজন উগ্রবাদী অনেক ক্ষতিসাধন করতে পারে। সম্প্রতি ইউরোপে এ ধরনের হামলা চালাতে দেখা গেছে। কাজেই উগ্র জঙ্গিগোষ্ঠীর কোন তৎপরতাকেই হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই।
মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান ছাড়ছে। দেশটিতে আবার তালেবানরা তাদের শক্তি দেখাতে শুরু করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আফগানিস্তান থেকে আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই দেশটিতে তালেবানদের হামলা, সহিংসতা বেড়েছে। তালেবানরা একের পর এক বিভিন্ন নগরী এবং অঞ্চল দখলে নিচ্ছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো উৎসাহিত হচ্ছে কিনা সে সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।
মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই ২০২১
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পাঁচ বছর পরও দেশে জঙ্গিগোষ্ঠী নানা অপতৎপরতা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট দাবি করেছে, নারায়ণগঞ্জে দুটি ‘জঙ্গি আস্তানা’র সন্ধান মিলেছে। সেখান থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। নব্য জেএমবির কথিত আমির, জঙ্গি সংগঠনটির ‘সিøপার সেল’র সদস্য, বিস্ফোরক দ্রব্য তৈরির প্রশিক্ষণ প্রভৃতি বিষয়ে গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানিয়েছে সিটিটিসি।
হলি আর্টিজান হামলার পর দেশজুড়ে জঙ্গিবিরোধী ব্যাপক অভিযান চালানো হয়েছে। এসব অভিযানের মাধ্যমে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর মেরুদন্ড ভেঙে দেয়া হয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন সময় দাবি করেছে। এখন পুলিশই জঙ্গিগোষ্ঠীর আমিরের নাম জানাচ্ছে।
পুলিশের ভাষ্য থেকে এ ধারণা করা যায় যে, নব্য জেএমবি শুধু নামকাওয়াস্তে কোন সংগঠন নয়। তাদের রীতিমতো আমির আছে, নানা স্তরের কর্মী বা সদস্য রয়েছে, বিস্ফোরক বানানোর কৌশল তারা জানে এবং একে অপরকে সেই কৌশল শেখায়, বিস্ফোরক তৈরি করে, হামলার প্রস্তুতি নেয়, কোন না কোনভাবে অর্থ আর অস্ত্র সংগ্রহ করে, সদস্য সংগ্রহ করে। প্রতিবেশী দেশে ছদ্মবেশে এ দেশীয় জঙ্গিদের কেউ কেউ অবস্থান করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সম্প্রতি এ ধরনের তিনজনকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।
দেশ জঙ্গিবাদের বিপদ থেকে এখনও মুক্ত হয়নি। যদিও গত পাঁচ বছরে তারা বড় ধরনের কোন সন্ত্রাসী হামলা চালায়নি। তবে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, উগ্রবাদীরা সংখ্যায় কম হলেও তারা বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে। এমনকি ‘লোন উলফ’ ধরনের হামলায় একজন উগ্রবাদী অনেক ক্ষতিসাধন করতে পারে। সম্প্রতি ইউরোপে এ ধরনের হামলা চালাতে দেখা গেছে। কাজেই উগ্র জঙ্গিগোষ্ঠীর কোন তৎপরতাকেই হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই।
মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান ছাড়ছে। দেশটিতে আবার তালেবানরা তাদের শক্তি দেখাতে শুরু করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আফগানিস্তান থেকে আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই দেশটিতে তালেবানদের হামলা, সহিংসতা বেড়েছে। তালেবানরা একের পর এক বিভিন্ন নগরী এবং অঞ্চল দখলে নিচ্ছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো উৎসাহিত হচ্ছে কিনা সে সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।