alt

সম্পাদকীয়

অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ফায়ার সার্ভিসের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা জরুরি

: বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই ২০২১

আগুন লাগলে সেটি প্রতিরোধ করার মতো কোন ব্যবস্থাই নেই দেশের ২৩ শতাংশ ভবনে। ৬৭ শতাংশ ভবনে অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধের ব্যবস্থা থাকলেও তা অপ্রতুল। গত বছর সারাদেশে ৫ হাজার ২০৭টি ভবন পরিদর্শন করে এমন চিত্রের দেখা পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।

অগ্নিকান্ডকে নিছক দুর্ঘটনা বলা চলে না, এটা মানবসৃষ্ট দুর্যোগ। দেশে প্রতিনিয়তই ছোট-বড় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এর বেশিরভাগই ঘটে সংশ্লিষ্টদের অবহেলা আর অসতর্কতার জন্য। বড় কোন অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে অবহেলা আর অনিয়মের কথা জানা যায়। গত ৮ জুলাই নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি কারখানায় অগ্নি দুর্ঘটনায় ৫২ জন মারা যাওয়ার পর জানা যায়, সেখানে ঝুঁকি নিরসনের তেমন কোন ব্যবস্থা ছিল না।

প্রশ্ন হচ্ছে- অগ্নিকান্ডের ঝুঁকিতে থাকা ভবনগুলোর মালিক বা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস ভবন পরিদর্শন করে ভবনের ঝুঁকি চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়ে দায়িত্ব সারে। সংশ্লিষ্টরা ব্যবস্থা নিল কী নিল না- সেটা তারা দেখে না। ভবনের ধরন ভেদে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সেটা দেখবার কথা। কারখানাগুলো দেখবার কথা কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের। তারাও বিভিন্ন সময় কলকারখানার অগ্নিঝুঁকি নিয়ে জরিপ করেছে। তবে কারখানাগুলোর ঝুঁকি প্রশমনে তাদের দায়িত্ব-কর্তব্যে অবেহলা রয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

কখনও কখনও অগ্নিঝুঁকিতে থাকা ভবন মালিক ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে নামমাত্র ব্যবস্থা নেয়া হয়। আমরা চাই, অগ্নিঝুঁকি প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হোক। এজন্য সংশ্লিষ্টদের সময় বেঁধে দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। প্রয়োজনে অগ্নিকান্ডের অতিঝুঁকিতে থাকা ভবন সিলগালা করে দিতে হবে। কারও গাফিলতিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটবে, মানুষ হতাহত হবে- সেটা কাম্য নয়।

অগ্নিকান্ডের বিভিন্ন ঘটনা তদন্ত করে বা ভবন পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিস বিভিন্ন সময় অনেক সুপারিশ করেছে। সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা জরুরি। সুপারিশ ফাইলবন্দী করে রাখলে সমস্যার সমাধান হবে না।

কয়রায় টেকসই বাঁধ নির্মাণে বিলম্ব কেন

ফেনীর বন্যা : টেকসই সমাধান জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি দুমকি হাসপাতাল

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

tab

সম্পাদকীয়

অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ফায়ার সার্ভিসের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা জরুরি

বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই ২০২১

আগুন লাগলে সেটি প্রতিরোধ করার মতো কোন ব্যবস্থাই নেই দেশের ২৩ শতাংশ ভবনে। ৬৭ শতাংশ ভবনে অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধের ব্যবস্থা থাকলেও তা অপ্রতুল। গত বছর সারাদেশে ৫ হাজার ২০৭টি ভবন পরিদর্শন করে এমন চিত্রের দেখা পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।

অগ্নিকান্ডকে নিছক দুর্ঘটনা বলা চলে না, এটা মানবসৃষ্ট দুর্যোগ। দেশে প্রতিনিয়তই ছোট-বড় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এর বেশিরভাগই ঘটে সংশ্লিষ্টদের অবহেলা আর অসতর্কতার জন্য। বড় কোন অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে অবহেলা আর অনিয়মের কথা জানা যায়। গত ৮ জুলাই নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি কারখানায় অগ্নি দুর্ঘটনায় ৫২ জন মারা যাওয়ার পর জানা যায়, সেখানে ঝুঁকি নিরসনের তেমন কোন ব্যবস্থা ছিল না।

প্রশ্ন হচ্ছে- অগ্নিকান্ডের ঝুঁকিতে থাকা ভবনগুলোর মালিক বা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস ভবন পরিদর্শন করে ভবনের ঝুঁকি চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়ে দায়িত্ব সারে। সংশ্লিষ্টরা ব্যবস্থা নিল কী নিল না- সেটা তারা দেখে না। ভবনের ধরন ভেদে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সেটা দেখবার কথা। কারখানাগুলো দেখবার কথা কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের। তারাও বিভিন্ন সময় কলকারখানার অগ্নিঝুঁকি নিয়ে জরিপ করেছে। তবে কারখানাগুলোর ঝুঁকি প্রশমনে তাদের দায়িত্ব-কর্তব্যে অবেহলা রয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

কখনও কখনও অগ্নিঝুঁকিতে থাকা ভবন মালিক ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে নামমাত্র ব্যবস্থা নেয়া হয়। আমরা চাই, অগ্নিঝুঁকি প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হোক। এজন্য সংশ্লিষ্টদের সময় বেঁধে দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। প্রয়োজনে অগ্নিকান্ডের অতিঝুঁকিতে থাকা ভবন সিলগালা করে দিতে হবে। কারও গাফিলতিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটবে, মানুষ হতাহত হবে- সেটা কাম্য নয়।

অগ্নিকান্ডের বিভিন্ন ঘটনা তদন্ত করে বা ভবন পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিস বিভিন্ন সময় অনেক সুপারিশ করেছে। সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা জরুরি। সুপারিশ ফাইলবন্দী করে রাখলে সমস্যার সমাধান হবে না।

back to top