alt

মতামত » সম্পাদকীয়

হুমকির মুখে থাকা বাঘ সুন্দরবনকে বাঁচাবে কী করে

: বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১

‘বাঘ বাঁচাবে সুন্দরবন, সুন্দরবন বাঁচাবে লক্ষ প্রাণ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ (২৯ জুলাই) পালিত হয়েছে বিশ্ব বাঘ দিবস। নিজের অস্তিত্বই যখন হুমকির সম্মুখে তখন বাঘ সুন্দরবনকে বাঁচাবে কী করে সেটা একটা প্রশ্ন।

বাংলাদেশসহ বাঘ রয়েছে এমন ১৩টি দেশকে নিয়ে ২০১০ সালে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবুর্গ প্রথম বাঘ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে অংশ নেয়া দেশগুলো ২০২২ সালের মধ্যে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করার লক্ষ্য গ্রহণ করেছিল। সুন্দরবনের খালে বাঘের বিচরণ পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে ২০১০ সালে করা বন বিভাগ ও ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্ট অব বাংলাদেশের যৌথ জরিপে জানা যায়, তখন বাঘের সংখ্যা ছিল ৪০০ থেকে ৪৫০টি। ‘ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের’ মাধ্যমে করা বাঘ শুমারি অনুযায়ী, ২০১৫ সালে সুন্দরবনে বাঘ ছিল ১০৬টি।

প্রথম বাঘ সম্মেলনে গ্রহণ করা লক্ষ্য পূরণের জন্য সময় আছে আর এক বছর। গত এগার বছরে লক্ষ্যের কতটা পূরণ হয়েছে সেটা একটা প্রশ্ন। ‘ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের’ মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, ২০১৮ সালে বাঘের সংখ্যা ছিল ১১৪টি। ২০১০ সালের হিসাব অনুযায়ী, সুন্দরবনে গত এক দশকে ব্যাপকসংখ্যক বাঘ কমেছে। আর ২০১৫ সালের তুলনায় বাঘ বেড়েছে মাত্র ৮টি।

২০১৯ সালে ভারতের দিল্লিতে অনুষ্ঠিত বাঘ সম্মেলনে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাঘের সংখ্যা ভুটানে ৫০টি থেকে বেড়ে ১০৩টি, থাইল্যান্ড ৯০টি থেকে বেড়ে ১৮৯টি, নেপালে ১০০টি থেকে বেড়ে ১৯৮টি এবং ভারতে দেড় হাজার থেকে বেড়ে ২ হাজার ২২৬টি হয়েছে।

লক্ষ্য অনুযায়ী সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা বাড়ানো যায়নি। ভুটান-নেপাল বাঘের সংখ্যা লক্ষ্য অনুযায়ী বাড়াতে পারলো আর সুন্দরবনের মতো আবাসস্থল থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে বাঘের সংখ্যা কাক্সিক্ষত হারে বাড়লো না কেন? সেটা খতিয়ে দেখা দরকার। বাঘ রক্ষায় বন বিভাগ কতটা তৈরি, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন। বাঘ সুরক্ষার জন্য ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পের প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু পরিকল্পনা কমিশনের সভায় সেই প্রস্তাব এই যুক্তি দেখিয়ে বাতিল করা হয়েছে যে, আয়বর্ধক কোন প্রকল্প ছাড়া নতুন কোন প্রকল্পে অর্থায়ন করা হবে না। এ কারণে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে, বাঘ রক্ষার বিষয়টি সরকার কতটা গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।

কেবল সম্মেলনে যোগ দিয়ে, অঙ্গীকার করে বা দিবস পালন করে বাঘ রক্ষা করা যাবে না। সরকার যদি বাস্তবিক অর্থেই মনে করে যে, বাঘ সুন্দরবনকে রক্ষা করবে, তাহলে আন্তরিকভাবে বাঘ রক্ষার কাজ করতে হবে। বাঘ রক্ষার কাজে অর্থায়ন করতে হবে, বনবিভাগের সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি বাঘ হত্যা ও চোরা শিকার বন্ধ করাও জরুরি।

এক খ্রিস্টান পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নিন

অবৈধ ইটভাটা: প্রশাসন কী করছে

পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

হুমকির মুখে থাকা বাঘ সুন্দরবনকে বাঁচাবে কী করে

বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১

‘বাঘ বাঁচাবে সুন্দরবন, সুন্দরবন বাঁচাবে লক্ষ প্রাণ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ (২৯ জুলাই) পালিত হয়েছে বিশ্ব বাঘ দিবস। নিজের অস্তিত্বই যখন হুমকির সম্মুখে তখন বাঘ সুন্দরবনকে বাঁচাবে কী করে সেটা একটা প্রশ্ন।

বাংলাদেশসহ বাঘ রয়েছে এমন ১৩টি দেশকে নিয়ে ২০১০ সালে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবুর্গ প্রথম বাঘ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে অংশ নেয়া দেশগুলো ২০২২ সালের মধ্যে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করার লক্ষ্য গ্রহণ করেছিল। সুন্দরবনের খালে বাঘের বিচরণ পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে ২০১০ সালে করা বন বিভাগ ও ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্ট অব বাংলাদেশের যৌথ জরিপে জানা যায়, তখন বাঘের সংখ্যা ছিল ৪০০ থেকে ৪৫০টি। ‘ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের’ মাধ্যমে করা বাঘ শুমারি অনুযায়ী, ২০১৫ সালে সুন্দরবনে বাঘ ছিল ১০৬টি।

প্রথম বাঘ সম্মেলনে গ্রহণ করা লক্ষ্য পূরণের জন্য সময় আছে আর এক বছর। গত এগার বছরে লক্ষ্যের কতটা পূরণ হয়েছে সেটা একটা প্রশ্ন। ‘ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের’ মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, ২০১৮ সালে বাঘের সংখ্যা ছিল ১১৪টি। ২০১০ সালের হিসাব অনুযায়ী, সুন্দরবনে গত এক দশকে ব্যাপকসংখ্যক বাঘ কমেছে। আর ২০১৫ সালের তুলনায় বাঘ বেড়েছে মাত্র ৮টি।

২০১৯ সালে ভারতের দিল্লিতে অনুষ্ঠিত বাঘ সম্মেলনে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাঘের সংখ্যা ভুটানে ৫০টি থেকে বেড়ে ১০৩টি, থাইল্যান্ড ৯০টি থেকে বেড়ে ১৮৯টি, নেপালে ১০০টি থেকে বেড়ে ১৯৮টি এবং ভারতে দেড় হাজার থেকে বেড়ে ২ হাজার ২২৬টি হয়েছে।

লক্ষ্য অনুযায়ী সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা বাড়ানো যায়নি। ভুটান-নেপাল বাঘের সংখ্যা লক্ষ্য অনুযায়ী বাড়াতে পারলো আর সুন্দরবনের মতো আবাসস্থল থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে বাঘের সংখ্যা কাক্সিক্ষত হারে বাড়লো না কেন? সেটা খতিয়ে দেখা দরকার। বাঘ রক্ষায় বন বিভাগ কতটা তৈরি, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন। বাঘ সুরক্ষার জন্য ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পের প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু পরিকল্পনা কমিশনের সভায় সেই প্রস্তাব এই যুক্তি দেখিয়ে বাতিল করা হয়েছে যে, আয়বর্ধক কোন প্রকল্প ছাড়া নতুন কোন প্রকল্পে অর্থায়ন করা হবে না। এ কারণে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে, বাঘ রক্ষার বিষয়টি সরকার কতটা গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।

কেবল সম্মেলনে যোগ দিয়ে, অঙ্গীকার করে বা দিবস পালন করে বাঘ রক্ষা করা যাবে না। সরকার যদি বাস্তবিক অর্থেই মনে করে যে, বাঘ সুন্দরবনকে রক্ষা করবে, তাহলে আন্তরিকভাবে বাঘ রক্ষার কাজ করতে হবে। বাঘ রক্ষার কাজে অর্থায়ন করতে হবে, বনবিভাগের সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি বাঘ হত্যা ও চোরা শিকার বন্ধ করাও জরুরি।

back to top