দফায় দফায় ব্যয় আর সময় বাড়ছে। বোঝার ওপর শাকের আঁটির মতো ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে তৈরি করছে অসহনীয় যানজট। বাস র্যাপিড ট্রানজিটের (বিআরটি) চলমান প্রকল্পকে এখন ‘গলার কাঁটা’ মানছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি প্রকল্পটিকে নতুন করে না বাড়িয়ে দ্রুত শেষ করতে বলেছেন।
গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রকল্প (বিআরটি, গাজীপুর-বিমানবন্দর) অনুমোদন দেয়া হয় ২০১২ সালের ডিসেম্বরে। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা। চার বছরের মধ্যে এর কাজ শেষ করার কথা ছিল, কিন্তু নয় বছরেও শেষ হয়নি। এই সময়ের মধ্যে তিন দফা ব্যয় ও চার দফা সময় বাড়িয়ে প্রায় ৬২ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করা গেছে। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
শুধু এই একটি প্রকল্পই নয়, দেশে এমন আরও অনেক প্রকল্পই রয়েছে যেগুলো নির্ধারিত সময় ও ব্যয়ে সম্পন্ন করা যায় না। উন্নয়ন প্রকল্পে দীর্ঘসূত্রতা একটি অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। একদিকে প্রকল্পের সময় বাড়ছে, ব্যয় বাড়ছে, কাজের মান খারাপ হচ্ছে, জনদুর্ভোগ বাড়ছে। সম্প্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানোর অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। ঢালাওভাবে মেয়াদ বা ব্যয় বাড়ানোর আগে প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহি আদায় করতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিটি স্তরে যথাযথ সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ করতে না পারলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের কাজে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠা করা জরুরি।
আবার নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ করলে পুরস্কৃত করাও উচিত। ঠিকাদাররা যাতে সময়মতো প্রকল্প শেষ করার প্রতি মনোযোগী হন, শুধু আনুষঙ্গিক কাজ ও নিজেদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ব্যস্ত না থাকেন সেজন্য তদারকির ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।
মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট ২০২১
দফায় দফায় ব্যয় আর সময় বাড়ছে। বোঝার ওপর শাকের আঁটির মতো ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে তৈরি করছে অসহনীয় যানজট। বাস র্যাপিড ট্রানজিটের (বিআরটি) চলমান প্রকল্পকে এখন ‘গলার কাঁটা’ মানছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি প্রকল্পটিকে নতুন করে না বাড়িয়ে দ্রুত শেষ করতে বলেছেন।
গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রকল্প (বিআরটি, গাজীপুর-বিমানবন্দর) অনুমোদন দেয়া হয় ২০১২ সালের ডিসেম্বরে। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা। চার বছরের মধ্যে এর কাজ শেষ করার কথা ছিল, কিন্তু নয় বছরেও শেষ হয়নি। এই সময়ের মধ্যে তিন দফা ব্যয় ও চার দফা সময় বাড়িয়ে প্রায় ৬২ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করা গেছে। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
শুধু এই একটি প্রকল্পই নয়, দেশে এমন আরও অনেক প্রকল্পই রয়েছে যেগুলো নির্ধারিত সময় ও ব্যয়ে সম্পন্ন করা যায় না। উন্নয়ন প্রকল্পে দীর্ঘসূত্রতা একটি অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। একদিকে প্রকল্পের সময় বাড়ছে, ব্যয় বাড়ছে, কাজের মান খারাপ হচ্ছে, জনদুর্ভোগ বাড়ছে। সম্প্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানোর অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। ঢালাওভাবে মেয়াদ বা ব্যয় বাড়ানোর আগে প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহি আদায় করতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিটি স্তরে যথাযথ সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ করতে না পারলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের কাজে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠা করা জরুরি।
আবার নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ করলে পুরস্কৃত করাও উচিত। ঠিকাদাররা যাতে সময়মতো প্রকল্প শেষ করার প্রতি মনোযোগী হন, শুধু আনুষঙ্গিক কাজ ও নিজেদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ব্যস্ত না থাকেন সেজন্য তদারকির ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।