alt

opinion » editorial

স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ঝুঁকি আছে

: বুধবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২১

কোভিড-১৯ রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধের লক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার নানান শর্ত দিয়ে কথিত লকডাউন তুলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু গণপরিবহনে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। পর্যটন বা বিনোদন কেন্দ্রেও তা মানা হচ্ছে না। কলকারখানা, সরকারি-বেসরকারি অফিসে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ন্যূনতম চেষ্টা দেখা যায় না। হাত ধোয়া শিকেয় উঠেছে আরো আগেই। এখন বাকি আছে শুধু মাস্ক। অনেকে সেই মাস্কও পরেন না। যারা মাস্ক পরেন সেটা তাদের অনেকেরই নাকের নিচে, থুঁতনিতে বা গলায় ঝোলানো থাকে।

দেশে করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমলেও স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রশ্নে উদাসীন হওয়ার সুযোগ নেই। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করা হলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তথাকথিত কঠোর লকডাউন বেশিরভাগ মানুষ মানতে চাইছে না। সিংহভাগ জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনা যায়নি। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সর্বাবস্থাতেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।

দুই ডোজ টিকা নেয়া মানুষকেও মাস্ক পরতে হবে। কারণ দুই ডোজ টিকা নিলেও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যারা মাস্ক পরছেন না তাদের কারণে অন্যরা সংক্রমিত হতে পারেন। একজনের উদাসীনতা-অবহেলার কারণে আরেকজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হবে- এটা কাম্য নয়। এক ব্যক্তির কাছ থেকে অন্য ব্যক্তির মধ্যে যেন ভাইরাস ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে, মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।

ঘরের বাইরে বের হলে অবশ্যই নিয়ম মেনে মাস্ক পরতে হবে। নাকের নিচে, থুঁতনিতে বা গলায় ঝুলিয়ে রাখলে চলবে না। ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর বা কর্মস্থলের বাইরে অবস্থান না করাই উত্তম। ঘন ঘন হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানলে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধ করার পাশাপাশি অন্যান্য অনেক সংক্রামক রোগ থেকেও নিজেদের রক্ষা করা সম্ভব হবে।

সর্বত্র যাতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয় সেজন্য সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে। মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরির কাজ অব্যাহত রাখতে হবে। কেউ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে তাকে সেটা মানানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে শৈথিল্যের কোন সুযোগ নেই। স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে উদাসীনতা দেশের মানুষকে আবার বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিক- সেটা আমরা চাই না।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ঝুঁকি আছে

বুধবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২১

কোভিড-১৯ রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধের লক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার নানান শর্ত দিয়ে কথিত লকডাউন তুলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু গণপরিবহনে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। পর্যটন বা বিনোদন কেন্দ্রেও তা মানা হচ্ছে না। কলকারখানা, সরকারি-বেসরকারি অফিসে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ন্যূনতম চেষ্টা দেখা যায় না। হাত ধোয়া শিকেয় উঠেছে আরো আগেই। এখন বাকি আছে শুধু মাস্ক। অনেকে সেই মাস্কও পরেন না। যারা মাস্ক পরেন সেটা তাদের অনেকেরই নাকের নিচে, থুঁতনিতে বা গলায় ঝোলানো থাকে।

দেশে করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমলেও স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রশ্নে উদাসীন হওয়ার সুযোগ নেই। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করা হলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তথাকথিত কঠোর লকডাউন বেশিরভাগ মানুষ মানতে চাইছে না। সিংহভাগ জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনা যায়নি। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সর্বাবস্থাতেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।

দুই ডোজ টিকা নেয়া মানুষকেও মাস্ক পরতে হবে। কারণ দুই ডোজ টিকা নিলেও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যারা মাস্ক পরছেন না তাদের কারণে অন্যরা সংক্রমিত হতে পারেন। একজনের উদাসীনতা-অবহেলার কারণে আরেকজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হবে- এটা কাম্য নয়। এক ব্যক্তির কাছ থেকে অন্য ব্যক্তির মধ্যে যেন ভাইরাস ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে, মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।

ঘরের বাইরে বের হলে অবশ্যই নিয়ম মেনে মাস্ক পরতে হবে। নাকের নিচে, থুঁতনিতে বা গলায় ঝুলিয়ে রাখলে চলবে না। ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর বা কর্মস্থলের বাইরে অবস্থান না করাই উত্তম। ঘন ঘন হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানলে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধ করার পাশাপাশি অন্যান্য অনেক সংক্রামক রোগ থেকেও নিজেদের রক্ষা করা সম্ভব হবে।

সর্বত্র যাতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয় সেজন্য সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে। মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরির কাজ অব্যাহত রাখতে হবে। কেউ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে তাকে সেটা মানানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে শৈথিল্যের কোন সুযোগ নেই। স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে উদাসীনতা দেশের মানুষকে আবার বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিক- সেটা আমরা চাই না।

back to top