গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার পিঞ্জুরী ইউনিয়ন প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার অন্তর্ভুক্ত। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দে মাটির তিনটি রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছিল। রাস্তাগুলো খালে পরিণত হয়েছে। কারণ যেখানে রাস্তার উচ্চতা হওয়ার কথা সাত ফুট সেখানে উচ্চতা ছিল তিন থেকে পাঁচ ফুট।
কম উচ্চতার রাস্তাগুলো বর্ষার পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তা নির্মাণের কোন সুবিধা ভোগ করতে পারেননি। তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা ঠিকই সুবিধা নিয়েছেন। রাস্তা নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই বিল তোলা হয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকায় তারই বিশেষ বরাদ্দে নেয়া একটি প্রকল্পের দুর্দশা আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। আমাদের মনে এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে, প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম-দুর্নীতি কোন স্তরে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রীর এলাকাও ছাড় পায় না। এর আগে দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে নেয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পেও অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে ১ লাখ ১৮ হাজারেরও বেশি ভূমিহীনকে একটি করে ঘর তৈরি করে দেয়া হয়েছে। অনেক জায়গা থেকে ঘর তৈরি ও বরাদ্দ নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ মিলেছে। সরকার ইতোমধ্যে অনিয়ম-দুর্নীতির এসব অভিযোগ তদন্ত করে দেখার উদ্যোগ নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে নেয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে। এখন তার নির্বাচনী এলাকায় তার বরাদ্দ দেয়া অর্থে রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পে দুর্নীতির খবর পাওয়া গেল। এতে দেশে দুর্নীতির সর্ব বিস্তারি রূপ?ই প্রকাশ পায়। দুর্নীতিবাজরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কে সাধারণ মানুষ আর কে প্রধানমন্ত্রী সেই বাছবিচার তারা আর করছে না।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি আছে, তবে এর বাস্তবায়ন নেই। দুর্নীতি দমনের প্রশ্নে আইনের সমান প্রয়োগ করা হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। এই কারণে একশ্রেণীর দুর্নীতিবাজ মনে করছে, দুর্নীতি করলেও তারা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকবে। কার্যকরভাবে দুর্নীতি দমনের জন্য আইনের সমান প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরি। দুর্নীতিবাজ যে বা যারাই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকায় রাস্তা নির্মাণে যে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
শুক্রবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার পিঞ্জুরী ইউনিয়ন প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার অন্তর্ভুক্ত। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দে মাটির তিনটি রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছিল। রাস্তাগুলো খালে পরিণত হয়েছে। কারণ যেখানে রাস্তার উচ্চতা হওয়ার কথা সাত ফুট সেখানে উচ্চতা ছিল তিন থেকে পাঁচ ফুট।
কম উচ্চতার রাস্তাগুলো বর্ষার পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তা নির্মাণের কোন সুবিধা ভোগ করতে পারেননি। তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা ঠিকই সুবিধা নিয়েছেন। রাস্তা নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই বিল তোলা হয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকায় তারই বিশেষ বরাদ্দে নেয়া একটি প্রকল্পের দুর্দশা আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। আমাদের মনে এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে, প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম-দুর্নীতি কোন স্তরে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রীর এলাকাও ছাড় পায় না। এর আগে দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে নেয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পেও অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে ১ লাখ ১৮ হাজারেরও বেশি ভূমিহীনকে একটি করে ঘর তৈরি করে দেয়া হয়েছে। অনেক জায়গা থেকে ঘর তৈরি ও বরাদ্দ নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ মিলেছে। সরকার ইতোমধ্যে অনিয়ম-দুর্নীতির এসব অভিযোগ তদন্ত করে দেখার উদ্যোগ নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে নেয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে। এখন তার নির্বাচনী এলাকায় তার বরাদ্দ দেয়া অর্থে রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পে দুর্নীতির খবর পাওয়া গেল। এতে দেশে দুর্নীতির সর্ব বিস্তারি রূপ?ই প্রকাশ পায়। দুর্নীতিবাজরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কে সাধারণ মানুষ আর কে প্রধানমন্ত্রী সেই বাছবিচার তারা আর করছে না।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি আছে, তবে এর বাস্তবায়ন নেই। দুর্নীতি দমনের প্রশ্নে আইনের সমান প্রয়োগ করা হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। এই কারণে একশ্রেণীর দুর্নীতিবাজ মনে করছে, দুর্নীতি করলেও তারা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকবে। কার্যকরভাবে দুর্নীতি দমনের জন্য আইনের সমান প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরি। দুর্নীতিবাজ যে বা যারাই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকায় রাস্তা নির্মাণে যে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।