পদ্মা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। প্রধান নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নতুন করে অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকার লাখো মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। বন্যার্ত মানুষকে দুর্বিষহ জীবনযাপন করতে হচ্ছে। সুপেয় পানি ও খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। ঘরবাড়ি ও আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গবাদিপশু হারিয়েছে অনেকে। পশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যাজনিত অসুখে ভুগছেন অনেকে।
সরকার বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, এমনও অনেক পরিবার আছে যারা সপ্তাহাধিককাল ধরে ত্রাণের অপেক্ষায় আছে। কিন্তু তাদের কাছে কোন ত্রাণ পৌঁছেনি। দিন এনে দিন খান এমন মানুষ কাজ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অনেককে চেয়েচিন্তে বা ধারকর্জ করে চলতে হচ্ছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর আশা করছে পানি দ্রুত নেমে যাবে। এতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। দেশে এবার দীর্ঘমেয়াদি বন্যার আশঙ্কা নেই বলে সরকার অভয় দিয়েছে। বন্যাকবলিত সব মানুষের কাছে দ্রুত ত্রাণ পৌঁছাতে হবে। ত্রাণ নিয়ে কোন অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়। পানিবন্দী মানুষকে নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্র সরিয়ে নিতে হবে। পানি বিশুদ্ধকরণ সরঞ্জাম ও ডায়রিয়ার মতো পানিবাহিত রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রীর পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করাও জরুরি। অতীতের মতো এবারও সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সংগঠন বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াবে সেটা আমাদের আশা।
বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনের প্রস্তুতি নিতে হবে এখনই। তাহলে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুনর্বাসন কাজ শুরু করা সম্ভব হবে। যেসব মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়েছে তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে হবে। কৃষক ও খামারিদের ক্ষতি নিরূপণ করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি যেন সরকারি সহায়তা পান সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করা জরুরি।
শনিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
পদ্মা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। প্রধান নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নতুন করে অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকার লাখো মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। বন্যার্ত মানুষকে দুর্বিষহ জীবনযাপন করতে হচ্ছে। সুপেয় পানি ও খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। ঘরবাড়ি ও আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গবাদিপশু হারিয়েছে অনেকে। পশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যাজনিত অসুখে ভুগছেন অনেকে।
সরকার বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, এমনও অনেক পরিবার আছে যারা সপ্তাহাধিককাল ধরে ত্রাণের অপেক্ষায় আছে। কিন্তু তাদের কাছে কোন ত্রাণ পৌঁছেনি। দিন এনে দিন খান এমন মানুষ কাজ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অনেককে চেয়েচিন্তে বা ধারকর্জ করে চলতে হচ্ছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর আশা করছে পানি দ্রুত নেমে যাবে। এতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। দেশে এবার দীর্ঘমেয়াদি বন্যার আশঙ্কা নেই বলে সরকার অভয় দিয়েছে। বন্যাকবলিত সব মানুষের কাছে দ্রুত ত্রাণ পৌঁছাতে হবে। ত্রাণ নিয়ে কোন অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়। পানিবন্দী মানুষকে নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্র সরিয়ে নিতে হবে। পানি বিশুদ্ধকরণ সরঞ্জাম ও ডায়রিয়ার মতো পানিবাহিত রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রীর পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করাও জরুরি। অতীতের মতো এবারও সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সংগঠন বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াবে সেটা আমাদের আশা।
বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনের প্রস্তুতি নিতে হবে এখনই। তাহলে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুনর্বাসন কাজ শুরু করা সম্ভব হবে। যেসব মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়েছে তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে হবে। কৃষক ও খামারিদের ক্ষতি নিরূপণ করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি যেন সরকারি সহায়তা পান সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করা জরুরি।