পদ্মা নদীর পানি পরিশোধন করে রাজধানীবাসীকে সরবরাহ করার জন্য মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে ‘পদ্মা-যশলদিয়া পানি শোধনাগার’ নির্মাণ করেছে ঢাকা ওয়াসা। শোধনাগারটি দৈনিক ৪৫ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করতে সক্ষম। সমস্যা হচ্ছে সক্ষমতার পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করা যাচ্ছে না। মাত্র ২৪ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
সক্ষমতার পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করতে না পারার বড় কারণ হলো সরবরাহ লাইনের সংকট। ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ে বরাবর ৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইনের মাধ্যমে শোধনাগারের পানি ঢাকায় আনা হচ্ছে। পরিশোধিত পানি মিটফোর্ড এলাকা দিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করার পর পানির পাইপ এখানে এসে সরু হয়ে গেছে। ফলে পানি সরবরাহের লাইন প্রস্তুত না থাকায় পূর্ণ ক্ষমতায় চালানো হচ্ছে না শোধনাগারটি। এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার একটি জাতীয় দৈনিকে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে জানা গেছে, নতুন করে সরবরাহ লাইন তৈরি করতে আরও ৬৩২ কোটি টাকার নতুন প্রকল্প নিতে যাচ্ছে ওয়াসা। শোধনাগার প্রকল্পের অর্ধেকেরও বেশি টাকা ব্যয় হয়েছে পাইপলাইন নির্মাণে। সে হিসাবে অঙ্কটা কম নয়। ওয়াসা এখন যে নতুন প্রকল্প নিতে যাচ্ছে তার চেয়ে ঢের বেশি টাকা খরচ করা হয়েছে। এখন জানা যাচ্ছে, পাইপলাইন যা তৈরি করা হয়েছে তা অপর্যাপ্ত, আবার কোথাও সরু।
পানি শোধনাগার নির্মাণের মান নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন ছিল। পানি সরবরাহ লাইনই যদি না থাকে তাহলে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিয়ে লাভ হলো কী? প্রকল্প গ্রহণের সময় শুধু পানির চাহিদা নিরুপণ করা হয়েছে, নাকি এর সক্ষমতা অনুযায়ী পানি কীভাবে সরবরাহ করা হবে তা ভাবা হয়েছে সেটা একটা প্রশ্ন। অভিযোগ রয়েছে, ওয়াসার প্রকল্পটির মাধ্যমে নাগরিক সুবিধা মিলুক বা নাই মিলুক; একটি গোষ্ঠী ঠিকই লাভবান হয়েছে।
শোধনাগারের সক্ষমতার পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করতে হলে সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নত হতে হবে। এক্ষেত্রে নতুন কোন প্রকল্প নেয়ার আগে পূর্বের প্রকল্পে কী কাজ হয়েছে সেটা জানতে হবে। ওয়াসার ব্যর্থতার যেমন শেষ নেই, তেমনি তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগেরও শেষ নেই। প্রকল্পের অধীনে কেন সরবরাহ ব্যবস্থার পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের জবাবদিহি আদায় করতে হবে। এত বড় একটি প্রকল্পের হাজার হাজার কোটি টাকার কতটা শোধনাগার এবং পাইপলাইন স্থাপনের কাজে ব্যয় হয়েছে তার হিসাব নিতে হবে।
পানি শোধনাগারের সক্ষমতার পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার আমরা দেখতে চাই। এর সুফল মানুষ ভোগ করুক এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা। এটা অবশ্যই ঢাকা ওয়াসাকে সম্পন্ন করতে হবে। কাজটি তারা কীভাবে করবে সেটা তাদেরকেই ঠিক করতে হবে।
শনিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
পদ্মা নদীর পানি পরিশোধন করে রাজধানীবাসীকে সরবরাহ করার জন্য মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে ‘পদ্মা-যশলদিয়া পানি শোধনাগার’ নির্মাণ করেছে ঢাকা ওয়াসা। শোধনাগারটি দৈনিক ৪৫ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করতে সক্ষম। সমস্যা হচ্ছে সক্ষমতার পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করা যাচ্ছে না। মাত্র ২৪ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
সক্ষমতার পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করতে না পারার বড় কারণ হলো সরবরাহ লাইনের সংকট। ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ে বরাবর ৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইনের মাধ্যমে শোধনাগারের পানি ঢাকায় আনা হচ্ছে। পরিশোধিত পানি মিটফোর্ড এলাকা দিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করার পর পানির পাইপ এখানে এসে সরু হয়ে গেছে। ফলে পানি সরবরাহের লাইন প্রস্তুত না থাকায় পূর্ণ ক্ষমতায় চালানো হচ্ছে না শোধনাগারটি। এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার একটি জাতীয় দৈনিকে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে জানা গেছে, নতুন করে সরবরাহ লাইন তৈরি করতে আরও ৬৩২ কোটি টাকার নতুন প্রকল্প নিতে যাচ্ছে ওয়াসা। শোধনাগার প্রকল্পের অর্ধেকেরও বেশি টাকা ব্যয় হয়েছে পাইপলাইন নির্মাণে। সে হিসাবে অঙ্কটা কম নয়। ওয়াসা এখন যে নতুন প্রকল্প নিতে যাচ্ছে তার চেয়ে ঢের বেশি টাকা খরচ করা হয়েছে। এখন জানা যাচ্ছে, পাইপলাইন যা তৈরি করা হয়েছে তা অপর্যাপ্ত, আবার কোথাও সরু।
পানি শোধনাগার নির্মাণের মান নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন ছিল। পানি সরবরাহ লাইনই যদি না থাকে তাহলে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিয়ে লাভ হলো কী? প্রকল্প গ্রহণের সময় শুধু পানির চাহিদা নিরুপণ করা হয়েছে, নাকি এর সক্ষমতা অনুযায়ী পানি কীভাবে সরবরাহ করা হবে তা ভাবা হয়েছে সেটা একটা প্রশ্ন। অভিযোগ রয়েছে, ওয়াসার প্রকল্পটির মাধ্যমে নাগরিক সুবিধা মিলুক বা নাই মিলুক; একটি গোষ্ঠী ঠিকই লাভবান হয়েছে।
শোধনাগারের সক্ষমতার পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করতে হলে সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নত হতে হবে। এক্ষেত্রে নতুন কোন প্রকল্প নেয়ার আগে পূর্বের প্রকল্পে কী কাজ হয়েছে সেটা জানতে হবে। ওয়াসার ব্যর্থতার যেমন শেষ নেই, তেমনি তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগেরও শেষ নেই। প্রকল্পের অধীনে কেন সরবরাহ ব্যবস্থার পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের জবাবদিহি আদায় করতে হবে। এত বড় একটি প্রকল্পের হাজার হাজার কোটি টাকার কতটা শোধনাগার এবং পাইপলাইন স্থাপনের কাজে ব্যয় হয়েছে তার হিসাব নিতে হবে।
পানি শোধনাগারের সক্ষমতার পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার আমরা দেখতে চাই। এর সুফল মানুষ ভোগ করুক এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা। এটা অবশ্যই ঢাকা ওয়াসাকে সম্পন্ন করতে হবে। কাজটি তারা কীভাবে করবে সেটা তাদেরকেই ঠিক করতে হবে।