রাজধানীকে যানজটমুক্ত করার লক্ষ্যে ঢাকার চারদিকে থাকা নৌপথ চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে একাধিকবার। নৌপথ প্রথম চালু হয় ২০০৪ সালে। চালু হওয়ার পর মাস পেরোতে না পেরোতেই মুখ থুবড়ে পড়ে সেই প্রকল্প। ২০১০ সালে দ্বিতীয় দফায় চালু হওয়ার পর সেটা এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৩ সালে আবার সেটা চালু হয় এবং যথারীতি কিছুদিন পর বন্ধ হয়। এর পরের বছরও চালু ও বন্ধ হওয়ার বৃত্ত থেকে বের হওয়া যায়নি।
নৌপথ চালু করা না গেলে কী হবে এর সৌন্দর্যযবর্ধনের কাজ ঠিকই চলছে। সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নৌপথের দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রকল্পে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা এবং বালু নদের তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীররক্ষা, ওয়াকওয়ে, ইকোপার্ক ও জেটিসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় সাড়ে আটশ’ কোটি টাকার প্রকল্পটি নেয়া হয়েছিল ২০১৮ সালে জুলাইয়ে। ২০২২ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা গেছে। প্রকল্পের সময় বাড়ানোর তোড়জোড় চলছে। মেয়াদ বাড়লে হয়তো ব্যয়ও বাড়বে। প্রশ্ন হচ্ছে, এ টাকা এবারও কি জলেই যাবে নাকি নৌপথকে কার্যকরভাবে চালু করা যাবে।
নৌপথ চালু করতে না পারার অন্যতম কারণ হচ্ছে, নদ-নদী দখল ও দূষণ। অবৈধ দখল ও দূষণের কারণে নদ-নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে। নদ-নদীর উপরে অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত সড়ক ও রেলপথের একাধিক সেতুর উচ্চতা কম হওয়ার কারণে এর নিচ দিয়ে পণ্য ও যাত্রীবাহী নৌযান চলতে পারে না। আশার কথা, নৌপথের বাধা দূর করতে সরকার কম উচ্চতার ১৬টি সেতু ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে। একদিকে কম উচ্চতার সেতু ভাঙার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে আরেকদিকে নতুন করে কম উচ্চতার আরও দুটি সেতু তৈরি করা হচ্ছে। নৌপথ নিয়ে তুঘলকি কান্ডকারখানা চলছে।
বারবার চেষ্টা করেও নৌপথ চালু করতে না পারার দায় কেউ নিতে চায় না। এক কর্তৃপক্ষ আরেক কর্তৃপক্ষের ওপর দায় চাপায়। আমরা বলতে চাই, দোষারোপের খেলা বন্ধ করতে হবে। রাজধানীর যানজট কমাতে হলে সড়ক ও রেলপথের পাশাপাশি নৌপথের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। সেটা হলে মানুষের সময় ও অর্থ দুই-ই বাঁচবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। নদ-নদীর দখল ও দূষণ বন্ধ করা জরুরি। নদীর উপর অপরিকল্পিতভাবে সেতু বানানোর অপসংস্কৃতি ত্যাগ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
রাজধানীকে যানজটমুক্ত করার লক্ষ্যে ঢাকার চারদিকে থাকা নৌপথ চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে একাধিকবার। নৌপথ প্রথম চালু হয় ২০০৪ সালে। চালু হওয়ার পর মাস পেরোতে না পেরোতেই মুখ থুবড়ে পড়ে সেই প্রকল্প। ২০১০ সালে দ্বিতীয় দফায় চালু হওয়ার পর সেটা এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৩ সালে আবার সেটা চালু হয় এবং যথারীতি কিছুদিন পর বন্ধ হয়। এর পরের বছরও চালু ও বন্ধ হওয়ার বৃত্ত থেকে বের হওয়া যায়নি।
নৌপথ চালু করা না গেলে কী হবে এর সৌন্দর্যযবর্ধনের কাজ ঠিকই চলছে। সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নৌপথের দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রকল্পে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা এবং বালু নদের তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীররক্ষা, ওয়াকওয়ে, ইকোপার্ক ও জেটিসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় সাড়ে আটশ’ কোটি টাকার প্রকল্পটি নেয়া হয়েছিল ২০১৮ সালে জুলাইয়ে। ২০২২ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা গেছে। প্রকল্পের সময় বাড়ানোর তোড়জোড় চলছে। মেয়াদ বাড়লে হয়তো ব্যয়ও বাড়বে। প্রশ্ন হচ্ছে, এ টাকা এবারও কি জলেই যাবে নাকি নৌপথকে কার্যকরভাবে চালু করা যাবে।
নৌপথ চালু করতে না পারার অন্যতম কারণ হচ্ছে, নদ-নদী দখল ও দূষণ। অবৈধ দখল ও দূষণের কারণে নদ-নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে। নদ-নদীর উপরে অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত সড়ক ও রেলপথের একাধিক সেতুর উচ্চতা কম হওয়ার কারণে এর নিচ দিয়ে পণ্য ও যাত্রীবাহী নৌযান চলতে পারে না। আশার কথা, নৌপথের বাধা দূর করতে সরকার কম উচ্চতার ১৬টি সেতু ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে। একদিকে কম উচ্চতার সেতু ভাঙার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে আরেকদিকে নতুন করে কম উচ্চতার আরও দুটি সেতু তৈরি করা হচ্ছে। নৌপথ নিয়ে তুঘলকি কান্ডকারখানা চলছে।
বারবার চেষ্টা করেও নৌপথ চালু করতে না পারার দায় কেউ নিতে চায় না। এক কর্তৃপক্ষ আরেক কর্তৃপক্ষের ওপর দায় চাপায়। আমরা বলতে চাই, দোষারোপের খেলা বন্ধ করতে হবে। রাজধানীর যানজট কমাতে হলে সড়ক ও রেলপথের পাশাপাশি নৌপথের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। সেটা হলে মানুষের সময় ও অর্থ দুই-ই বাঁচবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। নদ-নদীর দখল ও দূষণ বন্ধ করা জরুরি। নদীর উপর অপরিকল্পিতভাবে সেতু বানানোর অপসংস্কৃতি ত্যাগ করতে হবে।