এক্স-রে, ভেন্টিলেটর, আল্ট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি, ল্যাপারোস্কপি, কালচার ইনকিউবেটর, হট এয়ার ওভেন এবং অটোক্লেভের মতো ২৮টি রোগ নির্ণয়ের যন্ত্র বাক্সবন্দী হয়ে পড়ে আছে বছরের পর বছর। এগুলোর হদিস মিলেছে দেশের ১৬ সরকারি হাসপাতালে। ৪ মাস থেকে ১৭ বছর পর্যন্ত এসব সরঞ্জাম বাক্সবন্দী হয়ে পড়ে আছে।
রোগ নির্ণয়ের এসব সরঞ্জাম অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করেন এক আইনজীবী। পরে এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ ঘটনা তদন্তে কর্তৃপক্ষের অবহেলা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের পরিচালকসহ ২১ জনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রোগাক্রান্ত মানুষের রোগ নির্ণয়ে চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের সরঞ্জাম কেনা হয়। রোগ নির্ণয়ের কাজ ব্যাহত হলে সামগ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থাই ব্যাহত হয়। যেসব হাসপাতালে সরঞ্জামগুলো পড়ে আছে সেগুলো ব্যবহার হলে নিঃসন্দেহে অনেক রোগীর রোগ নির্ণয় করা যেত, যেটা তাদের সুস্থ হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগত। সরঞ্জামগুলো ব্যবহার না করায় সংশ্লিষ্ট রোগীরা যেমন স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনি রাষ্ট্রের সম্পদেরও অপচয় হচ্ছে।
হাসপাতালের চিকিৎসা সরঞ্জামগুলো এত বছর ফেলে রাখার পেছনে এখন অনেক কারণ জানা যাচ্ছে। এক্স-রে টেকনোলজিস্ট, সনোলজিস্টসহ প্রয়োজনীয় লোকবল না থাকা, কারিগরি সহায়তার অভাব, রাসায়নিকের সরবরাহ এবং যন্ত্রপাতি স্থাপনের সুযোগ-সুবিধা না থাকা এর মধ্যে অন্যতম কারণ বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উল্লেখ করেছেন। তাছাড়া কিছু যন্ত্রপাতির সফটওয়্যারসহ অন্যান্য জিনিস নষ্ট হয়ে অচল হয়ে গেছে বলেও তারা জানিয়েছেন।
প্রশ্ন হচ্ছে, এই কারণগুলো কী আগে জানা ছিল না। এসব সমস্যা সমাধানে তাদের কি কিছু করণীয় ছিল না। টেকনোলজিস্ট, সনোলজিস্টসহ প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ এত বছরেও কেন করা হয়নি। কারিগরি সহায়তা, রাসায়নিক সরবরাহ এবং অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর জন্য কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিয়েছে সেটা জানা দরকার।
আমরা মনে করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ খোঁড়া অজুহাত দেখিয়ে কোনভাবেই চিকিৎসা সরঞ্জাম স্থাপন না করার দায় এড়াতে পারে না। তাদের জবাবদিহিতা আদায় করতে হবে। চিকিৎসা সরঞ্জামের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে দ্রুত টেকনোলজিস্ট, সনোলজিস্টসহ প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। কারিগরি সহায়তাসহ এসব যন্ত্রপাতি স্থাপন করার সুযোগ-সুবিধার যে সমস্যার কথা বলা হয়েছে তার সমাধান করতে হবে। সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দ্রুত এসব কাজ সম্পন্ন করবে- এটা আমাদের প্রত্যাশা। আমরা চাই সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের রোগীরা পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা পাক এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের সদ্ব্যবহার হোক।
মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
এক্স-রে, ভেন্টিলেটর, আল্ট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি, ল্যাপারোস্কপি, কালচার ইনকিউবেটর, হট এয়ার ওভেন এবং অটোক্লেভের মতো ২৮টি রোগ নির্ণয়ের যন্ত্র বাক্সবন্দী হয়ে পড়ে আছে বছরের পর বছর। এগুলোর হদিস মিলেছে দেশের ১৬ সরকারি হাসপাতালে। ৪ মাস থেকে ১৭ বছর পর্যন্ত এসব সরঞ্জাম বাক্সবন্দী হয়ে পড়ে আছে।
রোগ নির্ণয়ের এসব সরঞ্জাম অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করেন এক আইনজীবী। পরে এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ ঘটনা তদন্তে কর্তৃপক্ষের অবহেলা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের পরিচালকসহ ২১ জনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রোগাক্রান্ত মানুষের রোগ নির্ণয়ে চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের সরঞ্জাম কেনা হয়। রোগ নির্ণয়ের কাজ ব্যাহত হলে সামগ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থাই ব্যাহত হয়। যেসব হাসপাতালে সরঞ্জামগুলো পড়ে আছে সেগুলো ব্যবহার হলে নিঃসন্দেহে অনেক রোগীর রোগ নির্ণয় করা যেত, যেটা তাদের সুস্থ হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগত। সরঞ্জামগুলো ব্যবহার না করায় সংশ্লিষ্ট রোগীরা যেমন স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনি রাষ্ট্রের সম্পদেরও অপচয় হচ্ছে।
হাসপাতালের চিকিৎসা সরঞ্জামগুলো এত বছর ফেলে রাখার পেছনে এখন অনেক কারণ জানা যাচ্ছে। এক্স-রে টেকনোলজিস্ট, সনোলজিস্টসহ প্রয়োজনীয় লোকবল না থাকা, কারিগরি সহায়তার অভাব, রাসায়নিকের সরবরাহ এবং যন্ত্রপাতি স্থাপনের সুযোগ-সুবিধা না থাকা এর মধ্যে অন্যতম কারণ বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উল্লেখ করেছেন। তাছাড়া কিছু যন্ত্রপাতির সফটওয়্যারসহ অন্যান্য জিনিস নষ্ট হয়ে অচল হয়ে গেছে বলেও তারা জানিয়েছেন।
প্রশ্ন হচ্ছে, এই কারণগুলো কী আগে জানা ছিল না। এসব সমস্যা সমাধানে তাদের কি কিছু করণীয় ছিল না। টেকনোলজিস্ট, সনোলজিস্টসহ প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ এত বছরেও কেন করা হয়নি। কারিগরি সহায়তা, রাসায়নিক সরবরাহ এবং অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর জন্য কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিয়েছে সেটা জানা দরকার।
আমরা মনে করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ খোঁড়া অজুহাত দেখিয়ে কোনভাবেই চিকিৎসা সরঞ্জাম স্থাপন না করার দায় এড়াতে পারে না। তাদের জবাবদিহিতা আদায় করতে হবে। চিকিৎসা সরঞ্জামের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে দ্রুত টেকনোলজিস্ট, সনোলজিস্টসহ প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। কারিগরি সহায়তাসহ এসব যন্ত্রপাতি স্থাপন করার সুযোগ-সুবিধার যে সমস্যার কথা বলা হয়েছে তার সমাধান করতে হবে। সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দ্রুত এসব কাজ সম্পন্ন করবে- এটা আমাদের প্রত্যাশা। আমরা চাই সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের রোগীরা পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা পাক এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের সদ্ব্যবহার হোক।