কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে আরটি-পিসিআর ল্যাব স্থাপনের দাবিতে শতাধিক প্রবাসী গতকাল মঙ্গলবার আমরণ অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নিচে অবস্থান নেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ইমরান আহমদ দ্রুত সময়ের মধ্যে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ল্যাব স্থাপনের আশ্বাস দিলে সেদিনই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
প্রবাসীরা আরটি-পিসিআর ল্যাব স্থাপনের দাবি অনেক দিন ধরেই করে আসছেন। কারণ অনেক দেশই এমন শর্ত দিয়েছে যে, কোভিড টেস্ট করাতে হবে বিমান ছাড়ার ৪ থেকে ৮ ঘণ্টা আগে। বিমানবন্দরে টেস্ট করার সুবিধা না থাকায় এ শর্ত পূরণ করা যাচ্ছে না, আর প্রবাসীরা বিদেশেও যেতে পারছেন না। শর্ত পূরণ করতে না পারায় আরব আমিরাত বাংলাদেশ থেকে একবার ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু তাতেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। হচ্ছে, হবে- এমন আশ্বাসবাণীই শোনা যাচ্ছে শুধু। দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ল্যাব স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ দিয়েছিলেন গত ৬ সেপ্টেম্বর। এরপর ১০ দিন গত হয়েছে, ‘দ্রুততম সময়’ শেষ হয়নি, ল্যাব বসানো হয়নি। কোন প্রতিষ্ঠান ল্যাব বসাবে সেটাই নাকি চূড়ান্ত করা যায়নি। কবে প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত হবে আর কবে ল্যাব বসবে সেটা অনিশ্চিত। যে কারণে প্রবাসীদের পথে নেমে আন্দোলন করতে হয়েছে। আন্দোলন করে আবারও ‘দ্রুততম সময়ে’ ল্যাব স্থাপনের আশ্বাস মিলেছে। কত দিনে বা সপ্তাহে দ্রুততম সময় হয় সেটা হিসাব কষে বের করার জন্য ল্যাব স্থাপনের অপেক্ষায় থাকতে হবে।
শর্ত অনুযায়ী কোভিড টেস্ট করাতে না পেরে যেসব প্রবাসী কর্মস্থলে ফিরতে পারছেন না তাদের দায়-দায়িত্ব কে নেবে সেটা একটা প্রশ্ন। করোনার টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রেও প্রবাসীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। কিন্তু এর জন্য কাউকে কখনো জবাবদিহি করতে হয়েছে বলে জানা যায় না।
আমরা বলতে চাই, দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেশের সব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পিসিআর পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে বিভিন্ন দেশের শর্ত অনুযায়ী প্রবাসীরা বিমান ছাড়ার ৪ থেকে ৮ ঘণ্টা আগে কোভিড টেস্ট করাতে পারেন। কোন প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিলে কার কী লাভ হবে সেই হিসাব কষার আগে প্রবাসীদের লাভ-ক্ষতির হিসাব কষতে হবে।
বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে আরটি-পিসিআর ল্যাব স্থাপনের দাবিতে শতাধিক প্রবাসী গতকাল মঙ্গলবার আমরণ অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নিচে অবস্থান নেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ইমরান আহমদ দ্রুত সময়ের মধ্যে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ল্যাব স্থাপনের আশ্বাস দিলে সেদিনই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
প্রবাসীরা আরটি-পিসিআর ল্যাব স্থাপনের দাবি অনেক দিন ধরেই করে আসছেন। কারণ অনেক দেশই এমন শর্ত দিয়েছে যে, কোভিড টেস্ট করাতে হবে বিমান ছাড়ার ৪ থেকে ৮ ঘণ্টা আগে। বিমানবন্দরে টেস্ট করার সুবিধা না থাকায় এ শর্ত পূরণ করা যাচ্ছে না, আর প্রবাসীরা বিদেশেও যেতে পারছেন না। শর্ত পূরণ করতে না পারায় আরব আমিরাত বাংলাদেশ থেকে একবার ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু তাতেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। হচ্ছে, হবে- এমন আশ্বাসবাণীই শোনা যাচ্ছে শুধু। দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ল্যাব স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ দিয়েছিলেন গত ৬ সেপ্টেম্বর। এরপর ১০ দিন গত হয়েছে, ‘দ্রুততম সময়’ শেষ হয়নি, ল্যাব বসানো হয়নি। কোন প্রতিষ্ঠান ল্যাব বসাবে সেটাই নাকি চূড়ান্ত করা যায়নি। কবে প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত হবে আর কবে ল্যাব বসবে সেটা অনিশ্চিত। যে কারণে প্রবাসীদের পথে নেমে আন্দোলন করতে হয়েছে। আন্দোলন করে আবারও ‘দ্রুততম সময়ে’ ল্যাব স্থাপনের আশ্বাস মিলেছে। কত দিনে বা সপ্তাহে দ্রুততম সময় হয় সেটা হিসাব কষে বের করার জন্য ল্যাব স্থাপনের অপেক্ষায় থাকতে হবে।
শর্ত অনুযায়ী কোভিড টেস্ট করাতে না পেরে যেসব প্রবাসী কর্মস্থলে ফিরতে পারছেন না তাদের দায়-দায়িত্ব কে নেবে সেটা একটা প্রশ্ন। করোনার টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রেও প্রবাসীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। কিন্তু এর জন্য কাউকে কখনো জবাবদিহি করতে হয়েছে বলে জানা যায় না।
আমরা বলতে চাই, দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেশের সব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পিসিআর পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে বিভিন্ন দেশের শর্ত অনুযায়ী প্রবাসীরা বিমান ছাড়ার ৪ থেকে ৮ ঘণ্টা আগে কোভিড টেস্ট করাতে পারেন। কোন প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিলে কার কী লাভ হবে সেই হিসাব কষার আগে প্রবাসীদের লাভ-ক্ষতির হিসাব কষতে হবে।