সাভারের চামড়াশিল্প নগর থেকে চামড়া পরিশোধনের কারখানা বা ট্যানারির তরল বর্জ্য সরাসরি ধলেশ্বরী নদীতে ফেলার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গতকাল বুধবার একটি জাতীয় দৈনিকে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চামড়াশিল্প নগরের এক পাশে ধলেশ্বরী নদীর তীরে সেন্ট্রাল এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (সিইটিপি) অবস্থিত। নদীর তীরে বাঁধের পাশে রয়েছে চামড়াশিল্প নগরের সীমানা দেয়াল। সেই দেয়াল ছিদ্র করে রাতের আঁধারে দুটি পাইপ বসিয়ে বর্জ্য সরাসরি নদীতে ফেলা হয়। সকাল হলে আবার সেই পাইপ সরিয়ে ফেলা হয়।
চামড়া শিল্পের ট্যানারি দেশের পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ। বহু বছর রাজধানীর হাজারীবাগে বিষফোঁড়ার মতো ছিল। আজকে যে বুড়িগঙ্গা মৃতপ্রায় তার জন্য বহুলাংশে দায়ী এ ট্যানারির বর্জ্য। এর আশপাশের পরিবেশকেও বসবাসের অযোগ্য করে ফেলেছে।
নদীদূষণ ঠেকাতে রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে ট্যানারিগুলো সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়াশিল্প নগরে নেওয়া হয়েছিল পরিকল্পিতভাবে। এতে রাজধানীর পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি নতুন জয়গায় গেলে পরিবেশ বা নদীদূষণ হবে না- এমনটাই আশা করা হয়েছিল।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, চামড়াশিল্প নগরে এখন প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য উৎপাদিত হয়। কিন্তু সিইটিপির পরিশোধন সক্ষমতা রয়েছে দিনে মাত্র ২৫ হাজার ঘনমিটার। তবে ২৫ হাজার ঘনমিটার বর্জ্যও ঠিকমতো পরিশোধন হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শনেও উঠে আসে, সিইটিপি অকার্যকরভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে। বিষয়টি জাতীয় সংসদের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির গত ২৩ আগস্টের বৈঠকেও উঠে আসে। বৈঠকে পরিবেশ দূষণের দায়ে চামড়াশিল্প নগরের ট্যানারি সাময়িক বন্ধের সুপারিশ করা হয়।
প্রশ্ন হচ্ছে, চীনা ঠিকাদার যখন সিইটিপি হস্তান্তর করছিল তখন কেন বুঝে নেয়া হয়নি। এখন কেন বলা হচ্ছে এটি অকার্যকর! সিইটিপির এ দুরবস্থার জন্য ঠিকাদার এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ভূমিকা কী ছিল সেটা খতিয়ে দেখা দরকার। কারও কোন গাফিলতি থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
সবার আগে সাভারের ধলেশ্বরী নদী ও পরিবেশ দূষণ বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে চামড়া শিল্পের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিও সুপারিশ করছে। আগে সিইটিপি সক্ষম করতে হবে। সেখানকার পরিবেশ দূষিত হবে না, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। তারপর ট্যানারিগুলো চালু করতে হবে। সাভার আর একটা হাজারীবাগে পরিণত হোক, ধলেশ্বরী বুড়িগঙ্গার মতো অস্তিত্ব সংকটে পড়ুক সেটা আমরা চাই না।
বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
সাভারের চামড়াশিল্প নগর থেকে চামড়া পরিশোধনের কারখানা বা ট্যানারির তরল বর্জ্য সরাসরি ধলেশ্বরী নদীতে ফেলার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গতকাল বুধবার একটি জাতীয় দৈনিকে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চামড়াশিল্প নগরের এক পাশে ধলেশ্বরী নদীর তীরে সেন্ট্রাল এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (সিইটিপি) অবস্থিত। নদীর তীরে বাঁধের পাশে রয়েছে চামড়াশিল্প নগরের সীমানা দেয়াল। সেই দেয়াল ছিদ্র করে রাতের আঁধারে দুটি পাইপ বসিয়ে বর্জ্য সরাসরি নদীতে ফেলা হয়। সকাল হলে আবার সেই পাইপ সরিয়ে ফেলা হয়।
চামড়া শিল্পের ট্যানারি দেশের পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ। বহু বছর রাজধানীর হাজারীবাগে বিষফোঁড়ার মতো ছিল। আজকে যে বুড়িগঙ্গা মৃতপ্রায় তার জন্য বহুলাংশে দায়ী এ ট্যানারির বর্জ্য। এর আশপাশের পরিবেশকেও বসবাসের অযোগ্য করে ফেলেছে।
নদীদূষণ ঠেকাতে রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে ট্যানারিগুলো সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়াশিল্প নগরে নেওয়া হয়েছিল পরিকল্পিতভাবে। এতে রাজধানীর পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি নতুন জয়গায় গেলে পরিবেশ বা নদীদূষণ হবে না- এমনটাই আশা করা হয়েছিল।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, চামড়াশিল্প নগরে এখন প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য উৎপাদিত হয়। কিন্তু সিইটিপির পরিশোধন সক্ষমতা রয়েছে দিনে মাত্র ২৫ হাজার ঘনমিটার। তবে ২৫ হাজার ঘনমিটার বর্জ্যও ঠিকমতো পরিশোধন হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শনেও উঠে আসে, সিইটিপি অকার্যকরভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে। বিষয়টি জাতীয় সংসদের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির গত ২৩ আগস্টের বৈঠকেও উঠে আসে। বৈঠকে পরিবেশ দূষণের দায়ে চামড়াশিল্প নগরের ট্যানারি সাময়িক বন্ধের সুপারিশ করা হয়।
প্রশ্ন হচ্ছে, চীনা ঠিকাদার যখন সিইটিপি হস্তান্তর করছিল তখন কেন বুঝে নেয়া হয়নি। এখন কেন বলা হচ্ছে এটি অকার্যকর! সিইটিপির এ দুরবস্থার জন্য ঠিকাদার এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ভূমিকা কী ছিল সেটা খতিয়ে দেখা দরকার। কারও কোন গাফিলতি থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
সবার আগে সাভারের ধলেশ্বরী নদী ও পরিবেশ দূষণ বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে চামড়া শিল্পের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিও সুপারিশ করছে। আগে সিইটিপি সক্ষম করতে হবে। সেখানকার পরিবেশ দূষিত হবে না, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। তারপর ট্যানারিগুলো চালু করতে হবে। সাভার আর একটা হাজারীবাগে পরিণত হোক, ধলেশ্বরী বুড়িগঙ্গার মতো অস্তিত্ব সংকটে পড়ুক সেটা আমরা চাই না।