alt

সম্পাদকীয়

ট্যানারির বর্জ্যে বিপন্ন ধলেশ্বরী

: বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

সাভারের চামড়াশিল্প নগর থেকে চামড়া পরিশোধনের কারখানা বা ট্যানারির তরল বর্জ্য সরাসরি ধলেশ্বরী নদীতে ফেলার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গতকাল বুধবার একটি জাতীয় দৈনিকে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চামড়াশিল্প নগরের এক পাশে ধলেশ্বরী নদীর তীরে সেন্ট্রাল এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (সিইটিপি) অবস্থিত। নদীর তীরে বাঁধের পাশে রয়েছে চামড়াশিল্প নগরের সীমানা দেয়াল। সেই দেয়াল ছিদ্র করে রাতের আঁধারে দুটি পাইপ বসিয়ে বর্জ্য সরাসরি নদীতে ফেলা হয়। সকাল হলে আবার সেই পাইপ সরিয়ে ফেলা হয়।

চামড়া শিল্পের ট্যানারি দেশের পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ। বহু বছর রাজধানীর হাজারীবাগে বিষফোঁড়ার মতো ছিল। আজকে যে বুড়িগঙ্গা মৃতপ্রায় তার জন্য বহুলাংশে দায়ী এ ট্যানারির বর্জ্য। এর আশপাশের পরিবেশকেও বসবাসের অযোগ্য করে ফেলেছে।

নদীদূষণ ঠেকাতে রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে ট্যানারিগুলো সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়াশিল্প নগরে নেওয়া হয়েছিল পরিকল্পিতভাবে। এতে রাজধানীর পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি নতুন জয়গায় গেলে পরিবেশ বা নদীদূষণ হবে না- এমনটাই আশা করা হয়েছিল।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, চামড়াশিল্প নগরে এখন প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য উৎপাদিত হয়। কিন্তু সিইটিপির পরিশোধন সক্ষমতা রয়েছে দিনে মাত্র ২৫ হাজার ঘনমিটার। তবে ২৫ হাজার ঘনমিটার বর্জ্যও ঠিকমতো পরিশোধন হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শনেও উঠে আসে, সিইটিপি অকার্যকরভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে। বিষয়টি জাতীয় সংসদের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির গত ২৩ আগস্টের বৈঠকেও উঠে আসে। বৈঠকে পরিবেশ দূষণের দায়ে চামড়াশিল্প নগরের ট্যানারি সাময়িক বন্ধের সুপারিশ করা হয়।

প্রশ্ন হচ্ছে, চীনা ঠিকাদার যখন সিইটিপি হস্তান্তর করছিল তখন কেন বুঝে নেয়া হয়নি। এখন কেন বলা হচ্ছে এটি অকার্যকর! সিইটিপির এ দুরবস্থার জন্য ঠিকাদার এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ভূমিকা কী ছিল সেটা খতিয়ে দেখা দরকার। কারও কোন গাফিলতি থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

সবার আগে সাভারের ধলেশ্বরী নদী ও পরিবেশ দূষণ বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে চামড়া শিল্পের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিও সুপারিশ করছে। আগে সিইটিপি সক্ষম করতে হবে। সেখানকার পরিবেশ দূষিত হবে না, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। তারপর ট্যানারিগুলো চালু করতে হবে। সাভার আর একটা হাজারীবাগে পরিণত হোক, ধলেশ্বরী বুড়িগঙ্গার মতো অস্তিত্ব সংকটে পড়ুক সেটা আমরা চাই না।

স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি দুমকি হাসপাতাল

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

tab

সম্পাদকীয়

ট্যানারির বর্জ্যে বিপন্ন ধলেশ্বরী

বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

সাভারের চামড়াশিল্প নগর থেকে চামড়া পরিশোধনের কারখানা বা ট্যানারির তরল বর্জ্য সরাসরি ধলেশ্বরী নদীতে ফেলার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গতকাল বুধবার একটি জাতীয় দৈনিকে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চামড়াশিল্প নগরের এক পাশে ধলেশ্বরী নদীর তীরে সেন্ট্রাল এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (সিইটিপি) অবস্থিত। নদীর তীরে বাঁধের পাশে রয়েছে চামড়াশিল্প নগরের সীমানা দেয়াল। সেই দেয়াল ছিদ্র করে রাতের আঁধারে দুটি পাইপ বসিয়ে বর্জ্য সরাসরি নদীতে ফেলা হয়। সকাল হলে আবার সেই পাইপ সরিয়ে ফেলা হয়।

চামড়া শিল্পের ট্যানারি দেশের পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ। বহু বছর রাজধানীর হাজারীবাগে বিষফোঁড়ার মতো ছিল। আজকে যে বুড়িগঙ্গা মৃতপ্রায় তার জন্য বহুলাংশে দায়ী এ ট্যানারির বর্জ্য। এর আশপাশের পরিবেশকেও বসবাসের অযোগ্য করে ফেলেছে।

নদীদূষণ ঠেকাতে রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে ট্যানারিগুলো সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়াশিল্প নগরে নেওয়া হয়েছিল পরিকল্পিতভাবে। এতে রাজধানীর পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি নতুন জয়গায় গেলে পরিবেশ বা নদীদূষণ হবে না- এমনটাই আশা করা হয়েছিল।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, চামড়াশিল্প নগরে এখন প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য উৎপাদিত হয়। কিন্তু সিইটিপির পরিশোধন সক্ষমতা রয়েছে দিনে মাত্র ২৫ হাজার ঘনমিটার। তবে ২৫ হাজার ঘনমিটার বর্জ্যও ঠিকমতো পরিশোধন হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শনেও উঠে আসে, সিইটিপি অকার্যকরভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে। বিষয়টি জাতীয় সংসদের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির গত ২৩ আগস্টের বৈঠকেও উঠে আসে। বৈঠকে পরিবেশ দূষণের দায়ে চামড়াশিল্প নগরের ট্যানারি সাময়িক বন্ধের সুপারিশ করা হয়।

প্রশ্ন হচ্ছে, চীনা ঠিকাদার যখন সিইটিপি হস্তান্তর করছিল তখন কেন বুঝে নেয়া হয়নি। এখন কেন বলা হচ্ছে এটি অকার্যকর! সিইটিপির এ দুরবস্থার জন্য ঠিকাদার এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ভূমিকা কী ছিল সেটা খতিয়ে দেখা দরকার। কারও কোন গাফিলতি থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

সবার আগে সাভারের ধলেশ্বরী নদী ও পরিবেশ দূষণ বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে চামড়া শিল্পের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিও সুপারিশ করছে। আগে সিইটিপি সক্ষম করতে হবে। সেখানকার পরিবেশ দূষিত হবে না, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। তারপর ট্যানারিগুলো চালু করতে হবে। সাভার আর একটা হাজারীবাগে পরিণত হোক, ধলেশ্বরী বুড়িগঙ্গার মতো অস্তিত্ব সংকটে পড়ুক সেটা আমরা চাই না।

back to top