বাগেরহাট ও ঝিনাইদহ জেলায় অনেক শিশু নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে ভুগছে বলে জানা গেছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাগেরহাটের সরকারি হাসপাতালগুলোতে শিশু ওয়ার্ডের ধারণ ক্ষমতার তিন থেকে চারগুণ বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। শয্যা সংকটের কারণে হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় আশ্রয় নিচ্ছে অনেকে। হাসপাতালগুলো চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। শিশুদের মাঝে নিউমোনিয়া রোগের প্রকোপ দেখা দেয়ায় চাপ বেড়েছে ঝিনাইদহের হাসপাতালগুলোতে। সেখানেও দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট।
সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, মূলত আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। নিউমোনিয়াকে বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুর অন্যতম বড় কারণ হিসেবে দেখা হয়। এক হিসাব অনুযায়ী, দেশের ৫ বছরের কম বয়সী ১৩ শতাংশ শিশুর মৃত্যু হয় এই রোগে। নিউমোনিয়া মূলত শীত মৌসুমের রোগ। তবে বছরের অন্যান্য সময় বিশেষ করে মৌসুম পরিবর্তনের সময় এর প্রকোপ দেখা দিতে পারে।
শুধু ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ছত্রাকের কারণেই নিউমোনিয়া হয় না। অপুষ্টি, বায়ুদূষণ প্রভৃতি কারণেও এ রোগ হতে পারে। এই রোগে আক্রান্ত শিশুর ফুসফুস সংক্রমিত হয়। যথাসময়ে চিকিৎসা না পেলে তাদের অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। এমনকি চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুও হতে পারে। রোগ সম্পর্কে সম্যক ধারণা না থাকায় অনেক অভিভাবকই রোগাক্রান্ত শিশুকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে দেরি করে ফেলেন-যে কারণে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করে।
নিউমোনিয়া প্রতিরোধযোগ্য। শুরুতে রোগ শনাক্ত করা গেলে অল্প খরচে চিকিৎসা করা সম্ভব হয়। নিউমোনিয়া প্রতিরোধে টিকা দেয়ার প্রয়োজন পড়ে। সমস্যা হচ্ছে, দেশের এক বছরের কম বয়সী অনেক শিশুকেই টিকার আওতায় আনা যায়নি।
নিউমোনিয়ায় শিশু মৃত্যু রোধ করতে হলে সব শিশুকে অবশ্যই টিকার আওতায় আনতে হবে। রোগাক্রান্ত শিশুর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক সহজলভ্য করতে হবে। রোগ সম্পর্কে অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে যে, নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা মাত্র দেরি না করে শিশুকে যেন দ্রুত কাছের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। অপুষ্টি দূর করাও জরুরি।
চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে, বিশেষকরে বাগেরহাট ও ঝিনাইদহের হাসপাতালগুলোতে শয্যা ও জনবল সংকট দূর করা জরুরি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে-সেটা আমাদের আশা।
শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
বাগেরহাট ও ঝিনাইদহ জেলায় অনেক শিশু নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে ভুগছে বলে জানা গেছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাগেরহাটের সরকারি হাসপাতালগুলোতে শিশু ওয়ার্ডের ধারণ ক্ষমতার তিন থেকে চারগুণ বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। শয্যা সংকটের কারণে হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় আশ্রয় নিচ্ছে অনেকে। হাসপাতালগুলো চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। শিশুদের মাঝে নিউমোনিয়া রোগের প্রকোপ দেখা দেয়ায় চাপ বেড়েছে ঝিনাইদহের হাসপাতালগুলোতে। সেখানেও দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট।
সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, মূলত আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। নিউমোনিয়াকে বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুর অন্যতম বড় কারণ হিসেবে দেখা হয়। এক হিসাব অনুযায়ী, দেশের ৫ বছরের কম বয়সী ১৩ শতাংশ শিশুর মৃত্যু হয় এই রোগে। নিউমোনিয়া মূলত শীত মৌসুমের রোগ। তবে বছরের অন্যান্য সময় বিশেষ করে মৌসুম পরিবর্তনের সময় এর প্রকোপ দেখা দিতে পারে।
শুধু ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ছত্রাকের কারণেই নিউমোনিয়া হয় না। অপুষ্টি, বায়ুদূষণ প্রভৃতি কারণেও এ রোগ হতে পারে। এই রোগে আক্রান্ত শিশুর ফুসফুস সংক্রমিত হয়। যথাসময়ে চিকিৎসা না পেলে তাদের অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। এমনকি চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুও হতে পারে। রোগ সম্পর্কে সম্যক ধারণা না থাকায় অনেক অভিভাবকই রোগাক্রান্ত শিশুকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে দেরি করে ফেলেন-যে কারণে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করে।
নিউমোনিয়া প্রতিরোধযোগ্য। শুরুতে রোগ শনাক্ত করা গেলে অল্প খরচে চিকিৎসা করা সম্ভব হয়। নিউমোনিয়া প্রতিরোধে টিকা দেয়ার প্রয়োজন পড়ে। সমস্যা হচ্ছে, দেশের এক বছরের কম বয়সী অনেক শিশুকেই টিকার আওতায় আনা যায়নি।
নিউমোনিয়ায় শিশু মৃত্যু রোধ করতে হলে সব শিশুকে অবশ্যই টিকার আওতায় আনতে হবে। রোগাক্রান্ত শিশুর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক সহজলভ্য করতে হবে। রোগ সম্পর্কে অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে যে, নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা মাত্র দেরি না করে শিশুকে যেন দ্রুত কাছের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। অপুষ্টি দূর করাও জরুরি।
চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে, বিশেষকরে বাগেরহাট ও ঝিনাইদহের হাসপাতালগুলোতে শয্যা ও জনবল সংকট দূর করা জরুরি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে-সেটা আমাদের আশা।