alt

সম্পাদকীয়

বিইআরসি’র ক্ষমতা খর্ব করা হচ্ছে কার স্বার্থে

: রোববার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

সরকারি এলপিজির বাজারমূল্য নির্ধারণের কাজ বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) আওতার বাইরে রাখতে বলেছে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ। সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপসচিব শামীমা ফেরদৌস স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি বিইআরসিকে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। জানা গেছে, সরকারি এলপিজির দাম নির্ধারণের কাজ বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) হাতে ন্যস্ত করা হবে।

বিইআরসির কাছ থেকে সরকারি এলপিজির দাম নির্ধারণের ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হচ্ছে কার স্বার্থে ও কোন আইনি ক্ষমতা বলে- সেই প্রশ্ন উঠেছে। এলপিজির দাম নির্ধারণ করতে হবে ভোক্তার স্বার্থে। সেক্ষেত্রে গণশুনানির প্রয়োজন রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারের দর ও আমদানি মূল্য যাচাই-বাছাই করাও জরুরি। বিইআরসি প্রতিমাসে গণশুনানি করছে, আন্তর্জাতিক দর ও আমদানি মূল্য যাচাই-বাছাই করছে। বিপিসিকে দাম নির্ধারণে দায়িত্ব দেয়া হলে ভোক্তা স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। প্রতিষ্ঠানটির অনিয়ম-দুর্নীতির অতীত-ইতিহাসও বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।

পেট্রোলিয়ামজাত পদার্থের খুচরা মূল্য নির্ধারণের জন্য ২০১২ সালে একটি প্রবিধানমালার খসড়া তৈরি হয়। খসড়াটি, এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি। ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ২০১৬ সালে বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে যায়। ক্যাব-এর করা এক রিট আবেদনের ভিত্তিতে গণশুনানির মাধ্যমে এলপিজি’র দাম নির্ধারণের নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত। সেই আদেশের ভিত্তিতে বিইআরসি প্রতিমাসে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে। কাজেই তাদেরকে এ কাজ থেকে নিবৃত্ত করা আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত কিনা বা আদালত অবমাননার শামিল কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে।

সরকারি এলপিজির দাম নির্ধারণের ক্ষমতা যদি কেড়েই নেয়া হবে তাহলে বিইআরসি নামের রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠান রাখা হয়েছে কিসের জন্য। তারা সরকারি এলপিজি’র দাম ঠিক করতে পারবে না। আবার তারা যে দাম ঠিক করে দেয় সেটা এলপিজি আমদানি করা বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো মানতে চায় না। বিইআরসিকে ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন প্রতিষ্ঠান রাখার চেয়ে বন্ধ করে দেয়াই ভালো।

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

tab

সম্পাদকীয়

বিইআরসি’র ক্ষমতা খর্ব করা হচ্ছে কার স্বার্থে

রোববার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

সরকারি এলপিজির বাজারমূল্য নির্ধারণের কাজ বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) আওতার বাইরে রাখতে বলেছে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ। সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপসচিব শামীমা ফেরদৌস স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি বিইআরসিকে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। জানা গেছে, সরকারি এলপিজির দাম নির্ধারণের কাজ বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) হাতে ন্যস্ত করা হবে।

বিইআরসির কাছ থেকে সরকারি এলপিজির দাম নির্ধারণের ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হচ্ছে কার স্বার্থে ও কোন আইনি ক্ষমতা বলে- সেই প্রশ্ন উঠেছে। এলপিজির দাম নির্ধারণ করতে হবে ভোক্তার স্বার্থে। সেক্ষেত্রে গণশুনানির প্রয়োজন রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারের দর ও আমদানি মূল্য যাচাই-বাছাই করাও জরুরি। বিইআরসি প্রতিমাসে গণশুনানি করছে, আন্তর্জাতিক দর ও আমদানি মূল্য যাচাই-বাছাই করছে। বিপিসিকে দাম নির্ধারণে দায়িত্ব দেয়া হলে ভোক্তা স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। প্রতিষ্ঠানটির অনিয়ম-দুর্নীতির অতীত-ইতিহাসও বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।

পেট্রোলিয়ামজাত পদার্থের খুচরা মূল্য নির্ধারণের জন্য ২০১২ সালে একটি প্রবিধানমালার খসড়া তৈরি হয়। খসড়াটি, এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি। ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ২০১৬ সালে বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে যায়। ক্যাব-এর করা এক রিট আবেদনের ভিত্তিতে গণশুনানির মাধ্যমে এলপিজি’র দাম নির্ধারণের নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত। সেই আদেশের ভিত্তিতে বিইআরসি প্রতিমাসে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে। কাজেই তাদেরকে এ কাজ থেকে নিবৃত্ত করা আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত কিনা বা আদালত অবমাননার শামিল কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে।

সরকারি এলপিজির দাম নির্ধারণের ক্ষমতা যদি কেড়েই নেয়া হবে তাহলে বিইআরসি নামের রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠান রাখা হয়েছে কিসের জন্য। তারা সরকারি এলপিজি’র দাম ঠিক করতে পারবে না। আবার তারা যে দাম ঠিক করে দেয় সেটা এলপিজি আমদানি করা বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো মানতে চায় না। বিইআরসিকে ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন প্রতিষ্ঠান রাখার চেয়ে বন্ধ করে দেয়াই ভালো।

back to top